ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ১০:৩৯, ১১ জুন ২০১৯

 ঢাকার দিনরাত

ঢাকার দিনরাত কলামের শুরুতেই ঢাকার ঐতিহ্যের একটি পাঁজর খসে পড়ার দুঃসংবাদ। ঢাকার প্রথম বাণিজ্যিক ভবনখ্যাত শতবর্ষী ‘জাহাজবাড়ি’ গত বুধবার ভেঙ্গে ফেলার ঘটনাটি ঘটেছে। দিনভর ঈদ আনন্দ শেষে রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের বাসিন্দারা এই ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করেন। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রক্ষার আন্দোলনে যুক্ত সংগঠন আরবান স্টাডি গ্রুপের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। কিন্তু ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। হাইকোর্ট ২০১৮ সালে পুরান ঢাকার ২ হাজার ২০০টি ঐতিহ্যবাহী ভবন ও স্থাপনার ধ্বংস, পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন এবং সে তালিকায় জাহাজবাড়িও আছে। তার পরও আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভবনটি ভাঙ্গা হয়েছে। এখন জানা যাচ্ছে, গত মার্চ থেকে জাহাজবাড়ি ভাঙ্গার চেষ্টা চলছিল। তখন জিডি করে থানার সাহায্যে ভাঙ্গা বন্ধ করা হয়। এ ভবনের যাঁরা ভাড়াটে ছিলেন তাঁরা বলছেন, এটি ওয়াক্ফ সম্পত্তি ছিল। তাঁরা ওয়াক্ফ প্রশাসকের প্রতিনিধিকে ভাড়া দিয়ে আসছিলেন। সত্যিই দুঃখজনক। ঈদের দিনে পঙ্গু হাসপাতালে ঈদের দিন সকালে ঝমঝম বৃষ্টি শুরু হলো। রেস্টুরেন্ট থেকে তাগাদার পর তাগাদা। খাবার বুঝিয়ে দিয়ে সবাই ছুটি করবে। বৃষ্টি মানেই উবারের গলা কাটা চার্জ। পঙ্গু হাসপাতাল যেতে কত দেখায় কে জানে। অত ভাবতে গেলে চলবে না। আমার দেরি মানে রেস্টুরেন্ট শ্রমিকদের ঈদের উৎসবে মেতে উঠতেও দেরি। তাই তুমুল বৃষ্টির মধ্যেই বেরিয়ে পড়ি গাড়ি ডেকে। পথঘাট খাঁ খাঁ। কিন্তু হাসপাতাল সরগরম। সিস্টার মারসেলাকে ফোন দিই। অল্পক্ষণেই ট্রলি নিয়ে চলে আসেন আয়া সোনালী। দুটি ওয়ার্ডের প্রতিটি বেডে এবার নিজ হাতে বিলি করার ইচ্ছা। পীড়িত মুখ, তবু হাসি ফুটিয়ে তোলা দেখে মন ভাল হয়ে যায়। শেষ করে নার্সিং স্টেশনে বসি, আলোচনা করি। সবচেয়ে অর্থকষ্টে আছেন কারা, কাদের অবস্থা বেশি জটিল। আমার অনুরোধে সিস্টাররা কয়েকজনের ফাইল দেখতে দেন। আবার ফিরে যাই প্রতিটি সারিতে। প্রতিটি বেডে। বহু রোগীই খেতে শুরু করেছেন। যারা নিজ হাতে খেতে অপারগ তাদের খাইয়ে দিচ্ছেন স্বজনরা। কেউ কেউ দূর থেকে ডাকেন। শিপার এদের একজন। বলেন ঝাড়ুদারের কাছে জেনেছেন প্রতি রোজার ঈদে একজন আসেন সবার জন্য খাবার নিয়ে, নিশ্চয়ই আমি সেই লোক। জানালেন তারও ইচ্ছা ছিল আজকের দিনে বৃদ্ধাশ্রমে যাবেন শাড়ি কাপড় নিয়ে। টাঙ্গাইল গিয়ে কেনাকাটাও করেছিলেন। কিন্তু একটি সড়ক দুর্ঘটনায় আঘাত পেয়ে আজ শয্যাশায়ী। অদূরে অল্পবয়সী ছেলে থেকে থেকে আর্তচিৎকার করছে। এগিয়ে যাই। ওর মায়ের মুখে সব শুনি। বললাম, কালকেই ব্যথা কমে যাবে, হাড় ভাঙ্গার পরে দু’তিন দিন এমন অসহ্য যন্ত্রণা হয়। ব্যথা সারার ও ঘুমের ওষুধ খেতে হবে, একটু সহ্য করাও লাগবে। কয়েকটা ঘণ্টা রোগীদের সঙ্গে আলাপ করে বুঝে উঠি গতবারের ঈদে যতটা মন খারাপ হয়েছিল এবার তার চেয়ে বেশি চাপ নিয়ে ঘরে ফিরতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা কি এতটা বেড়ে গেল? তাছাড়া টাকার অভাবে সময়মতো চিকিৎসা/অপারেশন করাতে না পারাদের সংখ্যাও কি আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে? বিচিত্র ধরনের দুর্ঘটনায় আহত ও পঙ্গু মানুষের খুব কষ্ট। আর অনেকেই এত গরিব এবং অসহায়। একজনের সামান্য অর্থে ক’জনেরই বা যৎসামান্য উপকার হতে পারে? ঈদের দিন কাটে তাদের আনন্দে নয়, সংগোপন কান্নায়। অনেক রোগীরই ঈদের দিন কাটে স্বজনদের মুখ দেখার আশায়। অথচ তাদের সেই আশা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পূরণ হয় না। সাধারণত অবস্থাসম্পন্ন রোগীরা প্রাইভেট ক্লিনিক বা হাসপাতালেই চিকিৎসা করান। পঙ্গু হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নেন তাদের ভেতর যেমন হতদরিদ্র রোগী আছেন, তেমনি আছেন নিম্নবিত্ত বা স্বল্পবিত্ত শ্রেণীর মানুষ। পঙ্গু হাসপাতালের দুস্থ রোগীদের ওয়ার্ডে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটালেও একবারের জন্যও মনে হবে না যে আজ ঈদের দিন। কোথাও কোন খুশি নেই, নেই নতুন পোশাক পরে রোগীর কোন নিকটজনের আগমন। ব্যতিক্রম শুধু দুপুরের খাবার পরিবেশনে। পোলাউ-মুরগির মাংস ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এখানেও কিছুটা ‘কৃচ্ছ্রতা’ চোখে পড়ে। পাতলা ডালের মতো লালচে ঝোলের নিচে ডুবে থাকে মাংসের ছোট ছোট পিস। বিতরণকৃত রসগোল্লাও বাজারের সবচেয়ে ক্ষুদ্রাকৃতির। তবু তো রোগীরা এদিন ‘উন্নত মানের’ খাবার খেতে পারছেন। এখানে একজন রোগীর সঙ্গে তার নিকটজনও থাকেন। তাদের সংখ্যা অনেক সময় একাধিকও হয়ে থাকে। তারা অবশ্য ওই খাবার পান না। শুধু রোগীর জন্যই বরাদ্দ হাসপাতালের খাবার। অন্তত ঈদের দিন প্রতিটি রোগীর পাশাপাশি অন্তত বাড়তি একজনের খাবার সরবরাহ করার ব্যবস্থা নেয়া কি বিরাট কিছু? এটি ¯্রফে সদিচ্ছার প্রশ্ন। ঈদের দিন মেহমানদের জন্য বাসাবাড়িতে বাড়তি খাবার রাখা আমাদের সংস্কৃতিরই অংশ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনুরূপ বিষয়টি ভেবে দেখতে পারেন। ঈদের আগে-পরের শহর ঈদের সময়, ঈদের আগে এবং পরে রাজধানীর চিত্র অন্যান্য বছরের মতো এবারও একই রকম ছিল- এমনটা বলা যেতে পারে। ঈদের আগে ঢাকা ফাঁকা করে বিপুলসংখ্যক মানুষের ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায়- শহর ও গ্রামের উদ্দেশে ছুটে যাওয়া সাধারণ নিয়মে পরিণত। যারা ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও যেতে ব্যর্থ হন তাদের হৃদয়ের ভেতর চেপে রাখা দীর্ঘশ্বাস, যারা যান না বলে আগে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখেন তারা এবং তাদের সঙ্গে ঢাকার অন্য নাগরিকরা ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নেন। রাস্তাঘাটে যানবাহন ও মানুষের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে আসায় ঢাকার চিরচেনা বা বলা ভাল স্থায়ী হয়ে যাওয়া রূপ বদলে যায় সাময়িকভাবে। এবার আষাঢ়ের আগে-আগে ঈদ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বৃষ্টির সঙ্গে ঈদের আনন্দ ও বিড়ম্বনার ছন্দোময় ও দ্বন্দ্বময়- এক মিশ্র অবস্থা চলেছে। ঈদগাহে তো আর ছাদ সিস্টেম নেই, ফলে ঈদের জামাতে শামিল হতে যাওয়া মানুষের ভেতর বহুজনের বৃষ্টিতে ভেজার অভিজ্ঞতা হয়েছে। সাবধানীরা অবশ্য রেইনকোটে আপাদমস্তক মুড়ে হাজির হন ঈদগাহে। ছাতি তো আছেই। ঈদ মৌসুমে ঢাকার আরেকটি দুশ্চিন্তা বাসাবাড়ি ও মার্কেটের দোকানের নিরাপত্তা রক্ষা করা। চৌর্যবৃত্তি যাদের পেশা তারা ঢাকার এই ফাঁকা পরিস্থিতি থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা আদায়ের প্রচেষ্টা চালাবে এ তো জানা কথাই। চাঁদ দেখা না দেখা ২৮ রমজান সোমবার ছিল শেষ কর্মদিবস। কাদের জন্য শেষ? যারা অফিস-আদালত-ব্যাংকে চাকরি করেন। অবশ্য আগের দিন লায়লাতুল কদরের জন্য সরকারি ছুটি ছিল। ঈদে ঢাকা ত্যাগকারী অনেক চাকরিজীবী ওই ছুটির দিনটার আগের দিনটাকেই শেষ কর্মদিবস বানিয়ে ঢাকা ত্যাগের প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন। এবার অবশ্য তারও আগের দুটি দিন শুক্র-শনি অনেকেরই ছুটির দিন। ভেবেছিলাম তাই ২৮ রমজান ঢাকা অনেকটাই ফাঁকা থাকবে। কোথায় ফাঁকা! ঢাকায় এখন এত বেশি মানুষ যে অর্ধেক মানুষও যদি রাস্তায় না বেরোয় তবু রাস্তাগুলো ভারাক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই ঢাকার শেষ কর্মদিবসেও ঢাকায় পাবলিক যান-স্বল্পতা এবং প্রাইভেট যানসমূহের জট লেগে থাকা এক স্বাভাবিক বিষয় বলেই ধারণা হয়। একটা কথা না বললেই নয়, পাবলিক বাস-মিনিবাসে ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের কাছ থেকে বখশিশ আদায় করা হয়। পনেরো টাকা ভাড়া হলে আপনাকে কুড়ি টাকা দিতেই হবে। শুধু কি বাসেই বোনাস চলে? মোবাইল ফোনে রিচার্জ করতে যাবেন। ফ্লেক্সি লোড করে দোকানি কয়েকটি টাকা বাড়তি রেখে দেবেই। এখন আর সেবাপ্রদানকারী বা এজাতীয় দোকানি ঈদের বখশিশ চেয়ে নেন না। জোরপূর্বক আদায় করে নেন। সত্যিকারার্থে চানরাতই হলো ঢাকার কর্মজীবীদের শেষ কর্মদিবস বা কর্মরজনী। তবে ঈদের দিনও কাজে যান এমন মানুষের সংখ্যাও কি কম? ঈদ মানেই সবার ছুটি নয়। যেমন সাংবাদিকতার পেশায় জড়িত মানুষ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টজন, হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মচারী- এদের ছুটি নেই। কারও কারও রয়েছে অতিরিক্ত কাজ। কোথাও বেরুবো না, ঘরে থাকব। এমন পণ করলেও দুয়েকটা জায়গায় না গেলে চলে না। ঘর থেকে বেরুতেই দেখি রিক্সাওয়ালা কাজে নেমে পড়েছেন। রিক্সাওয়ালারা কাজে না বেরুলে আমাদের কি হাঁটতে হতো না? ট্যাক্সি ক্যাব নিয়ে চালকরা না বেরুলে গন্তব্যস্থানে যেতামই বা কী উপায়ে? আমি ঈদ করছি, আর আমার ঈদ উদযাপনের সুবিধার্থে কেউ ভূমিকা রাখছেন। যদিও সেটা তার বা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন। আবার আমার অনেক বন্ধু, স্বজন ও সহকর্মীর মতো তিন দিন নিরবচ্ছিন্ন ছুটি উপভোগ করা আমার পক্ষে কি সম্ভব হচ্ছে? যা হোক, চান রাতের কথায় আসি। মধ্যরাত পর্যন্ত মার্কেটগুলো প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর থাকে। সেই সাত সকালে সেলুন, বিউটি পার্লারগুলো খুলেছে, জানি বন্ধ হতে হতে মাঝরাত পেরিয়ে যাবে। রমজানে একটি মাস রাতে যারা তারাবি নামাজ পড়েছেন চানরাতে তাদের তো আর তারাবি নেই। বাড়তি সময়টুকু তাদের জন্য সুযোগ করে দেয় ঈদ নিয়ে পরিকল্পনার। চানরাত থেকেই মোবাইলে ঈদের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো শুরু হয়ে যায়। আর একটি কাজও হয়। সেটি হলো মেয়েদের হাতে মেহেদি লাগানো। ঢাকায় মেহেদি পাতা বেটে কেউ কি আর মেহেদি লাগায়? এখন কত বাহারি নামে মেহেদির টিউব কিনতে পাওয়া যায়। চান রাতে মা বসে বসে মেয়েকে মেহেদি লাগিয়ে দেন। নিজের হাতেও লাগান শখ হলে। আমাদের বোন আর খালাদের দেখেছি তারা মেহেদি দিতেন সাতাশে রোজায়। নামাজ আর মেহেদি। তালগোল পাকিয়ে যেত কারও কারও। এখন সাতাশে রোজায় অল্পজনই মেহেদি লাগায় বলে ধারণা করি। চানরাতেই দেয়। একদিক দিয়ে এটাই ভাল। আগে শবে কদরের রাতে মেহেদি দেয়ায় ঈদের দিনে অনেকটাই ঝাপসা দেখাত। চানরাতে দেয়ায় দারুণ উজ্জ্বল থাকে মেহেদির রং! আর কত বিচিত্র নকশা! পরিবারের কেউ যদি নজরকাড়া নকশায় মেহেদি দেয়ায় পারদর্শী হয়ে থাকে তাহলে সবাই তার কাছেই আবদার জানায়। এ সবই ঈদের আনন্দকে আরেকটু রাঙিয়ে দেয়ার বাসনায়। তবে মোটামুটি নিশ্চিত থাকার পরও চানরাত নিয়ে কিছুটা সংশয় দেখা দেয়। সাধারণত সৌদি আরবে যেদিন ঈদ হয়, তার পরের দিন বাংলাদেশে ঈদ পালিত হয়। এর খুব একটা ব্যতিক্রম দেখা যায়নি অনেকগুলো বছর। এবার ২৯ রোজায় মানুষ ইফতারির পর বিটিভি খুলে বসে থেকেছে ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ গানটি শোনার জন্য। কাক্সিক্ষত গান আর বাজেই না। রাত আটটার খবরও শুরু হয়ে গেল। সংবাদ পাঠিকার মাথার ঘোমটাও মাথাতেই থাকে। ঈদের চাঁদ দেখার খবর পাওয়া গেলেই বিটিভির সংবাদ পাঠিকা আবার রমজান মাসের আগের অবয়বে ফিরে আসেন। র্অথাৎ মাথায় আর ঘোমটা থাকে না। তার মাথায় ঘোমটা দেখে এবং চাঁদ দেখা কমিটির দীর্ঘ নীরবতার সুবাদে কাল ঈদ হবে কি হবে না এই নিয়ে মানুষের মনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা শুরু হয়। বিশেষ করে গৃহিণীদের তথ্যটা জানা বেশি জরুরী। ঈদ হলে তার বিশেষ প্রস্তুতি নিতে হবে। যাহোক, এর পরের ঘটনা পুরো দেশের মানুষই জনেন। প্রথমে ঘোষণা আসে চাঁদ দেখতে না পাওয়ার। তার দু’ঘণ্টা বাদে সংশোধনী আসে যে চাঁদ দেখা গেছে, কাল ঈদ। অবশ্য এরই মধ্যে ফেসবুকে অনেকেরই দেখলাম ধৈর্যচ্যুতি ঘটে গেছে। এসব দেখে-শুনে দুলাইন লিখেই ফেললাম সেই বিখ্যাত কবিতার অনুসরণে- চাঁদ উঠুক না উঠুক কাল ঈদ।’ ৯ জুন ২০১৯ [email protected]
×