নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল ॥ বাউফলের বগা ইউনিয়নের বালিয়া চাঁদকাঠী গ্রামের চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীর (১২) ইজ্জতের মূল্য ধার্য করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা। ওই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খোরশেদের নেতৃত্বে ৩-৪ জনের একটি সালিশ বৈঠকে এ টাকা ধার্য করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা থানায় মামলা করেছেন। আজ বুধবার শিশুটিকে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৯ মে বগা ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের কোডন মোল্লার ছেলে সাকিব মোল্লা (২০) ঈদ উপলক্ষে ফেড়ি করে মেহেদী বিক্রি করতে বালিয়া চাঁদকাঠী গ্রামে যায়। ওইসময় তার সাথে খলিল মোল্লা নামের আরো এক সহযোগি ছিল। বিকালে ছাত্রীটি বাড়ির পাশের মাঠে গরু আনতে গেলে ওই সময় সাকিব ও তার সহযোগী খলিল ছাত্রীটিকে প্রলোভন দেখিয়ে একটি পরিত্যক্ত খরের গাদায় নিয়ে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার পর ছাত্রীটি ধর্ষণের ঘটনা বাড়িতে জানায়। ছাত্রীটির বাবা বগা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খোরশেদ মিয়াকে জানালে তিনি সালিশ বৈঠক ডেকে ধর্ষিত ছাত্রীর ইজ্জাতের মূল্য ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করেন। ১০ হাজার টাকা পরিশোধের পর বাকি ১০ টাকা পরিশোধে সময় ক্ষেপন করলে মঙ্গলবার ছাত্রীটির বাবা বাউফল থানায় এসে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে বগা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য খোরশেদ মিয়া বলেন, যেহেতু মেয়েটি অপরিচিত তার সাথে কথা বলার অপরাধেই সাকিবের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। তবে ধর্ষণের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি, ছাত্রীটিকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: