ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শিশুবিকাশে বিনোদন

সমাজ ভাবনা - বিষয় ॥ বিনোদনের অভাব

প্রকাশিত: ০৯:২২, ১৩ জুন ২০১৯

সমাজ ভাবনা  - বিষয় ॥ বিনোদনের অভাব

সোহাগ মনি ॥ চিত্তবিনোদন মানুষের আবেগকে আন্দোলিত করে, অর্থাৎ আমাদের যে ভাবনা-চিন্তা, স্বপ্ন তা বিনোদনের মাধ্যমে হয়ে ওঠে আরও প্রাণবন্ত। সুষ্ঠু বিনোদন আমাদের দেখাতে পারে আগামীর সম্ভাবনা। জীবনের সব গ্লানি দূর করে, বিনোদন আমাদের নতুন করে চলতে শেখায়, বিনোদন আমাদের দেয় দিন শেষে প্রশান্তি। বিনোদন সব সময় আনন্দই দেয় যে তা নয়, এর ছলে শিখিয়ে যায় অনেক কিছুই, যা জীবনকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সহায়ক। শিশুদের সামাজিকীকরণের বেলায় বিনোদন খুব প্রভাব ফেলে। অর্থাৎ বিনোদন যে রকম হবে, শিশুর চিন্তা চেতনা আর ভাবনায় ফেলবে তা দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব। এ জন্য দরকার সুষ্ঠু এবং পর্যাপ্ত বিনোদন, আর তা না হলে জীবন হয়ে পড়ে এককেন্দ্রিক, একঘেঁয়েমি। আবার শুধু বিনোদন হলেই চলে না, দরকার সুষ্ঠু বিনোদন। বিনোদনকে আজকাল আমরা এককেন্দ্রিক করে ফেলেছি, শুধু বাসার ভেতরে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে বিনোদন। এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, না হয় আগামীর শিশুদের চিন্তা হবে কেবল এক কেন্দ্রিক, ভাবনার জগৎ হবে সীমাবদ্ধ। এই সীমাবদ্ধতাকে দূর করতে, বিনোদনের ক্ষেত্রকে আরও প্রসারিত করতে হবে, বিনোদন হবে এমন, যাতে আনন্দের পাশাপাশি শিশুরা জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু শিখবে। সুষ্ঠু বিনোদনের অভাব আমরা প্রায়ই লক্ষ্য করি। বিশেষ করে শহরে, এক্ষেত্রে মা-বাবা আরও একটু সচেতন হবে, খেয়াল রাখা উচিত শিশুরা কোন ধরনের বিনোদন নিচ্ছে এবং এতে আসক্তি হয়ে পড়ছে কি না! কিংবা যথাযথ বিনোদন পাচ্ছে কি না শিশু, এ ব্যাপারে খেয়াল রাখা জরুরী। বিনোদনের অভাব শিশুকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে। জীবনের প্রতি দেখা দিতে পারে অনীহা। শিশুকে প্রতিদিনই কোন না কোন দিক থেকে এর আওতাধীন রাখতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে। বিনোদন কেন্দ্রগুলোর সঠিক পরিচর্যা করে, তা শিশুদের জন্য রাখতে হবে উন্মুক্ত। তাহলেই গড়ে উঠবে সমৃদ্ধ চিন্তাশীল জাতি, না হয় জীবনের প্রতি অতৃপ্তি আর হতাশা গ্রাস করবে, আগামী প্রজন্মের ওপর। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
×