ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জনকণ্ঠের প্রকাশিত রিপোর্টের প্রেক্ষিতে পেল স্পন্সর

অবশেষে উজবেকিস্তান যাচ্ছে দাবাড়ু খুশবু

প্রকাশিত: ১১:৩০, ১৩ জুন ২০১৯

  অবশেষে উজবেকিস্তান যাচ্ছে দাবাড়ু খুশবু

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বয়স মাত্র ৭। চেহারাটা খুবই মিষ্টি। এত আস্তে কথা বলে, শোনাই যায় না! স্বভাবেও বেশ লোজুক মেয়েটি। অথচ ৬৪ ঘরের দাবা বোর্ডে বসলেই সে একেবারে পাল্টে যায়। প্রতিপক্ষ যতই সিনিয়র-অভিজ্ঞ হোক, মোটেও ঘাবড়ায় না। বরং জেতার জন্য চেষ্টা করে সর্বাত্মক। এই বয়সেই দেশী-বিদেশ সব ধরনের টুর্নামেন্ট মিলিয়ে ৯টিতে চ্যাম্পিয়ন, ৬টিতে রানারআপ এবং ১টিতে তাম্রপদক পেয়েছে। এর মধ্যে আছে তিনটি আন্তর্জাতিক শিরোপা। অভাবনীয় এই সাফল্য কুড়ানো এই খুদে দাবাড়ুর নাম ওয়ারসিয়া খুশবু। ক’দিন ধরেই মন ভাল ছিল না খুশবুর। কেননা একটি মাত্র বিমান টিকেট এবং নিবদ্ধন ফির অর্থের অভাবে তার উজবেকিস্তানে যাওয়া হয়ে পড়েছিল অনিশ্চিত। ওখানে তার এশিয়ান ইয়ুথ চেস চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার কথা, যা অনুষ্ঠিত হবে ১৯-২৯ জুন পর্যন্ত (গত বছর এই চ্যাম্পিয়নশিপের অনুর্ধ-৬ বিভাগে খুশবু স্বর্ণপদক জয় করেছিল)। এ নিয়ে দৈনিক জনকণ্ঠে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ‘খুদে দাবাড়ু খুশবুর আহাজারি’ শিরোনামে। তবে বুধবার আবার হাসি ফিরে এসেছে খুশবুর মুখে। কেননা তার উজবেকিস্তান যাওয়া নিশ্চিত হয়েছে। সেটা সম্ভব হয়েছে জনকণ্ঠে খুশবুর রিপোর্টটি প্রকাশের প্রেক্ষিতেই। খুশবুর পাশে দাঁড়িয়েছে একটি সফটওয়্যার কোম্পানি ‘বিট মাসকট প্রাইভেট লিমিটেড।’ তারা উজবেকিস্তানে দাবা টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য এন্ট্রি ফি ও এয়ার টিকেট বাবদ এক লাখ ষাট হাজার টাকার চেক দিয়েছে। মহাখালীর নিউ ডিওএইচএসে নিজেদের অফিসে খুশবুর হাতে সেটা তুলে দেন প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার আবু বকর সিদ্দিক, ফিন্যান্স ম্যানেজার অসীম কুমার ঘোষ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীবও, যিনি খুশবুকে কোচিং করান এলিগেন্ট চেস একাডেমিতে। চেক পেয়ে খুশবুর প্রতিক্রিয়া, ‘আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। দোয়া চাইবেন আমি যেন ভাল খেলতে পারি।’ গ্র্যান্ডমাস্টার রাজীব বলেন, ‘বিট মাসকটকে ধন্যবাদ খুশবুর পাশে দাঁড়ানোর জন্য।’ ভবিষতেও প্রতিষ্ঠানটি দাবায় সহায়তা থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে। তারা বিশ্বাস করে উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোরশেদ এবং নারী দাবার কিংবদন্তি রানী হামিদের মতো এখনও অনেক মেধাবী বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে। তারাও সুযোগ পেলে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে আরও সাফল্য ও সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার যোগ্যতা রাখে। চেক প্রদান অনুষ্ঠানে সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন খুশবুর বাবা মেহেদী কায়সার এবং তার মা এশা কায়সার।
×