ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অনিন্দ্য সুন্দরের সৈকত কুয়াকাটা

প্রকাশিত: ১১:৫৭, ১৪ জুন ২০১৯

অনিন্দ্য সুন্দরের সৈকত কুয়াকাটা

একে তো প্রচন্ড তাপদাহ তার উপর আবার প্রকৃতিতে শীতল বাতাস নেই বললেই চলে। প্রশান্তির জন্য হলেও ঘুরে আসা দরকার। এমন মুহূর্তে আপনি ভাবছেন কোথায় যাবেন ঘুরতে? মাথায় আসছে না! ঠিক এমন তাপদাহের সময় আপনি ঘুরে আসতে পারেন সমুদ্রপাড়ে। সমুদ্রের স্নিগ্ধ বাতাস আর শরীর ভেজানোর একটা প্রচেষ্টা তো করাই যায়। একটু হলেও গরম থেকে মুক্তি মিলবে। আপনি যেতে পারেন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে। কুয়াকাটায় যে শুধু গরম থেকে মুক্তি মেলাতে যাবেন এমনটা নয় আপনি এক সঙ্গে দুটি কাজ করতে পারেন। সৈকত থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য অবলোকন করতে পারেন। এমন যে একই সঙ্গে রথ ও দেখলেন, কলা ও বেচলেন। অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি কুয়াকাটা প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। দেশ বিদেশের ভ্রমণপ্রিয়সী মানুষদের কাছে কুয়াকাটার জনপ্রিয়তা বেশ তুঙ্গে। কুয়াকাটাকে বলা হয় সাগরকন্যা। এই সাগরকন্যার অবস্থান দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর লাগোয়া পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায় সাগরকন্যার কুয়াকাটার অবস্থান। সাগরকন্যার কাছে গেলে আপনি দেখতে পাবেন সাগরের বিশাল আকুতির বড় বড় ঢেউ। যেসব ঢেউ আছড়ে পড়ছে সৈকতে। ঢেউ আছড়ে পড়ার শব্দ শুনে আপনার মনে নতুন এক শিহরণ জাগবে। আপনার হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করবে প্রকৃতির মাঝে। কুয়াকাটার জিরো পয়েন্টে দাঁড়িয়ে আশপাশে দেখা মেলবে লাল কাঁকড়ার। কিলবিল করছে লাল কাঁকড়া। পর্যটকদের কাছে এ দৃশ্যটি মন কাড়ার মতো। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ছাড়াও আপনি সেখানে গিয়ে দেখতে পারেন প্রাচীন কুয়া। এক সময় কুয়াকাটায় বসবাসকারী রাখাইনরা মিঠা পানির জন্য বেশ কিছু কুয়া খনন করেন। পানীয় জলের প্রয়োজন মেটাতে যে কুয়া খনন তারা করেন ধারণা করা হয় সে থেকেই নাকি কুয়াকাটার নামকরণ। রয়েছে গঙ্গামতির চর, লেমুর চর, রাসমেলা, শুঁটকিপল্লীসহ বেশক’টি দৃষ্টিনন্দন জায়গা। যেভাবে আসবেন কুয়াকাটায় : সড়ক ও নৌপথ, উভয়ভাবেই কুয়াকাটায় পৌঁছানো যায়। ঢাকার সদরঘাট থেকে আপনি লঞ্চযোগে পৌঁছাতে পারেন সেখানে। এছাড়া ঢাকার সায়েদাবাদ টার্মিনাল, গাবতলী বাসটার্মিনাল থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশে ছেড়ে যায় গাড়ি । আপনি সড়ক পথে সেখানে যেতে পারেন। আর আপনি যদি চান তাহলে ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়েও সেখানে যেতে পারেন। সেটা একান্তই আপনার বিষয়। লঞ্চে গেলে একটি সুবিধা হলো আপনি যেতে যেতে নদীর সৌন্দর্যও উপভোগ করতে পারবেন। থাকার জায়গা : পর্যটকদের জন্য রয়েছে বেশ ক’টি হোটেল মোটেল। এসব হোটেলে আপনি এসি, নন-এসি রুম পাবেন। হোটেল ভেদে ভাড়ার তারতম্য। এছাড়া আপনি জেলা পরিষদের ডাক বাংলো, সড়ক জনপদ বিভাগের ডাক বাংলোতেও থাকতে পারবেন। খাবার জায়গা : মানসম্মত খাবার কে না খেতে চায়। যেহেতু আপনি একটি জায়গায় ঘুরতে যাবেন সেহেতু খাবারের বিষয়টি সর্বদা আপনাকে মাথায় রাখতেই হবে। আপানার পছন্দনীয় খাবারগুলো সাজিয়ে রেখেছে সেখানকার রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ। কম খরচে আপনি এসব খাবার খুব আয়েশ করে খেতে পারেন। যেহেতু এখন পবিত্র মাহে রমজান। সেহেতু রেস্টুরেন্টগুলো সেহরি এবং ইফতারের সময় রুচিকর, সুস্বাদু খাবার তৈরি করে থাকে।
×