ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মালদ্বীপে হ্যান্ডবল লীগে বাংলাদেশের সুমির ক্লাব চ্যাম্পিয়ন

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ১৪ জুন ২০১৯

মালদ্বীপে হ্যান্ডবল লীগে বাংলাদেশের সুমির ক্লাব চ্যাম্পিয়ন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দু’বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো মালদ্বীপের ‘হাভারু ওমেন্স হ্যান্ডবল টুর্নামেন্ট’-এ খেলেন বাংলাদেশের সুমি বেগম। বাংলাদেশের প্রথম হ্যান্ডবলার হিসেবে বিদেশের লীগে খেলা সুমি এবার অংশ নেন মালদ্বীপের থিনাদো দ্বীপের লাম্বাদা ক্লাবের হয়ে। দেশ ছাড়ার আগে বলে গিয়েছিলেন আবারও বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করতে চান তিনি। কথা রেখেছেন তিনি। কেননা তার দল চাম্পিয়ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনালে লাম্বাদা ২৭-২৬ গোলে প্রতিপক্ষ আকুয়া প্যারাডাইসকে হারায়। সুমি একাই করেন ১৫ গোল। পুরো আসরে মোট ৮২ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারটিও তিনিই পান। একই দলের ফাথিমাথ আরুশা ৫৫ গোল করে হন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা, তার গোল সুমির চেয়ে ২৭টি কম! এর আগে সেমিফাইনালে সুমির দল ১৪-৯ গোলে হারায় সেনোরাসকে। ম্যাচে সুমি একাই করেন ১১ গোল। হন ম্যাচসেরাও। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার মেয়ে ২৬ বছর বয়সী সুমির ক্লাব লীগ পর্যায়ের ম্যাচে আকুয়া প্যারাডাইস স্পোর্টসকে ১৯-১৮ গোলে, যুম্বা হ্যান্ডবল টিমকে ১৯-৪ গোলে এবং বিল্লাবং হাই এমএমকে ৩০-২ (এ ম্যাচেও সেরা খেলোয়াড় হন সুমি) গোলে হারায়। তবে চতুর্থ ম্যাচে সেনোরাস দলের বিপক্ষে ২৩-২৩ গোলে ড্র করে। পঞ্চম ম্যাচে হেরে যায় আকুয়া প্যারাডাইসের কাছে। তবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ তিনের মধ্যে থাকার সুবাদে (৫ দলের মধ্যে) লাম্বাদার সেমিতে উঠতে কোন সমস্যা হয়নি। এবার ফাইনালে আকুয়াকে হারিয়ে কড়ায়-গ-ায় বদলা নিল সুমির লাম্বাদা ক্লাব। ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপনে জনকণ্ঠকে সুমি জানান, ‘ফাইনালে জিততে আমাদের ভীষণ কষ্ট হয়েছে। একপর্যায়ে তো জেতার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। আমার ইনজুরি ছিল। তারপরও পেইনকিলার ইনজেকশন নিয়ে খেলেছি। অবশেষে আমরা চ্যাম্পিয়ন হওযাতে যত না খুশি হয়েছি, তার চেয়েও বেশি খুশি হয়েছি আমার প্রিয় বাংলাদেশের মান-সম্মান রাখতে পারায়, দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারায়।’ উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রথম হ্যান্ডবলার হিসেবে বিদেশের লীগে খেলেন সুমি বেগম, ২০১৭ সালে। সিক্স মিটার পজিশনের খেলা সুমি সেবার খেলেছিলেন মালদ্বীপের ড. আব্দুল সামাদ মেমোরিয়াল হসপিটাল হ্যান্ডবল দলের হয়ে, হাভারু উইমেন্স হ্যান্ডবল টুর্নামেন্টে। সেই আসরে ৫২টির মতো গোল করেছিলেন সুমি। হয়েছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। দলকেও চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। ২০১৭ সালের লীগ চ্যাম্পিয়ন ক্লাবটি এবার খেলেনি। আগের মতো ৮ দলের টুর্নামেন্টও হয়নি এবার। এবার আসর অনুষ্ঠিত হয় ৫ দল নিয়ে। সুমি যে দলের হয়ে খেলেন, সেই লাম্বাদা ক্লাবটি একেবারেই নতুন ক্লাব। সেই ক্লাবের প্রথম ও স্মরণীয় শিরোপা জেতাতে সুমির ৮২ গোলের অবদানই যে সবচেয়ে বেশি, তাতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।
×