ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদে শিশু কর্নার

প্রকাশিত: ০৯:৪৫, ১৫ জুন ২০১৯

 ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদে  শিশু কর্নার

বিশ্ব ঐতিহ্য ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ। দেশের প্রাচীনতম ঐতিহাসিক এই মসজিদের প্রতিদিন ঘুরতে আসে দেশী-বিদেশী হাজারও পর্যটক। তাদের সুবিধার্থে এবং শিশুদের কাছে এই স্থাপনাটি আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে এবার ষাটগম্বুজ মসজিদ প্রাঙ্গণে চালু করা হয়েছে শিশু কর্নার। শিশুদের প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক স্থাপনার প্রতি আগ্রহী করতে এবং পরিবারের সঙ্গে এসে শিশুরা যেন আরও স্বাচ্ছন্দ্য উপভোগ করতে পারে তার জন্যই এ আয়োজন। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কো ১৯৮৫ সালে ঐতিহাসিক মসজিদের শহর হিসেবে বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদসহ খানজাহানের স্থাপত্যগুলোকে তালিকাভুক্ত করে। বর্তমানে সংরক্ষিত এসব পুরাকীর্তির মধ্যে ষাটগম্বুজ মসজিদ কমপাউন্ডের কিছু উন্নয়ন কাজ করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর। শিশুদের জন্য কর্ণার ছাড়াও ঐতিহাসিক ঘোড়া দীঘির পাড়ে পায়ে চলা পথ নির্মাণ, বসার জন্য বিশ্রামাগার, ফুট লাইট ইত্যাদি আকর্ষণীয় করে বাগেরহাট জাদুঘর সম্প্রসারণ করা হয়েছে। মসজিদের দক্ষিণ পাশে বাগেরহাট জাদুঘরের বিপরীতে করা শিশু কর্নারে ছোট পরিসরে শিশুদের জন্য বিভিন্ন রাইডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব রাইডে চড়ে শিশুরা আনন্দের সঙ্গে জানতে পারে বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে। শিশু কর্ণারের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অবিভাবক ও পর্যটকরা। শিশু কর্ণারে দোলনা, স্লিপার আর ডেকি-কল রাইডে চড়ছে শিশুরা। এ সময় তাদের আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছিল দিগন্ত প্রসারিত। এখানে সপরিবারে ঘুরতে আসা যশোরের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘোরাঘুরি আগ্রহটা ছোট বেলা থেকেই। দেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থানে ঘুরেছি। তবে এখানে এসে আমার কাছে ‘শিশু কর্নারে’র ধারণাটা খুবই ভাল লাগে। শিশুদের জন্য এমন একটা জোন করা খুবই ভাল উদ্যোগ। এতে শিশুদের আরও বেশি আকৃষ্ট করবে এ ধরনের ঐতিহাসিক-দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণে। ‘দেশের সব পর্যটন স্পট এমন শিশু কর্ণার করা সম্ভব হলে পর্যটন কেন্দ্র শিশু-কিশোরদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হবে। সেই সঙ্গে আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে তাদের আরও জানার আগ্রহ বাড়বে বলে তিনি মনে করেন। -বাবুল সরদার, বাগেরহাট থেকে
×