ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

চুয়াডাঙ্গায় দূষণ হচ্ছে মাথাভাঙ্গা নদীর পানি

প্রকাশিত: ০৩:২৯, ১৫ জুন ২০১৯

চুয়াডাঙ্গায় দূষণ হচ্ছে মাথাভাঙ্গা নদীর পানি

নিজস্ব সংবাদদাতা, চুয়াডাঙ্গা ॥ চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার গোশত পট্টির পশু ও মুরগীর রক্ত-বর্জ্য পচে মাথাভাঙ্গা নদীর পানি দুষণের পাশাপাশি উৎকট দূর্গন্ধে ব্যবসায়ী, ক্রেতাসহ নদীর দুপাড়ে বসবাসকারীদের মারাত্মক স্বাস্থ্যহানীর ঘটনা ঘটছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, স্থানীয় পৌরসভা ও সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার মিলছে না। ফলে পরিবেশ বিপর্যস্থতার পাশাপাশি এলাকাবাসীদের শ্বাসকষ্ট, শরীরের ভেতরে ইনফেকশন, পেটের পীড়া, চর্মরোগসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়া হলে এলাকায় ব্যাপক স্বাস্থ্যহানী ঘটার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। চুয়াডাঙ্গা বড়বাজারের মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় গোশত. মাছ, সবজি ও মুদি বজার। প্রবেশ মুখেই সপ্তাহের প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার বসে পানের হাট। প্রধান সড়কের পাশে বসে মৌসুমী ও বিদেশী ফলের বাজার । এ বাজারে বিশেষ করে গোশত পট্টিতে রয়েছে অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা। একটি মাত্র ড্রেন দিয়ে শহর ও বাজারের ময়লা পানি, রক্ত-বর্জ্য গিয়ে মাথাভাঙ্গা নদীর পানি দূষণ করছে। চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. মো: খায়রুল আলম বলেন, বাজারে গরু, ছাগল ও মুরগী জবাই করা রক্ত-পানি সব মাথাভাঙ্গা নদীর পানিতে মিশছে। বর্জ্য অপসারণের ভাল ব্যবস্থা না থাকায় রক্ত পচে যে দূর্গন্ধের সুষ্টি হয় তাতে জনস্বাস্থ্যের বিরাট ক্ষতি হচ্ছে। এখানে বায়ু ও পানি দূষণ হচ্ছে। বায়ু দূষণের কারনে শ্বাসকষ্ট ও শরীরের ভেতরে ইনফেকশন দেখা দেয় আর পানি দূষনের কারণে পেটের পীড়া ও চর্মরোগ হয়। বৈজ্ঞানিক পদ্বতিতে এখান থেকে বর্জ্য অপসারণ না করতে পারলে এ এলাকায় ব্যাপক স্বাস্থ্যহানী ঘটবে। চুয়াডাঙ্গা পৌসভার মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, সমস্যা সমাধানে বাজারে একটি আধুনিক মানের কসাইখানার প্রয়োজন। এজন্য ইতিমধ্যেই ইউজিপ-৩ এর দ্বিতীয় ফেজে একটি প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করি এ প্রস্তাব পাশ হয়ে আসবে। তখন আধুনিক মানের একটি কসাইখানা নির্মাণ করলে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
×