ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে নকলা থানার ওসিকে প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ১৫ জুন ২০১৯

শেরপুরে নকলা থানার ওসিকে প্রত্যাহার

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ শেরপুরের নকলায় ডলি খানম নামে এক অন্তঃস্বত্ত্বা গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলায় এবার নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। আগামী ১৮ জুন নকলা উপজেলা নির্বাচনের পর তাকে প্রত্যাহার করা হবে। ওই ঘটনায় জেলা পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম আজ শনিবার সকালে সাংবাদিকদের নিকট নকলা থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে একই ঘটনায় নকলা থানার এসআই ওমর ফারুককে প্রত্যাহার করে শেরপুর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। এদিকে ওই চাঞ্চল্যকর মামলায় নাসিমা আক্তার নামে এজাহারনামীয় একজন গ্রেফতার হলেও ৪ দিন পরও গ্রেফতার হয়নি অপর কোন আসামি। তবে পুলিশ বলছে, মামলার পরপরই অন্যান্য আসামিরা এলাকা ছেড়ে গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সেইসাথে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি মহিলা পরিষদ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উদ্বেগ প্রকাশ করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও নির্যাতিতা গৃহবধূর পাশে দাঁড়িয়ে ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আশ্বস্ত করার পর এলাকায় স্বস্তি ফিরে আসে। তবে অনেকটা আত্মস্বীকৃত ওই ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এখন স্থানীয় একটি মহল দৌড়-ঝাপ শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এতে ফায়দা লুটার সুযোগ খুজছে আরও কেউ কেউ। উল্লেখ্য, গত ১০ মে নকলা উপজেলার কায়দা গ্রামে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ডলি খানম নামে এক অন্ত:স্বত্ত্বা গৃহবধূকে গাছে বেঁধে বর্বরোচিত নির্যাতন এবং ওই নির্যাতনে গৃহবধূর গর্ভের সন্তান নষ্টের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর নকলা থানা পুলিশের এসআই ওমর ফারুক ঘটনাস্থল থেকে ওই নির্যাতিতা নারীকে উদ্ধার এবং ঘটনায় জড়িত ২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেলেও ওই নারীকে হাসপাতালে পাঠিয়ে নানা তদবিরে আটক ২ জনকে ছেড়ে দেন। ঘটনার এক মাস পর নির্যাতনের একটি ভিডিও ভাইরাল হলে তোলপাড় শুরু হয় এবং গত ১১ জুন এক সেনা সদস্যসহ ওই গৃহবধূর ৩ ভাসুর ও জাসহ ৯ জনকে স্ব-নামে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা গ্রহণ করা হয়।
×