ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিল্পকলায় প্রাচ্যনাটের নাটক ‘ট্র্যাজেডি পলাশবাড়ি’

প্রকাশিত: ০৯:০৮, ১৬ জুন ২০১৯

 শিল্পকলায় প্রাচ্যনাটের নাটক ‘ট্র্যাজেডি পলাশবাড়ি’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রাচ্যনাটের নন্দিত প্রযোজনা ‘ট্র্যাজেডি পলাশবাড়ি’ নাটকের বিশেষ মঞ্চায়ন হবে। ‘ট্র্যাজেডি পলাশবাড়ি’ নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন আজাদ আবুল কালাম। মঞ্চ ও আলো আবুল হাসনাত ভূঞা রিপন, সঙ্গীত ও শব্দ পরিকল্পনায় নীল কামরল, কোরিওগ্রাফি স্নাতা শাহরিন, মোঃ ফরহাদ আহমেদ, পোশাক বিলকিস জাহান জব, সহকারী নির্দেশনা জগন্ময় পাল, বাকার বকুল, নির্দেশকের সহকারী প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ, মঞ্চ সহকারী রেজাউল রেজা, শশাংক সাহা, আলো সহকারী মোখলেছুর রহমান। সঙ্গীত ও শব্দ প্রযোগ চেতনা রহমান ভাষা, বিন-ই-আমিন, দ্রব্য সামগ্রী আফসান আনোয়ার, ভিডিও চিত্র নির্মাণ সাইফুল ইসলাম জার্নাল, পোস্টার, লিফলেট, টিকেট সব্যসাচী হাজরা, গান সংগ্রহ ‘ধু ধু ঘাটায় দেইয়া ঠেকে’ রন্তিক বিপু, পোশাক সহকারী কামরুন নাহার মণি, দ্রব্য সামগ্রী সহকারী গোপী, নায়ীমী, ভিডিওচিত্র নির্মাণ সহকারী আল-আমিন খন্দকার, রায়হান রাফি, রায়হান আফসার, ভিডিও ভযেস হীরা চৌধুরী, আরেফ সৈয়দ, ফটোগ্রাফি জাঈদ ইসলাম, প্রজ্ঞা, মঞ্চ নির্মাণ দীপ, ফুয়াদ, আরিফ, রাজু, রানা, অভিক, পাভেল, আদনান, ইভন, আতিক, ইমন রিপা, রিতা, রিংকু, আলো সরবরাহ স্পটলাইট, মিলনায়তন ব্যবস্থাপনা প্রাচ্যনাট কর্মীবৃন্দ, প্রযোজনা অধিকর্তা রিফাত আহমেদ নোবেল প্রযোজনা সহকারী মোঃ সোহেল রানা, সার্বিক তত্ত্বাবধানে সাইফুল ইসলাম জার্নাল, ইন্সটলেশন এবিএস জেম। জানা যায় ২০০৫ সালের ১১ এপ্রিল গভীর রাতে সাভারের পলাশবাড়িতে ধসে পড়ে স্পেকট্রাম সোয়েটার এ্যান্ড নিটিং ফ্যাক্টরি। সে সময় ফ্যাক্টরিতে রাতের শিফটে কাজ করছিলেন শতাধিক কর্মী। সেই ঘটনায় নিহত হয় প্রায় ৬৪ জন। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে জানা যায়, কোন রকম ঝুঁকি মোকাবেলার ব্যবস্থা ছাড়াই ঘটনার তিন বছর আগে ফ্যাক্টরিটি তৈরি হযেছিল একটি জলাভূমির ওপর। ‘ট্র্যাজেডি পলাশবাড়ি’ নাটকটি সেই ঘটনাকেই কেন্দ্রীভূত করে লেখা ‘ট্র্যাজেডি পলাশবাড়ি’ যেখানে একক চরিত্র তারাভান। সেদিনের নাইট শিফটে কাজ করতে আসা কর্মীদেরই প্রতিচ্ছবি। নাটকটি গ্রন্থিত হয় তার স্মৃতিচক্র, স্বপ্নচক্র আর জীবনচক্রের রোমন্থনে। যে কোন সময় মাথার ওপর ছাদ ভেঙে পড়ে পিষে দেবে তার জীবন, এমনকি তার নড়ার উপায়টুকুও নেই। এ রকম অবস্থায় সে যেন এক প্রকার তার সমগ্র জীবনের পাওয়া-না পাওয়ার হিসাব মিলিযে নেয়। সেই হিসাব প্রতিনিধিত্ব করে তারই মতো শত শত তারাভানের, যাদের অনেকেই এভাবে মরে যায়, আবার কেউ কেউ বেঁচে থাকে কারখানার মেশিনের মতো নির্বাক আজ্ঞাবহ হযে, দাস হযে। তারাভানের স্মৃতিচক্রের সমান্তরালে একই ঘটনাকে দেখা যায় একজন ভিনদেশি আউটসোর্সিং পারসন মিস্টার ওযেস্ট এর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। এই আকস্মিক ঘটনায় তার প্রতিক্রিয়া বিশ্বমঞ্চে যেসব চিত্র তুলে ধরে সেগুলো তারাভানরা কখনও জানে না, কিংবা জানার সুযোগ পায় না।
×