ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাজেট ঘাটতি বাড়ছে কেন?

প্রকাশিত: ০৯:৩৪, ১৬ জুন ২০১৯

 বাজেট ঘাটতি বাড়ছে কেন?

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত এক দশকে ক্রমান্বয়ে বড় হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের পরিমাণ। পাল্লা দিয়ে বাড়ে ঘাটতিও। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি ছিল মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ দশমিক ৮ শতাংশ। এরপর ২০১১-১২ অর্থবছরে যা ৪ শতাংশ এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে যা দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৭ শতাংশে। তবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রায় ১ শতাংশ কমে ঘাটতি নামে ৩ দশমিক ৫ শতাংশে। যদিও পরের অর্থবছরেই আবার তা বেড়ে হয় ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। বাজেট ঘাটতির দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। গত বছরে (২০১৮ সালে) শ্রীলঙ্কার বাজেট ঘাটতি হয় জিডিপির ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০০৯ সালে দেশটিতে ঘাটতি ছিল ৯ দশমিক ৯ শতাংশ; যা গত ১ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর ২০১৮ সালে পাকিস্তানের বাজেট ঘাটতি হয় জিডিপির ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। যা ২০০৯ সালে ছিল ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৮ শতাংশ ঘাটতি ছিল ২০১২ সালে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাজেট ঘাটতির তালিকায় সবচেয়ে ভাল অবস্থানে আছে ভারত। ২০১৮ সালে ঘাটতি ছিল জিডিপির ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। ২০০৯ সালে ছিল ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ২০১১ সালের পর ভারতের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ প্রতি বছরই কমেছে। এ তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার চেয়ে ভাল অবস্থানে আছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলো। ২০১৮ সালে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৭ শতাংশ বাজেট ঘাটতি দেখা গেছে ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ায়। ২০১৮ সালে ফিলিপাইনের বাজেট ঘাটতি হয় জিডিপির ৩ শতাংশ। গত বছর থাইল্যান্ডের বাজেট ঘাটতি হয় ২ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ার ঘাটতি হয় জিডিপির ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাজেটের ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে সিঙ্গাপুরে। ঘাটতির পরিবর্তে দেখা যাচ্ছে উদ্বৃত্ত; ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুর বাজেট উদ্বৃত্ত হয় জিডিপির শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ। গেলো ১০ বছরের মধ্যে ৭ বারই ছিল উদ্বৃত্ত।
×