ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভেজালবিরোধী অভিযানে রমজান মাসে ২ কোটি টাকা জরিমানা আদায়

প্রকাশিত: ০৯:৩৭, ১৬ জুন ২০১৯

 ভেজালবিরোধী অভিযানে রমজান মাসে ২ কোটি টাকা  জরিমানা আদায়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ভেজালবিরোধী অভিযানে আড়ং, পারসোনাসহ ৩ হাজার ১২৭ প্রতিষ্ঠানকে ২ কোটি ৩৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মে মাসে দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় ভেজালবিরোধী সাঁড়াশি অভিযানে এ জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।ভেজাল, পচাবাসি, মেয়াদহীন খাবার ও ইফতার বিক্রি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি, মিথ্যা বিজ্ঞাপন, বিদেশী পণ্যে আমদানিকারকের স্টিকার না থাকা এবং অবৈধ নকল পণ্য ও কসমেটিকস বিক্রিসহ বেশি দামে পণ্য বিক্রির অপরাধে এসব জরিমানা করা হয়। অধিদফতর সূত্র জানায়, চলতি বছরের মে মাসে বিভিন্ন অভিযোগ নিষ্পত্তি ও অভিযানে দেশব্যাপী ৩ হাজার ১২৭ প্রতিষ্ঠানকে ২ কোটি ৩৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় ৯০ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫ শতাংশ পুরস্কার হিসেবে ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৭৫ টাকা প্রদান করা হয়। অবশিষ্ট ২ কোটি ৩২ লাখ ২ হাজার ১২৫ টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দেয়া হয়। সূত্র আরও জানায়, প্রতি বছরই রমজান মাসে চাহিদা বেশি থাকায় কিছু অসৎ মুনাফালোভী ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। তাই পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার মিল, আড়ত ও পাইকারী খুচরা বাজার, বিভিন্ন ছোট-বড় শপিংমলে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ভোক্তার অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে এমন অভিযোগে ফুটপাথ থেকে শুরু করে নামীদামী ব্র্যান্ডের প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। এ সময় সুপারশপ আলমাস, মোস্তফা মার্ট, বিবিবি কসমেটিকস, দেশীয় ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠান আড়ং, পারসোনা, অফিসার্স ক্লাবসহ নামীদামী বিভিন্ন রেস্তরাঁকে জরিমানার আওতায় আনা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কাজ করছে। এর ধারাবাহিকতায় অন্যান্য মাসের মতো রমজানে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় অনেক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।’ তবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করা মূল উদ্দেশ্য নয় উল্লেখ করে ভোক্তা অধিদফতরের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘জরিমানা করা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে আমরা অধিদফতরের পক্ষ থেকে কাউন্সিল করেছি, যেন আগামীতে তারা এ ধরনের কোন অপরাধ না করে। প্রতিটি ব্যবসায়ী আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভোক্তা অধিকার ক্ষুণ্ণ হয় এমন কাজ তারা করবে না।’ তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের এমন প্রতিশ্রুতি আগামীতে ভোক্তার স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয় এমন অপরাধ কমে যাবে। এভাবেই একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আমরা এগিয়ে যাব।’
×