ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শেরপুরে নির্যাতিতা সেই গৃহবধূর পাশে জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত: ০৪:৪৬, ১৬ জুন ২০১৯

শেরপুরে নির্যাতিতা সেই গৃহবধূর পাশে জেলা প্রশাসক

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ গাছে বেঁধে নির্যাতনের শিকার ডলি খানম নামে সেই গৃহবধূর পাশে দাঁড়িয়েছেন এবার শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব। তিনি আজ রবিবার সকালে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই গৃহবধূর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে যান। ওইসময় তিনি গৃহবধূর বেডের পাশে দাঁড়িয়ে তার সাথে কথা বলেন এবং তার পরিবারের নিরাপত্তাসহ ঘটনার ন্যায়বিচারে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। একইসময় তিনি গৃহবধূর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য সিভিল সার্জন ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের দায়িত্বশীল ও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। ওইসময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম এহছানুল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডাঃ রেজাউল করিম, এনডিসি মেজবাউল আলম ভূঁইয়া, জেলা সদর হাসপাতালের চলতি দায়িত্বে থাকা আরএমও ডাঃ খাইরুল কবির সুমন, গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ চৌধুরী শামীমাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ওই গৃহবধূ ডলির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে প্রথমে তাকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে শনিবার দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। এদিকে চাঞ্চল্যকর ওই মামলায় গ্রেফতারকৃত অন্যতম আসামি নাসিমা আক্তার (৩৯) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ দিনের পুলিশ রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রবিবার দুপুরে আসামি নাসিমা আক্তারের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের দীর্ঘ শুনানী শেষে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুল ইসলাম খান ওই রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন। নাসিমা আক্তার গৃহবধূ ডলি খানমের জা অন্যতম আসামি লাখী আক্তারের বড়বোন। রিমাণ্ড মঞ্জুরের তথ্য নিশ্চিত করে কোর্ট ইন্সপেক্টর খন্দকার শহীদুল হক ওই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, গত ১০ মে নকলা উপজেলার কায়দা গ্রামে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ডলি খানম নামে এক অন্ত:স্বত্ত্বা গৃহবধূকে গাছে বেঁধে বর্বরোচিত নির্যাতন এবং ওই নির্যাতনে গৃহবধূর গর্ভের সন্তান নষ্টের ঘটনা ঘটে। ঘটনার এক মাস পর নির্যাতনের একটি ভিডিও ভাইরাল হলে তোলপাড় শুরু হয়। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমের দ্রুত পদক্ষেপে গত ১১ জুন এক সেনা সদস্যসহ ওই গৃহবধূর ৩ ভাসুর ও জাসহ ৯ জনকে স্ব-নামে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা গ্রহণ করা হয়। ওই মামলার পরদিন গ্রেফতার হয় এজাহারনামীয় আসামি নাসিমা আক্তার। অন্যান্য আসামীরা এখনও পলাতক রয়েছে।
×