ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

কবীর চৌধুরী তন্ময়

জয়, জিয়ে, জিন্দাবাদ; অতঃপর...

প্রকাশিত: ০৯:০০, ১৭ জুন ২০১৯

 জয়, জিয়ে, জিন্দাবাদ; অতঃপর...

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ইতিহাস বিকৃতির জন্য ঘৃণিত ও সমালোচিত ‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ বই নিয়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রথম প্রধান একে খন্দকার সস্ত্রীক সম্প্রতি সময়ে সংবাদ সম্মেলন করে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ঠিক যেন অস্তগামী সূর্য তার ক্লান্ত শরীর নিয়ে যেভাবে পশ্চিমা আকাশে হেলে পড়ে তেমনিভাবে একে খন্দকারও মনে করেছে, জীবন বয়সের মুমূর্ষু এই অবস্থায় অন্তত সত্যটা প্রকাশ করে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে যদি নিজের ভুল ও মিথ্যাচারের পাপমোচন করা কিছুটা সম্ভব হয়। এটি আত্ম-অনুসূচনার ক্ষমা প্রার্থনা বলেই আমি মনে করি। ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে একে খন্দকার বলেন, ‘আমার লেখা বই ‘১৯৭১ ভেতরে বাইরে’ ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে ‘প্রথমা প্রকাশনী’ থেকে প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশনার পর বইটির ৩২ নম্বর পৃষ্ঠায় উল্লিখিত বিশেষ অংশ ও বইয়ের আরও কিছু অংশ নিয়ে সারাদেশে প্রতিবাদ ওঠে। বইটির ৩২ নম্বর পৃষ্ঠায় উল্লিখিত বিশেষ অংশটি হলো- ‘বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণেই যে মুক্তিযুদ্ধ আরম্ভ হয়েছিল, তা আমি মনে করি না। এই ভাষণের শেষ শব্দগুলো ছিল, ‘জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান। তিনি যুদ্ধের ডাক দিয়ে বললেন, ‘জয় পাকিস্তান’-এই অংশটুকুর জন্য দেশপ্রেমিক অনেকেই কষ্ট পেয়েছেন বলে আমি বিশ্বাস করি। এই তথ্যটুকু যেভাবেই আমার বইতে আসুক না কেন, এই অসত্য তথ্যের দায়ভার আমার এবং বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে কখনই ‘জয় পাকিস্তান’ শব্দ দুটি বলেননি। আমি তাই আমার বইয়ের ৩২ নম্বর পৃষ্ঠার উল্লিখিত বিশেষ অংশ সংবলিত পুরো অনুচ্ছেদটুকু প্রত্যাহার করে নিচ্ছি এবং একই সঙ্গে আমি জাতির কাছে ও বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।’ ভুল ও মিথ্যাচার নিয়ে একে খন্দকারের সংবাদ সম্মেলন, বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মাসহ জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক হলেও কিছু প্রশ্ন থেকে যায়। এতদিন পরে এই ‘ক্ষমা’ চাওয়া কিংবা ‘অপরাধ স্বীকারোক্তি’ থেকে পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির শাস্তি কী? আর ভুলই যদি হয়ে থাকে তাহলে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর কেন? সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এটির স্পষ্ট উত্তর দিয়ে একে খন্দকারের স্ত্রী ফরিদা খন্দকার বলেন, ‘গণস্বাস্থ্যে কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও মঈদুল হাসানসহ বেশ কয়েকজন লোক এসেছিল। তারা বেশ কিছুদিন আমাদের পাহারা দিয়ে রেখেছিল আমরা যেন সংশোধন করতে না পারি। আর মঈদুল হাসান বলেছিল, গুলি তো ছেড়ে দিয়েছ, এখন কি গুলির পিছে দৌড়াবা?’ এখন প্রশ্ন আসতে পারে, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও মঈদুল হাসান কেন ইতিহাস বিকৃতির সংশোধন করতে দেয়নি? আবার একে খন্দকার কোন প্রকারে সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাতে না পারে, সে ব্যাপারে কেন তারা পাহারা বসিয়েছিল- এটি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্বীকার না করলেও টিভি টকশোগুলোতে তিনি জয়, জিয়ে, জিন্দাবাদকে প্রতিষ্ঠিত করতে ইনিয়ে-বিনিয়ে কথা বলার ধরনটি খন্দকারের স্ত্রী ফরিদা খন্দকারের অভিযোগের পক্ষেই অবস্থান সৃষ্টি করেছে। পাকিস্তান জিন্দাবাদ বললে জাফরুল্লাহ খারাপ কিছু দেখছেন না বরং বঙ্গবন্ধুর পরিক্বতার ইতিবাচক দিক নাকি খুঁজে পাচ্ছেন। জাফরুল্লাহ কতটুকু হাস্যকর ও নিজে অপরিপক্ব হলে এই খোঁড়া যুক্তি উপস্থাপন করে নিজের অপরাধ ঢাকার চেষ্টা করছে- এটিও এখন আর লুকায়িত নয়। অন্যদিকে এই মিথ্যাচার ও বিকৃত ইতিহাসই সত্য- এটি বোঝানোর জন্য ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করেন বিচারপতি হাবিবুর রহমান ও শামসুর রাহমানের নামও তাদের লেখা। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে দেখি, জয় বাংলা স্লোগানকে আড়াল করতেই ‘জয় পাকিস্তান’, ‘জিয়ে পাকিস্তান’, ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’, দিয়ে মিথ্যাচার শুরু হয় আশির দশকে জামায়াতের মুখপাত্র ‘দৈনিক সংগ্রাম’-এর মাধ্যমে। তার পরবর্তী সময়ে এর হাল ধরেন মঈদুল হাসান। মঈনুল হাসান ‘জয় পাকিস্তান’-এর খোঁজে পাকিস্তানের ডন পত্রিকার শব্দ ধরে-ধরে রীতিমতো অনুবীক্ষণ যন্ত্রের মতন অনুসন্ধান করেছে। কিন্তু ডন পত্রিকার তখনকার সংস্করণের কোথাও ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ খুঁজে পাননি। পাকিস্তানের ডন পত্রিকাও মিথ্যাচার না করে তখন মঈদুল হাসানকে হতাশ করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং পরবর্তী সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তথা দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের লেখা ‘বাংলাদেশের তারিখ’ বইটি আলোচনা ও সমালোচনা হয় প্রথম আলোর ঈদ সংখ্যায় প্রকাশিত লেখার সূত্র ধরে। সে সময় আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে বিচারপতি হাবিবুর রহমান বলেছিলেন, ভোরের কাগজে ‘বাংলা ভাষার অসমাপ্ত ইতিহাস’ শীর্ষক কলামে ‘জিয়ে পাকিস্তান’ বলার কথা উল্লেখ করায় কেউ প্রতিবাদ করেনি, তাই তিনি তা সত্য বলে ধরে নিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ’৭১ সালের ৮, ৯ ও ১০ মার্চের সংবাদপত্রে ‘জিয়ে পাকিস্তান’ বলার সত্যতা না পেয়ে দ্বিতীয় সংস্করণে তা সংশোধন করা হয়। অথচ অভিযুক্ত গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিচারপতি হাবিবুর রহমানের ‘বাংলাদেশের তারিখ’ বইটির প্রথম সংস্করণের কথা বললেও সংশোধিত দ্বিতীয় সংস্করণের তথ্যটি ঢেকে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, শামসুর রহমান যে ওই ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন- এটিও এড়িয়ে যাচ্ছে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক মহাসমাবেশের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল, বঙ্গবন্ধুই ছিলেন একক বক্তা। যাকে ঘিরে শত প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে দেশের সর্বস্তরের বাঙালী তখনকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহ্রাওয়ার্দী) একত্রিত হয়েছিল। আর ওই বক্তৃতার মাঝ সময়ে বঙ্গবন্ধু খবর পেয়েছেন তাঁর বক্তব্যটি তখন রেডিওতে সরাসরি সম্প্রচার না করতে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে রেডিওর কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকলের প্রতিবাদ-প্রতিরোধের কারণে তা ৮ মার্চ সম্প্রচারিত করতে বাধ্য হয়। এ ছাড়া ৭ মার্চের ভাষণের লিফলেটও প্রচারিত হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ৮ মার্চ দৈনিক সংবাদ, দৈনিক ইত্তেফাকসহ সব পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণই ছিল মূল শিরোনাম। এদিন ‘সামরিক আইন প্রত্যাহার কর’ শিরোনামে শেষের পাতায় পুরো ভাষণটি প্রকাশ করে দৈনিক পূর্বদেশ। প্রকাশিত ওই ভাষণের বিভিন্ন সংস্করণে বানানের কিছুটা ভিন্নতা ছাড়া ‘জয় পাকিস্তান’ বা ‘জিয়ে পাকিস্তান’ খুঁজে পাওয়া যায়নি। ৭ মার্চের ভাষণ শেষে জয় পাকিস্তান নিয়ে অনেকেই বিতর্ক সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করেছে কিন্তু তার পক্ষে কোন ধরনের ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি। আর বিচারপতি হাবিবুর রহমান, অভিযুক্ত মঈদুল হাসান ছাড়াও যাদের কথামালা বা বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা হয়েছে তাদের মধ্যে সাংবাদিক নির্মল সেন, হুমায়ূন আহমেদ, শামসুর রাহমানের পরে সর্বশেষ একে খন্দকার। জানা যায়, সাংবাদিক নির্মল সেন ছাড়া এদের কেউই ৭ মার্চের ভাষণের উপস্থিত শ্রোতা নয় বা কেউই সশরীরে ৭ মার্চের সমাবেশস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। আসলে ইতিহাস বিকৃতির স্রষ্টা মেজর জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে খুব সচেতনভাবেই মুক্তিযুদ্ধের মন্ত্রমুগ্ধ স্লোগান ‘জয় বাংলা’ বাদ দিয়ে ‘জিন্দাবাদের’ আমদানি করেছে রাষ্ট্রীয়ভাবে। শুধু তাই নয়, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে প্রথম যে দুটি অনৈতিক নির্দেশ দিয়েছিলেন তার একটি ছিল, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে রাজারবাগের বিদ্রোহী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা করা এবং দ্বিতীয়টি ছিল ডিএফপি, রেডিও এবং পিআইডি বরাবর ডেপুটি চিফ মার্শাল ল’ এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিস থেকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট পুরনো সব ছবি, রেকর্ড ও ফিল্ম পুড়িয়ে ফেলার স্ট্যান্ডিং অর্ডার। তখন অত্যন্ত সাহসিকতার কাজ করেছে চিত্রগ্রাহক এমএ মবিন। তিনি সাবধানতার সঙ্গে এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সে ডকুমেন্টগুলো না পুড়িয়ে সংরক্ষণ করেছিলেন যা ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনার কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এমএ মবিন একটি টিভি চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা ৭ মার্চের অডিও-ভিডিও রেকর্ড ‘কম করে হলেও ১০ বার’ দেখেছেন, বঙ্গবন্ধু কোন জায়গায় ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ বলেছেন কিনা তা বের করতে।’ এই জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে সামরিক ফরমানবলে সংবিধানে ‘জাতীয় মুক্তির জন্য একটি ঐতিহাসিক সংগ্রাম’-এর পরিবর্তে ‘জাতীয় স্বাধীনতার জন্য একটি ঐতিহাসিক যুদ্ধ’ ধারণাটি যুক্ত করে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণাকে সাম্প্রদায়িক ব্যাখ্যায় উপস্থাপন করে মূলত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উদারবাদী ভাবাদর্শকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার মাধ্যমে মৌলবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে। সংবিধানে এসব পরিবর্তন করার এখতিয়ার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জিয়া সরকারের না থাকলেও স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই এসব করার উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধু সরকার ধর্মবান্ধব নয়, ধর্মবিরোধী ছিল- এই ধরনের মিথ্যাচার ও তথ্য বিকৃতি করে রাজনীতিতে সুবিধা আদায় করা। রাজনৈতিক অবস্থান তৈরি করা। অত্যন্ত ধূর্ততা ও অশুভ চক্রান্তের আড়ালে মেজর জিয়াউর রহমানের ইতিহাসের ধারা পাল্টানোর যে প্রাতিষ্ঠানিক অপপ্রয়াস ছিল যার ধারাবাহিকতায় দেশের দরিদ্র, নিরীহ এবং অধিকাংশ অশিক্ষিত জনগোষ্ঠী তথা বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে পরিচালিত ইতিহাস বিকৃতির হীন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে আবদ্ধ করার অপচেষ্টাকে জোরদার করার প্রক্রিয়াকে দেশবাসী ঘৃণাভরে পর্যবেক্ষণ করেছে ’৭৫-এর পরবর্তী সময়ে। বিভিন্ন গণমাধ্যম, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া এবং ভাড়াটে লেখকদের সমাবেশ ঘটিয়ে সর্বস্তরে মিথ্যাচার ও বিবেকবর্জিত ইতিহাস বিকৃতির নৈরাজ্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রামী জীবন, জেল-জুলুম, নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করা এবং ত্যাগ-তিতিক্ষার যে গৌরবগাথা ইতিহাস নির্মাণ হয়েছে, তাকে মøান ও আড়াল করার লক্ষ্যে ইতিহাস বিকৃতির যে অনাকাক্সিক্ষত, অনভিপ্রেত ও অশুভ ধারা সৃষ্টি হয়েছে- এটি আজও অব্যাহত রেখেছে ডাঃ জাফরুল্লাহ-মঈদুল ও তাদের পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া কতিপয় প্রকাশনা। আমি মনে করি- দল, মত নির্বিশেষে একটি শক্তিশালী তথ্যনির্ভর জাতি গঠনে ইতিহাস বিকৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। অন্যদিকে ইতিহাস বিকৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ষড়যন্ত্রকারী ব্যক্তি ও মহলকে শাস্তির আওতায় আনতে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকরণ অপরাধ আইন’ দ্রুত পাস করা সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ অনলাইন এ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ)
×