ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মোস্তাফা জব্বার

ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের তিন স্তর

প্রকাশিত: ০৯:০১, ১৭ জুন ২০১৯

ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের তিন স্তর

আমরা জেনেছি যে শিশুদের ডিজিটাল দক্ষতার আটটি বিষয় রয়েছে। যেমন ১. ডিজিটাল পরিচয়, ২. ডিজিটাল অধিকার, ৩. ডিজিটাল স্বাক্ষরতা, ৪. ডিজিটাল যোগাযোগ, ৫. ডিজিটাল বুদ্ধিমত্তা, ৬. ডিজিটাল নিরাপত্তা, ৭. ডিজিটাল নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ এবং ৮. ডিজিটাল ব্যবহার। খুব সংক্ষেপে যে আটটি দক্ষতা অর্জন করাকে শিশুদের জন্য অপরিহার্য বলা হয়েছে তাকে বিস্তৃত করা যায়। এর ব্যাখ্যাও বিস্তারিত হতে পারে। দক্ষতার বিসয়গুলো থেকে এটি স্পষ্ট যে- এসব দক্ষতা অর্জন করার সঙ্গে ডিজিটাল যন্ত্র বা ডিজিটাল প্রযুক্তির বিশাল সম্পর্ক রয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি শিল্পোন্নত ও মানবসম্পদ অপ্রতুল এমন দেশগুলোকে উল্লসিত করেছে। তবে আমাদের মতো দেশের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি বা ডিজিটাল যন্ত্রই নয়- প্রয়োজন মানবসম্পদও। এই বিষয়টি মনে রাখতে হবে যে- মানুষ বস্তুগত দুনিয়াতে কাজ করুক আর ডিজিটাল দুনিয়াতেই কাজ করুক তার পুরোটাই হতে হবে মানবিক। মানুষ ডিজিটাল দুনিয়াতে যন্ত্রের মতো আচরণ করবে না বা মানুষে মানুষে পারস্পরিক সম্পর্ক সৌহার্দ্য, শ্রদ্ধাবোধ, ভদ্রতা, সৌজন্যবোধ কোনটাই বাদ দিয়ে চলবে না। শিশুদের ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনকে তিনটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে। ১. ডিজিটাল নাগরিকত্ব, ২. ডিজিটাল সৃজনশীলতা ও ৩. ডিজিটাল উদ্যোক্তা। ডিজিটাল নাগরিকত্ব : আমরা হয়তো খুব সহজেই ডিজিটাল নাগরিকত্ব কি হতে পারে তা অনুমান ও ব্যাখ্যা করতে পারি। যেমনি করে একটি দেশের নাগরিকত্ব অর্জন করা যায় তেমনি করে জন্ম থেকে ডিজিটাল দুনিয়াতে বাস করলে বা পরে ডিজিটাল জগতের বাসিন্দা হলে ডিজিটাল নাগরিকত্ব অর্জন করা যেতে পারে। আজকালের শিশুদের হয়তো সেই নাগরিকত্ব অর্জনের কথা বলতেও হয় না। শহরের শিশুরা বা অবস্থাপন্ন ঘরের শিশুরা শৈশব থেকেই ডিজিটাল নাগরিকত্ব পেয়ে যায়। নিজের মোবাইল না থাকলেও মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে গেম খেলায় মেতে ওঠা এখনকার দিনের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। অনেক বাসাতেই ফিক্সড ইন্টারনেট ও ওয়াইফাই থাকে তাই ডিজিটাল ডিভাইস হাতে নিয়েই ডিজিটাল নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব। বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে এখনও ইন্টারনেটের তেমন সম্প্রসারণ না হওয়ায় আমাদের গ্রামের শিশুদের বিষয়ে খুব দৃঢ়তার সঙ্গে বলা যাবে না যে তারা ডিজিটাল নাগরিক। তবে সামনের পাঁচ বছরে ডিজিটাল নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগই থাকবে না- প্রধানত বাড়ি বাড়ি ইন্টারনেটের প্রসারের ফলে। কিন্তু এই নাগরিকত্ব অর্জন যে সঠিকভাবে হচ্ছে সেটি নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না। আমরা যেমন করে নগরে এসে রাস্তা পার হবার সঠিক উপায় জানি না বা সিগন্যাল চালুই করতে পারি না, তেমনি করে ডিজিটাল নাগরিকত্ব অর্জনেও দক্ষতা অর্জন করতে পারছি না। ডিজিটাল সৃজনশীলতা : সৃজনশীলতা শব্দটির সঙ্গে আমরা পরিচিত হলেও ডিজিটাল সৃজনশীলতা বিষয়টি কি সেটি অনুভব করা আমাদের জন্য যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের বিষয় হতে পারে। খুব সাধারণভাবে সৃজনশীলতার সংজ্ঞাটি এরকম: সৃজনশীলতা হচ্ছে নতুন কিছু একটা যার মূল্যমান রয়েছে। এই নতুন বস্তুটি দৃশ্যমান হতে পারে, মেধাস্বত্ব হতে পারে, একটি ধারণা হতে পারে, উদ্ভাবন হতে পারে বা এমনকি সঙ্গীত, নৃত্য, সাহিত্যকর্ম বা চিত্রকর্মও হতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে এসব তো সাধারণ বিষয়। এর সঙ্গে ডিজিটাল দক্ষতার সম্পর্ক কি? অন্য অর্থে বলা যেতে পারে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সৃজনশীলতা কিভাবে তৈরি করা যেতে পারে? আমি শিশুদের মতো বোধগম্য করে বিষয়টিকে সহজে এভাবে বলতে চাই যে ডিজিটাল ডিভাইসেস বা প্রযুক্তি ব্যবহার করে সৃজনশীল কাজ করাটাই ডিজিটাল সৃজনশীলতা। এরই মাঝে আপনি চিন্তিত হয়ে পড়ে থাকতে পারেন যে একটি শিশু কেমন করে ডিজিটাল যন্ত্র বা প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিজিটাল সৃজনশীলতা অর্জন করতে পারে। এর মানে কি কম্পিউটার দিয়ে টাইপ করতে পারা, ছবি আঁকতে পারা, হিসাব-নিকাশ করতে পারা, প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে পারা ইত্যাদি। সরলভাবে বললে ডিজিটাল যন্ত্র বা প্রযুক্তি দিয়ে নতুন যা কিছুই তৈরি করা হোক না কেন সেটিকে আমরা ডিজিটাল সৃজনশীলতা অবশ্যই বলতে চাই। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম বিষয়টি সম্পর্কে বলেছে যে তিনটি পর্যায়ের মাঝে ডিজিটাল সৃজনশীলতা সবচেয়ে উপেক্ষিত একটি বিষয়। আমেরিকার বা আফ্রিকার নামের প্রতিষ্ঠানগুলো শিশুদের প্রোগ্রামিং বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। বিষয়টি আমরা আমাদের শিশুদের জন্য প্রোগ্রামিং নামক শব্দটার সঙ্গে সীমিত পরিমাণে পরিচয় করাতে সক্ষম হয়েছি মাত্র। বহু বছর অক্লান্ত শ্রম দিয়ে আমরা কেবল ১৮ সালে শিশুদের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পারলাম। ১৯ সালেও সেই প্রতিযোগিতার আয়োজন হচ্ছে। কিন্তু এটি এখনও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অংশ হতে পারেনি। কবে তেমনটি হবে সেটি আমি জানি না। কিন্তু মাউস ধরতে পারার সময় থেকে বা আঙুল দিয়ে ডিজিটাল যন্ত্রের পর্দ স্পর্শ করার সময় থেকেই যে প্রোগ্রামিং শেখা উচিত সেটিই বস্তুত দিক নির্দেশনা। ডিজিটাল উদ্যোক্তা বিষয়টি নজর এড়িয়ে যাচ্ছে তেমন নয়। উচ্চশিক্ষা স্তরে এটি এখন বেশ আলোচিত বিষয়। বিশ্বের অনেক খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয় টেকএন্টারপ্রেনরশিপ বা এন্টারপ্রেনরশিপ জাতীয় বিষয়ে উচ্চশিক্ষা দিচ্ছে। মারা ফাউন্ডেশন বা অশোকা চেঞ্জ মেকার স্কুল ধরনের কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে শিশুদের উদ্যোক্তা হবার প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। আমাদের দেশেও উদ্যোক্তা সংস্কৃতি গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সরকারের এটুআই, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এবং বেশকিছু বেসরকারী প্রতিষ্ঠান উদ্যোক্তা গড়ার কাজ করে যাচ্ছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে উদ্যোক্তা নাম ধারণাটি আমাদের সমাজেই ডিজিটাল যুগের প্রেক্ষিতে আলোচিত হয়নি। খুব সাম্প্রতিককালে ডিজিটাল কমার্সসহ, ডিজিটাল সেন্টার কিংবা ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর উদ্যোক্তা হবার প্রচেষ্টা লক্ষণীয়। কিন্তু বিষয়টি উচ্চশিক্ষা স্তরে না রেখে যদি স্কুল পর্যায়ে আনা যেত তবে সম্ভবত সবচেয়ে উপযোগী কাজটা হতো। অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে শিশুদের ডিজিটাল নাগরিকত্ব, পর্দায় তারা কতক্ষণ থাকছে তার যথাযথ ব্যবস্থাপনা, শিশুরা ইন্টারনেটে সুরক্ষিত কিনা বা তাদের হাতের কাছে সুরক্ষার টুল আছে কিনা, তারা যৌক্তিক চিন্তা করে কিনা, ওরা ডিজিটাল জগতের কোন কোন ক্ষেত্রে বিচরণ করে তার প্রতি নজর রাখা এবং শিশুদের ডিজিটাল জগতের সহায়তার বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। ডিজিটাল শিক্ষা সম্পর্কে যে বিষয়টি মনে রাখতে হবে সেটি হলো কেবল ডিজিটাল ক্লাসরুম বা ডিজিটাল পাঠ্য বিষয় নয়, যথাযথভাবে সেই শিক্ষার মূল্যায়ন করা এবং ডিজিটাল নাগরিকত্বের সকল বিষয়াদিই তার শৈশব থেকে শেখানো। ডিজিটাল উদ্যোক্তা : শিশুদের জন্য তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করতে চাইলে এটি বলতেই হবে যে ডিজিটাল যুগে, ডিজিটাল নাগরিকত্ব অর্জন করে, ডিজিটাল সৃজনশীলতা আয়ত্ত করতে সক্ষম হয়ে উদ্যোক্তা হতে না পারলে পুরো বিষয়টিই অধরা রয়ে গেল। ৩. ডিজিটাল উদ্যোক্তা : সাম্প্রতিককালে এটি খুব প্রচলিত শব্দ যে চাকরি নেব না চাকরি দেব। বিষয়টি খুব স্পষ্ট। যদি নিজে অন্যের চাকরি না করি তবে পেশা হিসেবে হলেও নিজে কিছু একটা করতে হবে। সেরকম কিছু একটা করার উদ্যোগ যিনি গ্রহণ করেন তিনি উদ্যোক্তা। খুব সাম্প্রতিককালে এই শব্দটি বিশেষত নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এমনকি এটিও বলা যায় যে, একটি উদ্যোক্তা সংস্কৃতি গড়ে তোলার প্রচেষ্টাও চলমান আছে। সরকারীভাবে যেমনি উদ্যোক্তা গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে তেমনিভাবে বেসরকারীভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। গ্রামে একটা চায়ের স্টল স্থাপন করা, একটি মুদি দোকান দেয়া বা হাটবাজারে মানুষের প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করার উদ্যোগ বহুদিন যাবত বহমান আছে। কৃষিযুগে যেসব উদ্যোগ সহজে সফল হতো শিল্পযুগে হয়তো সেগুলোর আবেদন তেমন থাকে না। ডিজিটাল যুগেও নতুন নতুন উদ্যোগ গড়ে উঠছে। ডিজিটাল উদ্যোগের কথা যদি বলি তবে আমাকে প্রথমেই স্মরণ করতে হবে ডিটিপি ব্যবসার কথা। ১৯৮৭ সালে প্রথম কম্পিউটারে কম্পোজ করা বাংলা পত্রিকা আনন্দপত্র প্রকাশের পর কম্পিউটারে বাংলা কম্পোজ করার সুযোগ তৈরি হয়। সেই সুবাদে একটি কম্পিউটার ও একটি ডটমেট্রিক্স প্রিন্টার দিয়ে ঘরে বসেই কম্পিউটারে বাংলা কম্পোজের কাজ শুরু হয়। এর সঙ্গে লেজার প্রিন্টার, ফটোকপিয়ার, ফোন-ফ্যাক্সের দোকানের জন্ম হয়। কম্পিউটার বিক্রিও ছোট উদ্যোগ হতে থাকে। এর সঙ্গে সাইবার ক্যাফে, আইএসপি, ডিসলাইন এসব গড়ে উঠতে থাকে। সময় আসে সফটওয়্যার বানানোর-ডিজিটাল সেবা প্রদানের এবং সেটি ক্রমশ আউটসোর্সিং-এও রূপান্তরিত হতে থাকে। ডিজিটাল উদ্যোক্তা হবার দুটি বড় দৃষ্টান্ত আছে। সারাদেশে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তোলার সময় নতুন প্রজন্মের প্রায় ৯ হাজার ছেলেমেয়ে নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ডিজিটাল ডাকঘর গড়ে তোলার সময়ও উদ্যোক্তা তৈরির সুযোগ তৈরি হয়। এখন এ্যাপ তৈরি করা একটি চমৎকার উদ্যোগ। এর বাইরেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমভিত্তিক ব্যবসা গড়ে তোলাও ডিজিটাল উদ্যোগের ক্ষেত্র প্রসারিত হচ্ছে। দেশের ব্যবসা বাইরে এবং টাকার ব্যবসা ডলারে রূপান্তরিত হতে থাকে। সাম্প্রতিককালে ডিজিটাল উদ্যোক্তার বিষয়টি যদি ভাবা হয় তবে সীমানাটি অসীম। বিদ্যমান প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে ৫জি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, বিগডাটা, ব্লক চেইনসহ আরও ডিজিটাল প্রযুক্তি। এখনই সময় এসব বিষয়কে ভিত্তি করে ডিজিটাল উদ্যোক্তা হবার। কেউ কেউ এমন প্রশ্ন করতেই পারেন যে শিশুরা এসব উদ্যোক্তা হবে কেন বা কেমন করে। শিশুদের বয়সটা তো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগ্রহণ করার জন্য। এই সময়েই যদি তাদের উদ্যোক্তার নামে ব্যবসায়ী বানিয়ে দেয়া হয় তবে তো লেখাপড়াটাই লাটে উঠবে। বিষয়টি একদম উড়িয়ে দেয়া যাবে না। তবে আমাদের প্রস্তাবনাটি হচ্ছে সমন্বিতভাবে শিশুর বুদ্ধিমত্তাকে গড়ে তোলা। আমরা প্রথমে যখন শিশুকে ডিজিটাল নাগরিক হতে বলেছি তখনই বস্তুত তাকে প্রচলিত পাঠ্য বই-বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থার বাইরে নিয়ে আসার কথা বলছি। আমাদের দেশের বহুজন তো শিশুদের হাতে মোবাইল ফোন বা ইন্টারনেটই দিতে চান না। শিক্ষক-অভিভাবক এমনকি আমলারা শিশুদের ইন্টারনেট থেকে দূরে রাখার পরামর্শ দেন। কোন কোন নাক কান গলার ডাক্তার এমনকি ফোন ব্যবহার না করারও পরামর্শ প্রদান করেন। আমরা যদি এসব কথা শুনি তবে মাত্র এক দশকে আমরা এমন এক প্রজন্মের কর্মী পাব যারা বস্তুত বিদ্যমান কোন কাজেরই উপযোগী হবে না। সামগ্রিকভাবে আমরা আমাদের শিশুদের বুদ্ধিমত্তার ডিজিটাল রূপান্তরের বিষয়টিকে এভাবে দেখতে চাই যে বহমান সভ্যতার সকল দক্ষতাকে সঠিকভাবে আয়ত্ত করার পাশাপাশি ডিজিটাল যুগের দক্ষতাগুলোও আয়ত্তে নিতে হবে। প্রথমে আমরা শিশুদের ৮টি দক্ষতা অর্জনের কথা বলেছি এবং তারপর তাদের যোগ্যতার তিনটি স্তরকে বিন্যস্ত করেছি। আমি নিজে মনে করি, ডিজিটাল যুগে শিশুদের জন্য সহজ কিছু উপায় গ্রহণ করলেই তাদের ডিজিটাল যুগের জন্য প্রস্তুত করা যায়। প্রথমত ডিজিটাল যুগটার সঙ্গে তাকে নিরাপদভাবে সম্পৃক্ত করা। এর মানে ডিজিটাল জগতের ততোটুকু তার জন্য উন্মুক্ত করা যতটা তার প্রয়োজন এবং যেখানে সে নিরাপদ। এর সঙ্গে আমি তাদের শৈশব থেকে প্রোগ্রামিং ও রোবোটিক্স শেখানোর পক্ষে। বস্তুত, এর মধ্য দিয়ে তারা তাদের সৃজনশীলতাটিকে বিকশিত করতে পারে। ভবিষ্যতে এই সৃজনশীলতা তার পেশাগত জীবনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। ডিজিটাল উদ্যোক্তা হবার দক্ষতাও সে প্রোগ্রামিং ও রোবোটিক্স থেকেই পেতে পারে। ঢাকা, ১৫ জুন ১৯ ॥ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান-সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার-এর জনক
×