ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শরীয়তপুরের কোয়ারপুরে দু’গ্রুপে সংঘর্ষে আহত ৮

প্রকাশিত: ০৯:০২, ১৬ জুন ২০১৯

শরীয়তপুরের কোয়ারপুরে দু’গ্রুপে সংঘর্ষে আহত ৮

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর ॥ শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের পশ্চিম কোয়ারপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪জনসহ ৮জন আহত হয়েছে। আহতরা হলো পশ্চিম কোয়ারপুর গ্রামের কাশেম মাদবর (৭০), তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৫০), ছেলে ইয়াকুব মাদবর (২৯), মেয়ে রুজিনা (২৮), দবির মাদবর (৭০), দেলোয়ার মাদবর (৪০), সবুজ মাদবর (২৮)। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় রবিবার (১৬ জুন) পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ, এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ডোমসার ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কোয়ারপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদ কাজীর সঙ্গে কাশেম মাদবরের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। কোয়ারপুর মৌজার ১৯ শতাংশ জমি নিয়ে ওই বিরোধ চলছিল। জমি নিয়ে একাধিক মামলাও চলছে। বুধবার বিকেলে উক্ত জমিতে টিনের বেড়া দেন কাশেম মাদবর গংরা। এ নিয়ে নুর মোহাম্মদ ও কাশেমের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। পরে নুর মোহাম্মদ কাজী ক্ষিপ্ত হয়ে তার সমর্থকদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওইদিন রাতে কাশেম মাদবর, সামচেল মাদবর ও মজিবর মাদবরের বাড়িতে প্রথমে ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায় ও হামলা চালিয়ে লুটপাট ও ভাংচুর করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় কাশেম, রাজিয়া, ইয়াকুব, রুজিনা, দবির, দেলোয়ার ও সবুজকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে হামলাকারীরা। খবর পেয়ে পালং মডেল থানার ওসিসহ পুলিশের একটি দল আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত কাশেম মাদবর ও দেলোয়ার মাদবরের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তাদের অবস্থা আশংকাজনক। কাশেম মাদবরের ভাতিজা খালেক মাদবর ও আনোয়ার মাদবর বলেন, জমিতে বেড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে নুর মোহাম্মদ কাজীর নেতৃত্বে¡ খলিল কাজী, মতি কাজী, এনামুল কাজী, সাহ কাজী, হালান কাজী, মালেক মাদবর, কুদ্দুস মাদবর, মতিন মাদবর, মফিজ মাদবরসহ শতাধিক সন্ত্রাসী আমাদের ও চাচার বাড়িতে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা আমাদের পাঁচজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তাছাড়া স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও আসবাবপত্র নিয়ে যায়। হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। এদিকে, নুর মোহাম্মদ কাজীর স্ত্রী রেনু বেগম (৫৫) বলেন, আমার স্বামীর সাথে কাশেম মাদবরের জমি নিয়ে বিরোধ আছে। সেই জমিতে টিনের বেড়া দিয়েছে কাশেমরা। সেই বেড়া ভেঙে দিয়েছি আমরা। কিন্তু আমাদের কেউ তাদের উপর হামলা করেনি। শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। এ ঘটনায় আহত কাশেম মাদবরের ছেলে ইয়াকুব মাদবর বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
×