ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিডিউল বিপর্যয়ে নীলসাগর এক্সপ্রেস ॥ ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৯:২৪, ১৭ জুন ২০১৯

 সিডিউল বিপর্যয়ে নীলসাগর এক্সপ্রেস ॥ ভোগান্তি

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ ঈদের পর থেকে চিলাহাটি-নীলফামারী-ঢাকা রেলপথে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেন নীলসাগর এক্সপ্রেস চরম সিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে। ট্রেনটি রবিবার পর্যন্ত ১১ ঘণ্টার ওপরে বিলম্বে চলাচল করছিল। এতে ট্রেনের যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সূত্র মতে, ট্রেনটির সিডিউল অনুযায়ী রাত ৯টা ২০ মিনিটে চিলাহাটি থেকে ছেড়ে ডোমার-নীলফামারী-সৈয়দপুর-পার্বতীপুর-ফুলবাড়ি-বিরামপুর-জয়পুরহাট-সান্তাহার-নাটোর-টাঙ্গাইল-জয়দেবপুর হয়ে ঢাকা কমলাপুর পৌঁছানোর কথা সকাল ৭টায়। ওই ট্রেনটি আবার সকাল ৮টায় ঢাকা কমলাপুর হতে একইভাবে ছেড়ে এসে সন্ধ্যা ৬টায় চিলাহাটি পৌঁছবে। কিন্তু ট্রেনটি সিডিউল অনুযায়ী চলাচলে ব্যর্থ হয়ে ১১ ঘণ্টা বিলম্বে চলাচল করছে। এতে দেখা যায় ট্রেনটি চিলাহাটি হতে রাত ৯টা ২০ মিনিটের পরিবর্তে রবিবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে ছেড়ে যায় ঢাকায়। রবিবার বিকেল ৪টায় ট্রেনটি টাঙ্গাইল ছেড়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। অথচ এই সময় ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছেড়ে চিলাহাটি পথে ফুলবাড়ি স্টেশনে ক্রস করার কথা ছিল। সূত্র মতে, ট্রেনটি ঢাকা কমলাপুরে পৌঁছানোর পর সেটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চিলাহাটি অভিমুখে ছেড়ে আসবে। যাত্রী সাধারণ বলছেন, ঈদের পর থেকেই ট্রেনটি তিন/চার ঘণ্টা বিলম্বে চলছিল। কিন্তু এই বিলম্বটি ধীরে ধীরে ১১ ঘণ্টা ছাড়িয়ে যায়। ফলে ১১ ঘণ্টার ওপরে ট্রেনটি বিলম্বে চলাচল করায় সাধারণ যাত্রীরা দিশাহারা হয়ে পড়ে। এই ট্রেনের চিলাহাটি, ডোমার, নীলফামারী ও সৈয়দপুর স্টেশনে ট্রেন ধরতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা প্লাটফর্মে অথবা আবাসিক হোটেলে রাত্রীযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। নীলফামারী স্টেশন মাস্টার রতন সরকার জানান, আন্তঃনগর নীলসাগর ট্রেনটি ১১টার ওপরে বিলম্বে চলাচল করার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে রেলের পশ্চিমাঞ্চলের চীফ সিগন্যাল এ্যান্ড টেলিকম ইঞ্জিনিয়ার অসীম কুমার তালুকদার বলেন, চিলাহাটি-ঢাকা-চিলাহাটি রেলপথের অনেক রেল স্টেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুটি ট্রেনের ক্রসিং দিতে বিলম্ব হচ্ছে ট্রেনের সময়সূচী। তবে নীলসাগর ট্রেনটির সাপ্তাহিক বন্ধ ছিল রবিবার। যেহেতু ট্রেনটি বিলম্বে চলছে সেহেতু শনিবারের রাতের যাত্রীদের নিয়ে ট্রেনটি ররিবার সকালে ঢাকা ছেড়ে যায়।
×