ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ই-কমার্স খাত ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখার দাবি

প্রকাশিত: ১০:২০, ১৭ জুন ২০১৯

 ই-কমার্স খাত ভ্যাটের  আওতামুক্ত রাখার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাজেটে অনলাইন কেনাকাটার ওপর ভ্যাট আরোপ করায় খাতটি পিছিয়ে পড়তে পারে। ক্রেতারা অনলাইন কেনাকাটা থেকে সরে আসবে। ই-কমার্স খাতে এখনও ভ্যাট আরোপের সময় আসেনি। আগামী পাঁচ বছর ই-কমার্স খাতকে ভ্যাটের আওতা মুক্ত রাখার দাবি জানানো হয়েছে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় দেশের সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার খাতের সংগঠনের নেতৃবৃন্দ যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত হার্ডওয়্যার খাতের সংগঠন বিসিএস, সফটওয়্যার খাতের সংগঠন বেসিস, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডর এ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) ও কল সেন্টার এ্যাসোসিয়েশন (বাক্য) যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে বাজেট বিষয়ে সংগঠনগুলোর প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সফটওয়্যার খাতের সংগঠন বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির বলেন, বাজেটে গত অর্থবছরের চেয়ে এ বছর তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২১৭৬ কোটির বেশি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এখান থেকে দক্ষ জনবল ও অবকাঠামো তৈরি পরিকল্পিতভাবে ব্যয় করলে সুফল পাওয়া যাবে। ব্যবসায়ী পর্যায়ে কম্পিউটার ও যন্ত্রাংশের ওপর মূসক অব্যাহতি ও নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য এক শ’ কোটি বরাদ্দ রাখার বিষয়টি ইতিবাচক। তবে বাজেটে ই-কমার্সসহ কয়েকটি খাতে ভ্যাট প্রত্যাহার চান তারা। ভ্যাটের কারণে তথ্যপ্রযুক্তির কয়েকটি খাত পিছিয়ে পড়বে। বিশেষ করে অনলাইন কেনাকাটায় বিরূপ প্রভাব ফেলবে। সংবাদ সম্মেলনে বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোপাইডর এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমএ হাকিম, (আইএসপি) হার্ডওয়্যার খাতের সংগঠন বিসিএস সভাপতি শাহিদ-উল-মুনীর ও কল সেন্টার এ্যাসোসিয়েশন (বাক্য) সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন প্রমুখ। সৈয়দ আলমাস বলেন, অনলাইনে কেনাকাটা পৃথিবীজুড়েই উৎসাহিত করা হচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশেই বড় বড় দোকান বন্ধ করে তারা অনলাইন কেন্দ্রিক ব্যবসা শুরু করেছে। অ্যামাজান, আলীবাবার মতো প্রতিপ্রষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এগুলোতে অনেক বড় প্রতিষ্ঠান বিশ্বজুড়েই হাজার হাজার অনলাইন কেনাকাটার সাইট রয়েছে। আমরা চাই স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে সরকারের রাজস্ব বাড়াতে। মানুষ দোকানে গিয়ে ভ্যাট না দিয়েও জিনিসপত্র কিনতে পারে। দোকান থেকে ভ্যাটের রিসিট না নিলেই ভ্যাট ফাঁকি দেয়া যায়। অনলাইনে কিন্তু এটা করা সম্ভব নয়। দেশে কেবল অনলাইন জনপ্রিয়তার দিকে যাচ্ছে-আর এই মুহূর্তে অনলাইন কেনাকাটায় ভ্যাট বসানো হলে সেক্টরটির চরম ক্ষতি হবে। ৫ বছর পর অনলাইন কেনাকাটায় সরকার ধীরে ধীরে ভ্যাট বসাক। আমাদের কোন কথা থাকবে না। আগে মানুষের কাছে অনলাইন জনপ্রিয়তা পাক। এটাও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের একটি সূচক। এখান থেকেও প্রমাণ হয় দেশ কতটা তথ্যপ্রযুক্তির দিকে এগিয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারের কাছে আমরা লিখিতভাবে জানাব। আমরা আশা করছি, সরকার বিষয়টি নিয়ে ভাববে। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি শাহিদ-উল-মুনীর বলেন, কম্পিউটার ও কম্পিউটার যন্ত্রাংশে এবং হার্ডওয়্যার পণ্যে ৫ শতাংশ আগাম কর অব্যাহতি প্রয়োজন। ২৪ ইঞ্চি পর্যন্ত মনিটরের ওপর মূসক প্রত্যাহারের বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হবে। এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবার সংজ্ঞায় হার্ডওয়্যারকে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, এবারের বাজেটে সোশ্যাল মিডিয়া ও ভার্চ্যুয়াল ব্যবসায় সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাটের কথা বলা হয়েছে।
×