দেশের হাওড় ও চর উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হবে বাকৃবি ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী

বাকৃবি সংবাদদাতা ॥ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা গৃহীত হয় এক একটি ইনস্টিটিউটকে কেন্দ্র করে। বাংলাদেশ হাওড় ও চরাঞ্চলের উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। এই লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে হাওড় ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়েছে। এই ইনস্টিটিউটকে কেন্দ্র করেই হাওড় ও চরের জন্য জনকল্যাণমূলক প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। রবিবার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাওড় ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘হাওড় ও চর উন্নয়ন আপনার জানা আপনার ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দীন আহমেদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সিনিয়র সচিব অধ্যাপক ড. শামসুল আলম। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে মিঠা পানির অনেক মাছই হারিয়ে যাচ্ছে। হাওড়ের অনেকেই খাঁচায় মাছ চাষের দিকে যাচ্ছে। ফলে হাওড়ের সাধারণ মানুষের কর্তৃত্ব হারিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের পরিস্থিতি দূর করতে হাওড় এলাকায় প্রচুর পরিমাণে পোনা মাছ ছাড়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়াও এ অঞ্চলের উন্নয়নে জনকল্যাণমূলক ও ভূমিহীন কৃষকের জন্য লাভজনক প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, এখন আর হাওড়াঞ্চল আগের মতো পিছিয়ে নেই। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনার আওতায় এ অঞ্চলে রাস্তা-ঘাট, বাজার ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এ অঞ্চলের কৃষি ব্যবস্থা নিয়ে আর একটু গবেষণা করে সময় উপযোগী প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে কৃষকদের মধ্যে সম্প্রসারণ করতে পারলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশের উন্নত জেলাগুলোর সঙ্গে পাল্লা দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে।