ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল ভারত

প্রকাশিত: ১২:৫৩, ১৭ জুন ২০১৯

 পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল ভারত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ। এটি জানতেই যেন কাঁপতে শুরু করে দেন পাকিস্তান ক্রিকেটাররা। সেই কাঁপন হারের পর থামে। রবিবার ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে যেমন আরেকটি ম্যাচের আগে তা হলো। শেষপর্যন্ত হার দিয়েই পাকিদের কম্পন থামল। এবার রোহিত শর্মার (১৪০) সেঞ্চুরিতে বৃষ্টি আইনে ৮৯ রানে জিতল ভারত। তাতে করে এর আগের ছয় বিশ্বকাপের মতো এবারও পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল ভারত। এবারও পাত্তাই পেল না পাকিস্তান। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের শুধু জয়জয়কারই হয়ে থাকল। ভারত ৭-০ পাকিস্তান, পরিসংখ্যান হয়ে গেল। চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের ম্যাচ। থাকবে উত্তেজনা, উন্মাদনা। ম্যাচে রোমাঞ্চ ছুঁয়ে যাবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরশ মিলবে। স্নায়ুচাপে কখনও ভুগবেন ভারত ক্রিকেটাররা। কখনো ভুগবেন পাকিস্তান ক্রিকেটাররা। অথচ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হলেই যেন ভারতের দিকে একপেশে হয়ে যায় সব। টস হেরে ভারত ব্যাটিংয়ে নামার পর শুরুতে পাকিস্তান ওপেনারদের রান আউটের সুযোগ হাতছাড়া করল। কিন্তু এরপর আর কোন সুযোগই পেল না পাকিস্তান। শুধুই স্কোরবোর্ডে রান জমা করতে থাকল ভারত। ১১৩ বলে ১৪ চার ও ৩ ছক্কায় করা ওপেনার রোহিতের ১৪০ রানের ইনিংসের সঙ্গে ৬৫ বলে ৭ চারে বিরাট কোহলির করা ৭৭ রান ও ওপেনার লোকেশ রাহুলের ৫৭ রানে ৩৩৬ রান করল ভারত। ৫ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে এই রান করতেই তো খেলা একপেশে হয়ে গেল। ভারতের পাল্লা ভারি হয়ে গেল। শেষদিকে মোহাম্মদ আমির (৩/৪৭) যদি টপাটপ হার্দিক পান্ডিয়া, মহেন্দ্র সিং ধোনি ও কোহলিকে আউট না করতেন, তাহলে রান ৩৫০ অতিক্রম করত। এই রানের জবাব দিতে হলে বড় ইনিংস দরকার। বড় জুটিও প্রয়োজন। কিন্তু সেই ইনিংস খেলবেন কে? বড় জুটিই বা গড়বেন কারা? শেষপর্যন্ত শতরানে একটি রেকর্ড জুটির দেখা মিলল। ফখর জামান ও বাবর আজম মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ১০৪ রানের জুটি গড়লেন। এই জুটিই যা একটু আশা দেখান। ফখর (৬২) আর কোন ব্যাটসম্যানই হাফসেঞ্চুরি করতে পারেননি। বৃষ্টির জন্য শেষদিকে খেলা ৪০ ওভারে নেমে আসে। পাকিস্তানের সামনে জিততে ৩০২ রানের টার্গেট দাঁড় হয়। পাকিস্তান ৬ উইকেট হারিয়ে ৪০ ওভারে ২১২ রান করতে পারে। শঙ্কর, যাদব ও পান্ডিয়া ২টি করে উইকেট শিকার করেন। সাতাইশ বছর আগে থেকে, ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ থেকে ভারত ও পাকিস্তান বিশ্বকাপে লড়াই করে। মাঝপথে শুধু ২০০৭ সালে দুই দলের দেখা হয়নি। এছাড়া ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০১১ ও ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে দুই দল মুখোমুখি হয়। একবারও ভারত শিবিরকে অস্বস্তিতে রাখতে পারেনি পাকিস্তান শিবির। পর্যায়ক্রমে ৪৩, ৩৯, ৪৭ রানে ও ৬ উইকেট এবং ২৯, ৭৬ রানে জিতে ভারত। এবার ৮৯ রানে জিতে কোহলিবাহিনী। না বিশ্বকাপ জয়ী ইমরান খান, না আমির সোহেল, না ওয়াসিম আকরাম, না ওয়াকার ইউনিস, না শহিদ আফ্রিদি, না মিসবাহ উল হক পেরেছেন। এক আজহার উদ্দিনের নেতৃত্বে ইমরান, আমির, ওয়াসিমের পাকিস্তান যথাক্রমে ’৯২, ’৯৬, ’৯৯ সালে হেরেছে। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে সৌরভ গাঙ্গুলীর অধিনায়কত্বে ওয়াকার, ২০১১ সালের বিশ্বকাপে বিশ্বজয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে শহিদ আফ্রিদি ও ২০১৫ সালের আসরে আবার ধোনির অধিনায়কত্বে মিসবাহর পাকিস্তান দল হারে। এবারতো আরও বেহাল দশা হলো। এবার কোহলির ভারতের কাছে হারল সরফরাজ আহমেদের দল পাকিস্তান। ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভারতের মতোই ছিল। ধীরগতিতে এগিয়ে যেতে থাকেন পাকিস্তান ব্যাটসম্যানরা। তবে দলের ১৩ রানেই ওপেনার ইমাম উল হককে আউট করে দেন বিজয় শঙ্কর। নিজের প্রথম বিশ্বকাপ। আবার প্রথম ওভার। তাতেই বাজিমাত করলেন শঙ্কর। বিশ্বকাপে এরআগে কোন বোলারই নিজের প্রথম বিশ্বকাপে প্রথম ওভারে উইকেট শিকার করতে পারেননি। শঙ্কর তা করে দেখালেন। তাতে যেন পাকিস্তান চাপেও পড়ে গেল। সেই চাপ দূর করার চেষ্টা করতে থাকেন ফখর জামান ও বাবর আজম। দুইজন মিলে দলের ভরসা হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু রান স্কোরবোর্ডে খুবই কম যোগ হচ্ছিল। ২০ ওভারে ৮৭ রান হয়। তাতে চাপও বাড়তে থাকে। দুইজন মিলে দলকে ১০০ রানেও নিয়ে যান। ফখর যেভাবে এগিয়ে চলছিলেন, তাতে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে যে ১১৪ রান করে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানকে জিতিয়েছিলেন, সেই স্মৃতি সবার সামনে চলে আসে। উইকেট হাতে রেখে খেলছিলেন ফখর ও বাবর। দুইজন মিলে যখন ১১৩ রানে দলকে নিয়ে যান, তখন রেকর্ডের পাতায়ও নাম লেখান। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের কোন জুটি শতরানে গেল। ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হাল তাতেই বোঝা যায়। পাকিস্তানকে নিয়ে আগাম কোন কিছুই বলা মুশকিল। তারা যে কখন কি খেলবে, তা ধারণা করাও অসম্ভব। তাই হলো। যেই দলের রান ১১৭ রানে গেল, কুলদ্বীপ যাদবের ঘূর্ণি অসাধারণভাবে বাক খেয়ে বাবরের (৪৮) স্ট্যাম্পে লাগল। পরের ওভারেই কুলদ্বীপ আবার ৬২ রান করা ফখরকেও সাজঘরে ফেরান। ব্যস, পাকিস্তান খাদের কিনারায় পড়ে যায়। যেখানে ১১৭ রানে ১ উইকেট ছিল। সেখান থেকে ১২৬ রানেই নেই আরও ২ উইকেট। ১২৯ রানে যখন মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিককে আউট করে দিলেন পান্ডিয়া, তখন ১২ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে হারের গোলক ধাঁধাতেই আটকে গেল পাকিস্তান। দলের ১৬৫ রানে গিয়ে সরফরাজও (১২) আউট হয়ে যান। ৩৫ ওভারে যখন ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান পাকিস্তানের, তখন আবার বৃষ্টি খেলায় ব্যাঘাত ঘটায়। পাকিস্তানের তখন জিততে ৯০ বলে ১৭১ রান লাগে। হাতে থাকে ৪ উইকেট। নিশ্চিত হারের মধ্যেই পড়ে যায় পাকিস্তান। বড় ব্যবধানে হারের সম্ভাবনাতেও থাকে। ভারতের ব্যাটিংয়ের সময় শেষদিকে বৃষ্টির জন্য আধঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকে। পাকিস্তানের সময় পৌনে এক ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকে। এরপর বৃষ্টি থামে। খেলা শুরু হয়। তবে বৃষ্টি আইনে পড়ে পাকিস্তানের সামনে জিততে ৪০ ওভারে ৩০২ রানের টার্গেট দাঁড় হয়। তাতে করে ৩০ বলে, ৫ ওভারে পাকিস্তানকে হাতে থাকা ৪ উইকেটে জিততে ১৩৬ রান করতে হতো। পাকিস্তান শেষ ৫ ওভারে ৪৬ রান করতে পারে। ২১২ রান করে পাকিস্তান। শেষে ইমাদ ওয়াসিম (৪৬*) যা একটু মারমুখী হয়ে ব্যাটিং করেন। তাতে কোন কাজই হলো না। ভারত ৪ ম্যাচে তিন জয়, এক হার ও পরিত্যক্ত এক ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট পেয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপের সেরা তিনে থাকল। পাকিস্তান ৫ ম্যাচে ৩ হার ও এক জয়ের সঙ্গে পরিত্যক্ত এক ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট নিয়ে ৩ পয়েন্ট পেয়ে ১০ দলের মধ্যে নবম স্থানেই পড়ে থাকল। পাকিস্তানকে ডুবিয়ে দিয়েছেন আসলে রোহিত। তার সঙ্গে রাহুল যে রেকর্ড জুটি গড়েছেন, তাতেই কাজের কাজ হয়ে যায়। এরপর কোহলি, পান্ডিয়া এসে সেই পথে শুধু এগিয়ে যেতে থাকেন। পাকিস্তানকে ইদানীং সামনে পেলেই যেন রোহিতের ব্যাট গর্জে ওঠে। পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপে সেঞ্চুরি করার পর আবার যখন দেখা, তখন আবার সেঞ্চুরি হাঁকালেন। টানা দুই ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করলেন। এবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিপক্ষে এবং বিশ্বকাপে নিজের সেরা ইনিংসটিও খেললেন। তার এ অসাধারণ ব্যাটিংয়ের সঙ্গে সবচেয়ে কম ইনিংসে (২২২ ইনিংস) ১১ হাজার রানের রেকর্ড গড়ার সঙ্গে কোহলিও ব্যাটিং ঝলক দেখিয়ে দিলেন। তাতে করে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে রেকর্ড রানও করল ভারত। এর আগে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৩০০ রান করেছিল ভারত। সেটি গত বিশ্বকাপে, এ্যাডিলেডে। এবার ৩৩৬ রান করল। পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে রেকর্ড জুটিও হলো। রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল যে ওপেনিংয়ে ১৩৬ রানের জুটি গড়েছেন, তা ওপেনিংয়েই শুধু নয়, পাকিস্তানের বিপক্ষে যে কোন উইকেটে ভারতের সর্বোচ্চ রানের জুটিও গড়া হলো। শিখর ধাওয়ান ইনজুরিতে পড়াতে রোহিতের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন লোকেশ রাহুল। ভরসার প্রতিদানও দেন। রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে রোহিতও পাকিস্তানের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়ে ফেলেন। এরআগে ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে ব্যাঙ্গালুরুতে দুই দলের মধ্যকার লড়াইয়ে নভোজৎ সিং সিধু ও শচিন টেন্ডুলকার যে ৯০ রানের জুটি গড়েছিলেন, সেটিই রবিবার পর্যন্ত সেরা ওপেনিং জুটি ছিল। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে সেরা জুটিও হয়েছে। এরআগে গত বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে এ্যাডিলেডে শিখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলি মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ১২৯ রানের জুটি গড়েছিলেন। সেটি রবিবার পর্যন্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের জুটি ছিল। রোহিত ও রাহুল মিলে তা ভেঙ্গে নতুন জুটি গড়েন। রোহিতও পাকিস্তানকে দেখিয়ে দেন তিনি কতটা ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ এশিয়া কাপেও রোহিত সেঞ্চুরি করেছিলেন। অপরাজিত ১১১ রান করেছিলেন। এবার বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নেমে আবারও সেঞ্চুরি করলেন। ক্যারিয়ারের ২৪তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন আবার বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর গড়ে। এরআগে গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে যে ১৩৭ রান করেছিলেন, সেটিই রোহিতের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ছিল। বিশ্বকাপে তিন সেঞ্চুরি হলো রোহিতের। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে একটি সেঞ্চুরি করার পর এবার বিশ্বকাপে দুটি সেঞ্চুরি করেন রোহিত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই অপরাজিত ১২২ রানের ইনিংস উপহার দেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫৭ রান করে আউট হন। এক ম্যাচ পরই আবার সেঞ্চুরির দেখা পান। তাও আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে। শুরু থেকে রোহিত ও রাহুল সতর্ক হয়ে খেলেন। ভারতের এবার বিশ্বকাপে যেন পরিকল্পনাই এমন, শুরুতে উইকেট রাখতে হবে। দেখে বুঝে এগিয়ে যেতে হবে। এরপর গিয়ে স্কোরবোর্ডে রান তুলতে হবে। ১৭.৩ ওভারে গিয়ে ১০০ রান স্কোরবোর্ডে জমা করল ভারত। এরআগেই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওপেনিং জুটির রেকর্ড হয়ে যায়। যখন ১৩০ রান স্কোরবোর্ডে যোগ হয়, তখন বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে যে কোন উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটিও হয়ে যায়। কোনভাবেই উইকেট শিকার করতে পারছিলেন না পাকিস্তান বোলাররা। এরমধ্যে ৮৫ বলে সেঞ্চুরিও করে ফেলেন রোহিত। রাহুলও হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেন। দুইজন মিলে অসাধারণভাবে এগিয়ে যেতে থাকেন। অবশেষে দলের রান যখন ১৩৬ এ পা দেয়, তখন রাহুলকে (৫৭) আউট করা যায়। হাফ ছেড়ে যেন বাঁচেন পাকিস্তান ক্রিকেটাররা। অবশেষে একটি উইকেট যে শিকার করা গেছে। রাহুল আউটের পর যিনি ব্যাট হাতে নামেন, তাকে নিয়েতো আরও বেশি চিন্তা থাকে পাকিস্তানের। তিনি বিরাট কোহলি। ভারতের এ মুহূর্তে সেরা ব্যাটসম্যান। তার সামনে আবার ৫৭ রান করলেই রেকর্ড গড়ার সুযোগ ছিল। সবচেয়ে কম ২২১ ইনিংস খেলে ১১ হাজার রানের ক্লাবে ঢোকার সুযোগ ছিল। সেই সুযোগ অনায়াসেই কাজে লাগিয়েছেন কোহলি। রোহিতের সঙ্গে ৯৮ রানের জুটি গড়েছেন। আবার ৫১ বলে ৫০ রান করার পর আরও ৭ রান করতেই রেকর্ডের মালিক হয়েছেন। ভারতের কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান শচিন টেন্ডুলকার ২৭৬ ইনিংস খেলে দ্রুত ১১ হাজার রান করেছিলেন। শচিনের সঙ্গে এই মাইলফলকে থাকা আরও আট বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানকে পেছনে ফেলেছেন কোহলি। রোহিত-রাহুল এবং রোহিত-কোহলি জুটিই বড় সংগ্রহের আভাস দেয়। রান ৩৫০ নিশ্চিত হবে, সেই সম্ভাবনাই দেখা যায়। কিন্তু দলের ২৩৪ রানের সময় রোহিত যখন আউট হন, এরপর রানের গতি কিছুটা কমে যায়। এরপর হার্দিক পান্ডিয়া ব্যাট হাতে নেমে ধুমধারাক্কা ব্যাটিং করে ১৯ বলে ২৬ রান করে আউট হন। মোহাম্মদ আমিরের ভেল্কিও শুরু হয়ে যায়। পান্ডিয়াকে আউট করার কিছুক্ষণ পরই মহেন্দ্র সিং ধোনিকেও সাজঘরে ফেরান আমির। এর কিছুক্ষণ পরই ভারতের স্কোরবোর্ডে ৩০০ রান যোগ হয়, বৃষ্টিও নামে। আধঘণ্টা খেলা বন্ধও থাকে। বৃষ্টির পর যখন খেলা শুরু হয়, কোহলিকেও আউট করে দেন আমির। যদিও আউটটি না হলেও কোহলি ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটা দেন। এরপর বিজয় শঙ্কর (১৫*) ও কেদার যাদব (৯*) মিলে ৫০ ওভার খেলে আসেন। দলের রানও ৩৩৬ হয়ে যায়। আমির (৩/৪৭) শেষদিকে ঠিকই নিজের দ্যুতি ছড়িয়ে দিয়ে ভারতকে ৩৩৬ রানের বেশি এগিয়ে যেতে দেননি। তারপরও পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে ভারতের রেকর্ড রান হয়ে যায়। যে রান পাকিস্তানের সামনে পাহাড়সমই হয়ে দাঁড়ায়। সেই পাহাড় ডিঙ্গে যাওয়া যে কত কঠিন, তা পাকিস্তান ৮৯ রানে হেরেই বুঝিয়ে দিল। ভারতের কাছে উড়েও গেল পাকিস্তান।
×