ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিহারে এনসেফেলাইটিস ও গরমে ১৫৭ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০০:৪৪, ১৭ জুন ২০১৯

বিহারে এনসেফেলাইটিস ও গরমে ১৫৭ জনের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক ॥ প্রবল গরম ও এনসেফেলাইটিসের দাপটে বড় রকম চ্যালেঞ্জের সামনে পড়েছে বিহার সরকার। এদিকে পাল্লা দিয়ে রাজ্যে দাবদাহের বলিও বেড়ে চলেছে। প্রবল গরমে প্রাণ হারিয়েছেন ৬১ জন। রাজ্যে গত কয়েকদিনে এনসেফেলাইটিসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বিহারে যান। পরিদর্শন করেন শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ। হর্ষ বর্ধনের সামনেই এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত এক শিশুর মৃত্যু হয়। এনসেফেলাইটিসে এখন পর্যন্ত রাজ্যে ৯৬ জনের মত্যু হয়েছে। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, মৃতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালেও অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। বিহারের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শনিবার দিল্লি থেকে পাটনায় যান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন রবিবার সকালে তিনি শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ যান। কথা বলেন রোগী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে। মন্ত্রীর সামনেই এদিন পাঁচ বছরের এক শিশুকন্যার মৃতু্য হয়। হর্ষ বর্ধন ওই শিশুর মাকে সমবেদনা জানান। হাসপাতাল পরিদর্শন করার পর সেখানকার চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের তরফে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীও ডাক্তারদের জানিয়েছেন, চিকিৎসার যেন কোনও ত্রুটি না হয়। চিকিৎসক ও নার্সরা যেন ছুটি না নেন। তবে একের পর এক মৃত্যু হলেও চিকিৎসকরা সেভাবে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন না বলেই অভিযোগ এক রোগীর পরিজনের৷ মুজফ্ফরপুরে বিক্ষোভও দেখান তারা৷ এদিকে, উত্তর ভারতসহ গোটা দেশ জ্বলছে। বিহারের তাপমাত্রা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। প্রবল গরম ও তাপপ্রবাহের কারণে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাজ্যে ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঔরঙ্গাবাদ, গয়া এবং নওয়াদা, পাটনা জেলার অবস্থাও অত্যন্ত ভয়াবহ। এই সব জেলায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৯ ডিগ্রি বেশি। লু-এর দাপটে শুধুমাত্র গয়াতেই মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। নওয়াদা জেলায় প্রায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা শাসক অভিষেক সিং গয়ার বাসিন্দাদের প্রবল রোদে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছেন। গয়ার তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। ভাগলপুরের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপপ্রবাহের জেরে অসুস্থ হয়ে বহু মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি বৈঠকে বসেছে জেলা প্রশাসন। প্রবল গরমের জেরে মৃতদের পরিবার পিছু চার লাখ টাকা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গরম মোকাবিলায় জেলা শাসকদের সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গরমের কারণে সরকারি স্কুল-কলেজের ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে ১৯ জুন করা হয়েছে। বেসরকারি স্কুলগুলোকেও গরমের ছুটি বাড়াতে অনুরোধ করা হয়েছে।
×