ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দুদকে লিখিত অভিযোগ

সিকৃবি ভিসি মতিয়ার রহমানের মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে প্রশ্ন

প্রকাশিত: ১০:৩২, ১৮ জুন ২০১৯

 সিকৃবি ভিসি মতিয়ার রহমানের মুক্তিযোদ্ধা  সনদ নিয়ে প্রশ্ন

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদারের মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভিসি হিসেবে নিয়োগের সময় তিনি মুক্তিযোদ্ধা সনদ জমা দেননি। কিন্তু ভিসি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্তি ও তার দুই ছেলের চাকরি লাভের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা খেতাবের সুবিধা গ্রহণ নিয়ে আলোচনা চলছে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নানা ধরনের আলোচনার খোরাক যোগাচ্ছে। বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার মল্লিকেরবেড় গ্রামের যুদ্ধাহত ও রাষ্ট্রীয় ভাতাপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল হাওলাদার দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবরে লিখিত অভিযোগে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যে তার সম্পর্কে লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা সংক্রান্ত কোন কিছু উল্লেখ নেই। তিনি ১৯৫৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর বাগেরহাট জেলার রামপাল থানার অন্তর্গত মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নের মল্লিকেরবেড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতার পরিচিতি অংশে তিনি খুলনা সুন্দরবন আদর্শ গবঃ কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে এইচএসসি পাস করার কথা উল্লেখ করলেও কোন কোন স্কুল থেকে কিংবা কত সালে তিনি এসএসসি পাস করেছেন তা উল্লেখ করেননি। এছাড়াও তিনি তার জন্মস্থানের ক্ষেত্রে গ্রাম কিংবা উপজেলার নাম উল্লেখ না করে শুধু বাগেরহাট জেলার মল্লিকেরবেড় এর কথা উল্লেখ করেছেন। লাল মুক্তিবার্তাসহ অতীতের তালিকাগুলোতে উল্লেখ না থাকলেও ২০০৫ সালে অর্থের বিনিময়ে ক্রয়কৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার তার দুই ছেলে ইমরান হাওলাদার ও ইনতেহা হাওলাদারকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিএসসি (অনার্স) শ্রেণীতে ভর্তি করান এবং বুয়েট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উক্ত দুই ছেলেই বর্তমানে সরকারী চাকরিতে নিয়োজিত আছেন। ২০০৫ সালে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিলেও কর্মস্থল সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অদ্যাবধি তিনি মুক্তিযোদ্ধা সনদ জমা দেননি। জালাল হাওলাদার তার অভিযোগে উচ্চতর বিদ্যাপীঠের সর্বোচ্চ পদে আসীন কর্তাব্যক্তির মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে এমন বিতর্কের বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
×