ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধা স্টেশনে রেল লাইনের দুপাশে অবৈধ বসতি

প্রকাশিত: ১০:৫১, ১৮ জুন ২০১৯

 গাইবান্ধা স্টেশনে রেল  লাইনের দুপাশে  অবৈধ বসতি

আবু জাফর সাবু ॥ গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশনের উত্তরদিকে মেইন রেললাইনের উভয় পাশে একদম লাইন ঘেঁষে অবৈধভাবে গড়ে উঠছে বসতি। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রেললাইন ও চুরি যাচ্ছে রেলওয়ের পাথর। রেললাইনের মাটি কেটে এসব বসতবাড়ি গড়ে তোলার ফলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে রেল চলাচল। অথচ রেল কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই। অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূ-সম্পদ বিভাগের ৩নং কাচারীর রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এসব অবৈধ বসতি গড়ে উঠছে। রেলওয়ের জায়গায় বেআইনীভাবে বসবাসকারীরা রীতিমতো প্রতিমাসেই নিয়মিত মাসোহারা প্রদান করছে বলেও জানা গেছে। সরেজমিনে ওইসব এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায়, উত্তরদিকে রেলওয়ের প্লাটফরমের প্রায় সঙ্গেই পূর্ব পাশে লাইনের পাশ ঘেঁষেই অবৈধ দখলদাররা ১১টি বসতবাড়ি নির্মাণ করেছে। এসব বসতবাড়িতে বসবাসকারী অনেকেই রীতিমতো খড়ের পুঞ্জ দিয়ে একাধিক গরু এবং ছাগল প্রতিপালন করছে। এসব গরু এবং ছাগল রেললাইনের ধারেই বেঁধে রাখা হয়। যা ট্রেন চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে পশ্চিম পাশে একটি বিশাল গোডাউন গড়ে তোলা হয়েছে। যেখানে অবৈধভাবে মালামাল রাখা হচ্ছে। এছাড়া খড়ের পুঞ্জ, ধান শুকানো, ধান মাড়াই, খড় শুকানোর সব কাজ রেললাইনের ধারে এবং প্লাটফরমেই সম্পন্ন করে এই অবৈধ বসবাসকারীরা। এতে প্লাটফরমে যাত্রীদের হেঁটে বেড়ানো বা ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করাও অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বসতবাড়ি ঘেঁষে যাওয়া রেললাইনগুলোর মূল্যবান পাথর চুরি করেও অন্যত্র বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে রেললাইনগুলো পাথর শূন্য হয়ে পড়েছে। অথচ পাথর শূন্য রেললাইন দিয়ে রেল চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হলেও রেল কর্তৃপক্ষের তা নজরেই পড়ছে না। রেললাইনের পাশ ঘেঁষে অধিকাংশ এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে ইট ভেঙ্গে খোয়া বানানো, বালু এবং শুরকি কেনাবেচার রমরমা ব্যবসা। তদুপরি রেললাইনের এসব এলাকায় এবং আশপাশের এলাকাজুড়েই গাঁজা, চোলাই মদ, হিরোইন, ইয়াবাসহ নানা মাদকদ্রব্য বিক্রয় এবং অসামাজিক কার্যকলাপও চলছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আবুল কাশেম সরকারের সঙ্গে কথা বললে, তিনি জানান শুধু রেলওয়ে স্টেশন এবং প্লাটফরম সংলগ্ন এলাকাই তার নিয়ন্ত্রণে। রেললাইনের পাশের অবৈধ দখলের বিষয়টি তার দেখার দায়িত্ব রেলওয়ে ভূ-সম্পদ বিভাগের। এ ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথারীতি লিখিতভাবে অবহিত করেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
×