ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে রিভা গাঙ্গুলি

বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে থাকতে অঙ্গীকারাবদ্ধ ভারত

প্রকাশিত: ১০:৫৯, ১৮ জুন ২০১৯

 বাংলাদেশের উন্নয়নে  পাশে থাকতে  অঙ্গীকারাবদ্ধ ভারত

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাশ বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে থাকতে ভারত অঙ্গীকারাবদ্ধ। বাংলাদেশকে ভারত সবসময় বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হিসেবেই দেখে। দু’দেশের জনগণের মধ্যেও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ লক্ষ্য করা যায়। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের বহুমুখী ব্যবহারের মাধ্যমে সেভেন সিস্টার্সসহ দু’দেশের জনগণের আর্থিক উন্নতি সম্ভব। চট্টগ্রাম বন্দর শুধু বাংলাদেশের নয়, পুরো অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। সোমবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে ভারতীয় হাইকমিশনার কথাগুলো বলেন। এ সময় মেয়র বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি নানা প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন। ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের বহুমুখী ও সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে এ অঞ্চলে শ্রমবাজার, কর্মসংস্থান, পুঁজি বিনিয়োগ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং দু’দেশের জনগণের আর্থিক উন্নতি ঘটবে। তিনি চট্টগ্রাম মহানগরীর জন্য ভারত সরকারের প্রদত্ত এলইডি প্রকল্প সম্পর্কে মেয়রের কাছ থেকে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, অতি শীঘ্রই এই প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হবে। এই প্রসঙ্গে রিভা গাঙ্গুলি বলেন, দু’দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে নমনীয় ঋণ চুক্তির আওতায় চট্টগ্রামে এলইডি প্রকল্প উপহার দিয়েছে ভারত সরকার। এটা ভারত সরকারে গ্রাউন্ড ওয়ার্ক। শুধু ঘর-গৃহস্থালির কাজেই নয়, এলইডি বাল্বের সাহায্যে আলোকিত হবে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের পথ-ঘাটও। জ্বালানি সাশ্রয়ী এলইডি বাল্বের সাহায্যে অতিরিক্ত খরচ এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব এবং পরিবেশ রক্ষাও সহায়ক বলে তিনি সিটি মেয়রকে জানান। চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা এক অনবদ্য ইতিহাস। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের জন্য ভারতবাসীর এতটা ত্যাগ ও ভালবাসা বিশ্বের ইতিহাসে এক বিরল ঘটনা। নবনিযুক্ত হাইকমিশনার চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা সম্পর্কে সিটি মেয়র বলেন, বিগত ১০ বছরে চট্টগ্রাম বন্দরে সক্ষমতা অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বন্দরের সক্ষমতা আরও বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী নিজেই উদ্যোগী হয়ে বৃহত্তর চট্টগ্রামের উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছেন। বে-টার্মিনালসহ বড় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে সক্ষমতা আছে, তা আরও দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে। প্রসঙ্গক্রম মেয়র বর্তমান সরকারের গৃহীত প্রকল্প মাতারবাড়ী ডিপ সি-পোর্ট, মীরাসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন ট্যানেলসহ চট্টগ্রাম অঞ্চলে চলমান উন্নয়ন সম্পর্কিত বিষয়াদিও আলোচনায় তুলে ধরেন। বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভরতীয় সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী, কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম ও প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম।
×