ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মির্জাগঞ্জে কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রশিক্ষনের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৭:৩২, ১৮ জুন ২০১৯

মির্জাগঞ্জে কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রশিক্ষনের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

সংবাদদাতা, মির্জাগঞ্জ, পটুয়াখালী ॥ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের কৃষি বিভাগ আয়োজিত প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রকল্পে স্থানীয় চাষীদের প্রশিক্ষনের দুপুরের খাবার ও নাস্তার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে। চাষীদের প্রশিক্ষনের ৫০০ শত টাকা ও ১৫ টাকা মূল্যের শুকনা খাবার দেন প্রশিক্ষনে। কিন্তু দুপুরের খাবার বাবদ টাকা ও নাস্তার টাকা দেন না চাষীদের। এমনকি প্রশিক্ষন সকাল দশটায় শুরু হয়ে প্রতিদিন বিকলে চারটার পরিবর্তে দুপুর একটার সময়ে প্রশিক্ষন শেষ করেন ওই কর্মকর্তা এবং সাত ঘন্টার প্রশিক্ষন শেষ করেন ৩ ঘন্টায়। সূত্রে জানা যায়,প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রকল্পের আওয়াতায় মির্জাগঞ্জের ৩০ জন করে চাষীদের গ্রুফ করে প্রশিক্ষন দেয়ার কথা। কিন্তু দুই গ্রুফ একসাথে ৬০ জন করে প্রশিক্ষন শুরু করে সোমবার থেকে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল দশটায় উপজেলার মজিদবাড়িয়া ও কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের ৬০ জন চাষীদের নিয়ে প্রশিক্ষন শুরু হলে তা শেষ করেন দুপুর সোয়া একটায়। এ সময়ে চাষীদের প্রশিক্ষন ভাতা ৫০০ টাকা ও ১৫ টাকা মূল্যের এক প্যাকেট শুকনা খাবার(কেক,বিস্কুট ও সামুসা) দেয়া হয়। এছাড়া দুপুরের খাবার বাবাদ কোন টাকা ও দু’বেলা নাস্তার কোন টাকা দেয়া হয় না। পরে চাষীরা খালি হাতে বের হয়ে যাবার সময়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় চাষীরা উপজেলা কৃষি অফিসে গেলে শুরু হয় হই-চই। পরে এক পর্যায়ে উপজেলা কৃষি অফিসারের নির্দেশে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আক্তারুজ্জামান চাষীদের প্রশিক্ষনের খাবার বাবদ ২০০ টাকা দিয়ে দেন। কিন্তু এ প্রশিক্ষনে দু’বেলার নাস্তার জন্য বরাদ্ধ টাকা না দিয়েই তিনি পকেটস্থ করেন। প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রকল্পের আওয়তায় এদিকে নাম প্রশাক না করার শর্তে এর আগের দিন প্রশিক্ষনে অংশ নেয়া এক চাষী বলেন, আমাদের সোবারের প্রশিক্ষনে সম্মানী ভাতার ৫০০ টাকা ও শুকনো খাবার ছাড়া আর কোন টাকা দেয়া হয়নি বলে জানান। উপজেলা কৃষি অফিসার তাঁর অফিসের সকল কাজকর্ম করান উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আক্তারুজ্জামান ও মোঃ রফিকুল ইসলামকে দিয়ে। অথচ তারা উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ও মাধবখালী ইউনিয়নের দ্বায়িত্বে থাকলেও তারা অফিসের সকল কাজ করে থাকেন। এব্যাপারে মজিদবাড়িয়া ও কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের প্রশিক্ষন নেয়া চাষীদের গ্রুফ লিডার মোস্তফা ও সালাম বলেন,আমরা যানি যে প্রশিক্ষনে টাকা দেয়া হয়। এর আগেও কোন প্রশিক্ষনে আমাদের টাকা দেয়া হয়নি। সোমবারের প্রশিক্ষনে চাষীদের টাকা দেয়া হয়েছে কিন্তু আমাদের খাবার বাবদ টাকা না দিলে এ খবর জানতে পেরে এবং স্থানীয়দের সহায়তায় উপজেলা কৃষি অফিসে এসে উপজেলা কৃষি অফিসার স্যারকে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন কোন প্রশিক্ষনে খাবারের কোন টাকা নেই। পরে স্থানীয়দের চাপে এক পর্যায়ে আমাদের টাকা দিয়ে দেয় কৃষি স্যার। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন,কাজ করতে গেলে ভুল হতেই পারে এবং অফিস চালাতে তো খরচও আছে। পরে চাষীদের খাবার বাবদ টাকা দেয়া হয়েছে।
×