ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কিশোরের স্বীকারোক্তি

সমকামিতায় বাধ্য করায় খুন হন পুঠিয়ার বিএনপি নেতা

প্রকাশিত: ০৯:০৭, ১৯ জুন ২০১৯

সমকামিতায় বাধ্য করায় খুন হন পুঠিয়ার বিএনপি নেতা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ সমকামিতায় বাধ্য করায় পুঠিয়া উপজেলায় বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম এক কিশোরের হাতে খুন হন। পুলিশ ইতোমধ্যে ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরকে গ্রেফতার করেছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে সে আদালতে এ তথ্য জানিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও দিয়েছে। সোমবার বিকেলে ওই কিশোর আদালতে জবানবন্দী দেয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতে খায়ের আলম সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। এদিকে এ ঘটনার সাক্ষী হিসাবে আরও তিনজন আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানান ইফতে খায়ের আলম। গত ১১ জুন সকালে পুঠিয়ার কাঠালবাড়িয়া গ্রামের একটি ইটভাঁটি থেকে নুরুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নুরুল ইসলাম উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের ধোপাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন। এছাড়া উপজেলা সড়ক পরিবহন ইউনিয়নের সাবেক সভাপতিও ছিলেন তিনি। শ্রমিক ইউনিয়নের দ্বন্দ্বের কারণে তিনি খুন হন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছিল। তবে পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এসেছে ভিন্ন কারণ। পুলিশ জানায়, নুরুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় তার মেয়ে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলা দায়েরের পর গত রবিবার নুরুল ইসলামের প্রতিবেশী ওই কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে সব স্বীকার করে। ওই কিশোর আদালতে তার জবানবন্দীতে বলেছে, প্রতিবেশী বলে সে নুরুল ইসলামকে নানা বলে ডাকত। কিন্তু নুরুল ইসলামের সমকামিতার বদ অভ্যাস ছিল। তিনি ওই এলাকার বিভিন্নজনকে এ কাজে ব্যবহার করতেন। নুরুলের ফাঁদে পড়েছিল সে নিজেও। টাকার লোভ দিয়ে প্রায়ই নুরুল তার সঙ্গে সমকামিতায় লিপ্ত হতেন। এতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে তাকে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন নুরুল। ফলে ওই কিশোর তার সঙ্গে যেতে বাধ্য হতো। গত ১০ জুন রাতেও নুরুল ইসলাম ওই কিশোরকে ইটভাটায় নিয়ে যান। সমকামিতার এক পর্যায়ে নুরুল ইসলাম মাটিতে পড়ে যান। তখন ওই কিশোর তার গলা টিপে ধরে। এরপর ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই নুরুলের মৃত্যু হয়। এরপর বাড়ি চলে যায় ওই কিশোর।
×