পল্লী চিকিৎসকের ইনজেকশনে রোগীর মৃত্যু ॥ হট্টগোল

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ শফিকুল ইসলাম শফিক (৩৫)। কয়েকদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ করে তার বুকে ব্যথা শুরু হয়। এ সময় তিনি নিজেই আসেন যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটির বাগডাঙ্গা বাবু বাজারের পল্লী চিকিৎসক রফিকুল ইসলামের কাছে। স্বজনরা জানিয়েছেন, এ সময় রফিকুল ইসলাম তার শরীরে ইনজেকশন পুশ করাসহ চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন। এর কিছু সময় পরেই মারা যান শফিক। স্বজনদের অভিযোগ, পল্লী চিকিৎসক রফিকুলের ত্রুটিপূর্ণ চিকিৎসায় শফিকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে তার স্বজনেরা হট্টগোল করেন। নিহত শফিক বাগডাঙ্গা গ্রামের মধ্যপাড়ার খোরশেদ আলীর ছেলে। খোরশেদ আলী জানান, তার ছেলের শারীরিক অবস্থা যদি গুরুতর হতো তাহলে পল্লী চিকিৎসক রফিকুল তাকে হাসপাতালে না পাঠিয়ে, তিনি কেন তার শরীরে ইনজেকশন পুশ করলেন? তিনিসহ অন্য স্বজনদের অভিযোগ, বাগডাঙ্গা গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে রফিকুলের ত্রুটিপূর্ণ চিকিৎসায় শফিকের মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্ত রফিকুল জানান, রোগীর বুকে ব্যথা হওয়ার কারণে ধারণা করেছিলেন গ্যাসের কারণে হচ্ছে। তাই তিনি রোগীকে ম্যাক্সিমা-৪০ নামে একটি ইনজেকশন পুশ করেছিলেন। তিনি রোগীর মৃত্যুর কারণ বুঝতে পারছেন না। সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সুকুমার কুমার কুন্ডু জানান, পল্লী চিকিৎসকের ইনজেকশনের পর রোগীর মৃত্যুতে হট্টগোলের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। শফিকের শরীরে পুশ করা ইনজেকশনের বক্সটি তিনি জব্দ করেছেন। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের কার্ডিয়াক বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ তৌহিদুল ইসলাম জানান, হয় তো রোগী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সঠিক সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা না পেয়ে রোগী মারা যেতে পারে। পল্লী চিকিৎসকের উচিত ছিল ওই রোগীকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া। যশোরের সিভিল সার্জন ডাঃ দিলীপ কুমার রায় জানান, ইচ্ছা করলেই কোন রোগীকে পল্লী চিকিৎসক ইনজেকশন পুশ করতে পারে না। পল্লী চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম হৃদরোগে আক্রান্ত শফিকুলকে চিকিৎসা ও ইনজেকশন পুশ করে থাকলে সেটা অনিয়ম। তিনি বিষয়টির তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।