ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্ষিত কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট যথাসময়ে না দেয়ায় ডাক্তারকে হাইকোর্টের তলব

প্রকাশিত: ১১:২৪, ১৯ জুন ২০১৯

ধর্ষিত কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট যথাসময়ে না দেয়ায় ডাক্তারকে হাইকোর্টের তলব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ধর্ষণের এক মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন প্রস্তুত করে যথাযথ সময়ে ওই প্রতিবেদন (মেডিক্যাল রিপোর্ট) না দেয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ডাক্তারকে তলব করেছে হাইকোর্ট। রংপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রভাষক সোহেলী সুলতানাকে আগামী ১০ জুলাই হাইকোর্টে সশরীরে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। এদিকে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের এক প্রকল্পের আওতায় কর্মরত ৭৬ জন টেকনিক্যাল এক্সপার্টের চাকরি কেন রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। অন্যদিকে এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারণে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চগুলো এ আদেশ প্রদান করেছে। ধর্ষণের এক মামলায় সঠিক সময়ে প্রতিবেদন না দেয়ায় ডাক্তারকে তলব করেছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আসামি সাকেরুল ইসলামের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান রানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ। আদেশের বিষয়টি জানিয়ে ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ বলেন, চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়। ২ মার্চ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। অথচ কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট ১ এপ্রিল দিয়েছে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার। নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে বিফল হওয়ার পর সাকেরুল গত ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। জামিন আবেদনে দাবি করা হয়, কিশোরীর মেডিক্যাল রিপোর্টে জোরপূর্বক ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় আদালত মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে মঙ্গলবার আদালতে হাজির হতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। এ অনুযায়ী মঙ্গলবার মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা মেডিক্যাল রিপোর্ট দাখিল করেন। ওই রজামিনের শুনানিতে এসব পর্যালোচনা করে আদালত ওই আদেশ দেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২৮ ফেব্রুয়ারি রংপুরের হারগাছা থানা এলাকায় ১৫ বছরের এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়। ওই ঘটনায় ২ মার্চ কিশোরীর মা নিহারা বেগম হারগাছা থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় ৩ মার্চ সাকেরুল ইসলামসহ দুজন গ্রেফতার করা হয়।
×