ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উড়োজাহাজ লক্ষ্য করে লেজার রশ্মি নিক্ষেপ শাস্তিযোগ্য অপরাধ

প্রকাশিত: ১১:২৯, ১৯ জুন ২০১৯

উড়োজাহাজ লক্ষ্য করে লেজার রশ্মি নিক্ষেপ শাস্তিযোগ্য অপরাধ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ উড়োজাহাজ টার্গেট করে লেজার রশ্মি নিক্ষেপ শাস্তিযোগ্য ও দ-নীয় অপরাধ বলে বিবেচনা করে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। একই সঙ্গে উড়োজাহাজের নিরাপদ উড্ডয়ন ও অবতরণ নিশ্চিত করার স্বার্থে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি। এ বিষয়ে বেবিচক গণসংযোগ কর্মকর্তা একেএম রেজাউল করিম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, রাতে বিমান নিয়ে ওঠা-নামার সময় লেজার রশ্মিতে বিপত্তিতে পড়ছেন পাইলটরা। লেজারের তীব্র রশ্মিতে মুহূর্তের জন্য চোখে ঝাপসা দেখেন তারা। ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও চট্টগ্রামে শাহ আমানত বিমানবন্দরে এমন অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতিতে পড়ছেন পাইলটরা। বিমানবন্দর দুটির আশপাশের এলাকা থেকে এই লেজার রশ্মি ফেলা হচ্ছে। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাংলাদেশের বিমানবন্দরে উড্ডয়নরত এবং অবতরণকারী উড়োজাহাজকে টার্গেট করে শক্তিশালী লেজার লাইটের রশ্মি নিক্ষেপ করা হচ্ছে। এসব লেজার লাইট ককপিটে বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে পাইলটের পক্ষে উড়োজাহাজ যথাযথ নিয়ন্ত্রণে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করে, যা কিনা নিরাপদ উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য হুমকিস্বরূপ। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল আইন, ২০১৭-এর ধারা-২৬ অনুসারে এই ধরনের কর্মকা- আইনত শাস্তিযোগ্য এবং দ-নীয় অপরাধ। এদিকে পাইলটরা জানিয়েছিলেন, গত কয়েক মাস ধরে সন্ধ্যার পর বিমানবন্দরের রানওয়ের এ্যাপ্রোচ এলাকায় লেজার রশ্মির উৎপাতের শিকার হচ্ছেন তারা। বিমানবন্দরের ৪-৬ মাইল এলাকার মধ্যে একাধিক স্থান থেকে এই লেজার রশ্মি ফেলা হচ্ছে। বিমান নিয়ে ওঠা-নামার সময় পাইলটদের রানওয়েসহ এ্যাপ্রোচ এলাকায় নজর রাখতে হয়। লেজারের তীব্র রশ্মি ককপিটের কাচে প্রতিফলিত হওয়ায় দেখতে সমস্যা হচ্ছে। একই সঙ্গে এই তীব্র রশ্মি পাইলটদের চোখে প্রদাহসহ নানা সমস্যার সৃষ্টি করছে। তারা এ সমস্যার কথা প্রতিনিয়ত বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ারকে অবহিত করছেন। এর আগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী মোহাম্মদ জিয়াউল কবীর বলেছিলেন, লেজার রশ্মির তথ্য আমরা পেয়েছি। কোন জায়গা থেকে এটি করা হচ্ছে, তা শনাক্ত করতে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। একইসঙ্গে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্যও কাজ করা হবে।
×