ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মূল্যস্ফীতি বেড়েছে

প্রকাশিত: ১১:৩৪, ১৯ জুন ২০১৯

মূল্যস্ফীতি বেড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলতি বছরের মে মাসে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৫ দশমিক ৬৩ ভাগ হয়েছে, যা গত এপ্রিলে ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৫৬ ভাগ। ২০১৮ সালের মে মাসের চেয়েও এ বছরের এই সময়ে মূল্যস্ফীতির হার বেশি। ২০১৮ সালে মে মাসে মূল্যস্ফীতির হার শতকরা ৫ দশমিক ৫৭ ভাগ ছিল। মে মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমলেও খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এ তথ্য জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এবং পরিকল্পনা সচিব নুরুল আমিন। চলতি বছরের মে মাসে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উপ খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে শতকরা ৫ দশমিক ৪৯ ও ৫ দশমিক ৮৪ ভাগ, যা গত এপ্রিলে ছিল যথাক্রমে শতকরা ৫ দশমিক ৫৪ ও ৫ দশমিক ৬৪ ভাগ। মূল্যস্ফীতির হ্রাস-বৃদ্ধি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পরিধেয় বস্ত্র, আসবাবপত্র ও গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা ও পরিবহন দ্রব্যাদি উপ খাতের কিছু দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য মে মাসে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮ সালের জুন থেকে ২০১৯ সালের মে পর্যন্ত এক বছরের চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতির হার নিরূপিত হয়েছে শতকরা ৫ দশমিক ৪৮ ভাগ। এর আগের এক বছরে একই সময়ে চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৮১ ভাগ। মে মাসে গ্রামীণ পর্যায়ে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৪৪ ভাগ, যা এপ্রিলে ছিল ৫ দশমিক ৪১ ভাগ। খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উপ খাতে মূল্যস্ফীতির হার শতকরা ৫ দশমিক ৬৭ ও ৫ দশমিক ০১ ভাগ, যা এপ্রিলে ছিল যথাক্রমে ৫ দশমিক ৬৮ ও ৪ দশমিক ৮৯ ভাগ। শহর পর্যায়ে মে মাসে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৯৬ ভাগ, যা এপ্রিলে ছিল ৫ দশমিক ৮৯। মে মাসে খাদ্য ও খাদ্য উপ খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে ৫ দশমিক ০৯ ও ৬ দশমিক ৯৫ ভাগ, যা এপ্রিলে ছিল ৫ দশমিক ২২ ও ৬ দশমিক ৬৬ ভাগ।
×