‘উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততার চেয়ে বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ উপকূলীয় এলাকায় ফসল আবাদে লবণাক্ততার চেয়েও বড় সমস্যা হলো জলাবদ্ধতা। এ জলাবদ্ধতার কারণে ফসলি জমিতে লবণ পানি জমে থাকার কারণে কৃষি উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ক্ষতির পাশাপাশি সামাজিক ক্ষতির দিকটিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বক্তারা। বুধবার ‘ট্রান্সফার অব টেকনোলজি ফর এগ্রিকালচারাল প্রোডাকশন আন্ডার ব্লুগোল্ড প্রোগ্রাম’ (ডিএই কম্পোনেন্ট) আয়োজিত রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ অডিটরিয়ামের প্রশিক্ষণ হলে উপকূলীয় পোল্ডার অঞ্চলে কৃষির নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। সেমিনারে বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল মুঈদ, ঢাকার নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি পিটার ডি ভ্রিস, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রকল্প সমন্বয়কারী পরিচালক মোঃ আমিরুল হোসেন। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পানি বিজ্ঞানী ড. মনোরঞ্জন কুমার মন্ডল ও প্রকৌশলী মোঃ জহিরুল হক খান। আলোচক ছিলেন সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসের নির্বাহী পরিচালক ওয়াজী উল্লাহ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিম। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রকল্প পরিচালক মোঃ হুমায়ুন কবীর। এ সময় বক্তরা বলেন, উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা মোকাবেলায় ফসল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সমন্বিত কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। এছাড়াও লবণাক্ততা সহনশীল ফসলের আবাদ বৃদ্ধির মাধ্যমে শস্যের বহুমুখীকরণে কৃষকদের প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ক্ষুদ্র আকারে পানি ব্যবস্থাপনা অবকাঠামো নির্মাণ ও সমাজভিত্তিক ফসল উৎপাদনের জন্য পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।