ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

দ : আফ্রিকাকে হারিয়ে শীর্ষে নিউজিল্যান্ড

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আজ জিততে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১০:৩৫, ২০ জুন ২০১৯

 অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আজ জিততে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ

মিথুন আশরাফ ॥ বাংলাদেশ কি অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে ভাবনায় থাকবে, অসিরাই চিন্তায় পড়ে গেছে টাইগারদের নিয়ে। মাশরাফিবাহিনী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচটিতে অসাধারণ খেলে জিতেছে। আর তাতে করে আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে মাঠে নামার আগে ভয়ে আছে অস্ট্রেলিয়াও। বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে তিনটায় নটিংহ্যামের ট্রেন্টব্রিজে খেলতে নামার আগে মহাভাবনায় অস্ট্রেলিয়া। নির্ভার হয়ে খেলতে চায় বাংলাদেশ। হারাতে চায় অস্ট্রেলিয়াকেও। তাহলে কি আজ অস্ট্রেলিয়া বধও করবে বাংলাদেশ? অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যখন ম্যাচ তখন বাংলাদেশের সামনে বারবার অনুপ্রেরণা হয়ে সামনে আসে ২০০৫ সালের ম্যাচটি। যে ম্যাচটিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। কার্ডিফের সেই ৫ উইকেটের জয়টি আজও স্মৃতির পাতায় উজ্জ্বল! অস্ট্রেলিয়াকে যে সেই একটি ম্যাচেই হারানো গিয়েছিল। যখনই তাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলা হয়, কার্ডিফের এই স্মৃতিই প্রেরণা হয়ে সামনে ধরা দেয়। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররাও সেই ম্যাচের প্রেরণা নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়। অস্ট্রেলিয়াকে আবারও হারানোর সাহস পায়। আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নামে। কিন্তু সেই ২০০৫ সালের পর আর অস্ট্রেলিয়াকে হারানো যায়নি। বারবার ব্যর্থতাই সঙ্গী হয়েছে। কার্ডিফের ম্যাচটির পর রেজাল্ট হওয়া ১২টি ম্যাচের একটিতেও জয়ের মুখ দেখতে পারেনি বাংলাদেশ। শুধুই অস্ট্রেলিয়া জিতেছে। এবার অবশ্য প্রেক্ষাপট একেবারেই ভিন্ন। এবার অন্য এক বাংলাদেশকেই বিশ্বকাপে দেখছে বিশ্ব ক্রিকেট। যে দলটি প্রতিপক্ষকে যে কোন মুহূর্তে দুমড়ে মুছড়ে দিচ্ছে। হারাতে না পারলেও এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করছে, কাঁপন ধরিয়ে দিচ্ছে। প্রথম চার ম্যাচের পর বাংলাদেশকে সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে ফেলে অনেকেই। সেই তালিকায় অনেক দেশের সাবেক ক্রিকেটাররাও যুক্ত হন। কিন্তু যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ ৩২২ রানের টার্গেট সহজেই অতিক্রম করে ফেলে তখন আবার বাংলাদেশকে নিয়ে উচ্চবাচ্য করেন তারাই। এখন এমন এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যতই শক্তিশালী দল হোক বাংলাদেশকে নিয়েই সবার বিশেষ ভাবনায় জায়গা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ যে এখন পয়েন্ট তালিকাতেও নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। বাংলাদেশ জিতলে আর টাইগারদের ওপরে থাকা ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারত হারতে থাকলে মাশরাফিবাহিনী যে সেমিফাইনালে খেলে ফেলতে পারে। বাংলাদেশের কাছে হারলেই যে সেরা চারে খেলার স্বপ্নও ধূলিসাৎ হয়ে যেতে পারে। আর তাই অস্ট্রেলিয়ার ভাবনা আজ অনেক বেশি। দলটি বিশ্বকাপ জেতার আশা করছে। সেখানে বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনভাবে হেরে যদি বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে পড়তে হয়। তাই সতর্ক অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ দল সেই তুলনায় নির্ভার। ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। মানসিক ভিত মজবুত। ফুরফুরে মেজাজেও আছে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দেয়ার পর নিউজিল্যান্ডকেও বিপদে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু জয় আর মিলেনি। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি বাজেভাবে শেষ হয়। ইংলিশদের কাছে হোঁচট খাওয়ার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়। তাতে করে শিবিরে হতাশা যোগ হয়। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ সামনে পড়ায় আত্মবিশ্বাস থাকে। তাছাড়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ায় সেমিফাইনালে খেলার আশা জিইয়ে রাখতে হলে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতেই হবে, সেই জেদও সবার ভেতর ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টানা হারাতে থাকায় সাহসটাও ছিল। তাইতো সাকিব আল হাসান অপরাজিত ১২৪ রান করেন। টানা দুই ম্যাচেই সেঞ্চুরি করে দেখান। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে লিটন কুমার দাসও অপরাজিত ৯৪ রান করেন। তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারও নিজেদের মেলে ধরার চেষ্টা করেন। তাতে করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে ৩২১ রান করে তাও সামান্যই মনে হয়। ৫১ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে জিতে বাংলাদেশ। নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ টার্গেট তাড়া করে রেকর্ড গড়ে জিতে বাংলাদেশ। এই জয় বাংলাদেশকে এখন এমন আত্মবিশ্বাসের ভেলায় ভাসাচ্ছে যে অস্ট্রেলিয়াকে নিয়েও খুব ভাবনা নেই। অসি দলে যত ভাল পেসারই থাকুক, যত গতি দিয়েই তারা বোলিং করুন, বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা তা সামলাতে প্রস্তুত। আর বল হাতে বাংলাদেশ বোলাররা যে কোন মুহূর্তে যে ‘ব্রেক থ্রু’ এনে দিয়ে রানের গতিতে লাগাম টেনে ধরতে পারেন, তাও দেখে ফেলেছে ক্রিকেট বিশ্ব। তাই অস্ট্রেলিয়াকে খেলার আগেই কাঁপন ধরিয়ে দেয়া যাচ্ছে। এখন খেলায় তা দেখিয়ে দিতে পারলেই হলো। টেস্ট খেলুড়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে থাকা দলগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই সবচেয়ে বাজে ফল আছে বাংলাদেশের। দুই দলের মধ্যকার ২১ ম্যাচের মধ্যে ১৮টিতে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। একটি ম্যাচের রেজাল্ট হয়নি। আর একটি ম্যাচের বলই মাঠে গড়ায়নি। এর মধ্যে বাংলাদেশ মাত্র ১টি ম্যাচ জিততে পেরেছে। টেস্ট খেলুড়ে অন্য দলগুলোর মধ্যে ভারতের বিপক্ষে ৫টি জয়, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১০টি জয়, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪টি জয়, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪টি জয়, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭টি জয়, পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫টি জয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৫টি জয়, জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে ৪৪টি জয় আছে বাংলাদেশের। সব দলের বিপক্ষেই একাধিক জয় থাকলেও অসিদের বিপক্ষে তা নেই। ১৯৯০ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলে ২০০৫ সালেই শুধু জেতা গেছে। এরপর ১৪ বছরেও আর জেতা যায়নি। বিশ্বকাপে অসিদের বিপক্ষে তিনবার মুখোমুখি হয়েও একবারও জেতা যায়নি। ১৯৯৯, ২০০৭ সালে হারে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে বৃষ্টিতে ম্যাচ হয়নি। এবার চতুর্থবারের মতো অসিদের বিপক্ষে বিশ্বকাপে লড়াই করবে বাংলাদেশ। এবার বাংলাদেশকে নিয়ে একটু বেশিই ভাবতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে। বিশেষ করে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবকে নিয়েতো মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাকিব যে টানা চার ম্যাচেই পঞ্চাশ উর্ধ রান করেছেন। যে দলই সামনে পড়েছে, সাকিব উজ্জ্বলই দেখেছেন। তবে সাকিবের ব্যাটিংয়ের চেয়ে যেন বোলিং নিয়েই বেশি চিন্তিত অসিরা। আর তাইতো অনুশীলনে বামহাতি স্পিনার এ্যাস্টন এ্যাগারকে দিয়ে ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন অসি ব্যাটসম্যানরা। অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের ইংল্যান্ড সফর থেকে এ্যাগারকে এনে নেটে স্পিনের বিরুদ্ধে সাকিবকে সামলানোর তামিল নিয়েছেন অসি ব্যাটসম্যানরা। তাতেই বোঝা যাচ্ছে, সাকিবকে নিয়ে কতটা চিন্তা ঢুকেছে। অসিদের চিন্তা হওয়ারই কথা। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশকে সব দল দেখেছে, সেই উড়ন্ত বাংলাদেশের সামনে অস্ট্রেলিয়াকে প্রতিনিয়ত পড়তে হয়নি। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুই দলের লড়াই হয়েছে। সেটিও বৃষ্টিতে হয়নি। এছাড়া ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সামনে পড়তে হয়নি অস্ট্রেলিয়াকে। দুই দফায় বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজও বাতিল করেছে অস্ট্রেলিয়ার। গত বছরতো ওয়ানডে সিরিজও ছিল। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে বাংলাদেশের খেলার কথা ছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া খেলেনি। এটিও ভয়েই কিনা তা আজই বোঝা যাবে। সফর বাতিল করতে থেকে বাংলাদেশে টেস্ট খেলতে এসে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। তাহলে কী অস্ট্রেলিয়াকে এবার ওয়ানডেতে হারিয়ে বুঝিয়ে দেয়ার পালা? বাংলাদেশ কী পারবে তা করতে? বাংলাদেশকে নিয়ে যে ভয়ে আছে অস্ট্রেলিয়ার তা সবদিক থেকেই বোঝা যাচ্ছে। যদিও অসিরা এবার বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচের চারটিতে জিতে ভাল অবস্থানেই আছে। তবে যে দলগুলোকে হারিয়েছে (আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা) বিশ্বকাপে এবার দুর্বল দলেই তকমা লেগেছে। খুব আহামরি দল নয় অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারা দলগুলো। যখনই শক্তিশালী দলের (ভারতের বিপক্ষে) সামনে পড়েছে, হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। আজ স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশও শক্তিশালী দল হয়েই অস্ট্রেলিয়ার সামনে ধরা দিচ্ছে। ভীষণ চাপ আছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটারদের ঘাড়ে। সেই চাপের সুযোগে এখন অসি বধ করা গেলেই হলো। দিনটি নিজেদের করে নেয়া গেলেই হলো। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এর আগে কখনই বিশ্বকাপে হারানো যায়নি। এবার গেছে। অস্ট্রেলিয়াকে কখনই হারানো যায়নি। তাহলে কী এবার আজ অস্ট্রেলিয়াকেও বধ করে ফেলবে বাংলাদেশ? দ : আফ্রিকাকে হারিয়ে শীর্ষে নিউজিল্যান্ড শাকিল আহমেদ মিরাজ ॥ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে নিজেদের আধিপত্য ধরে রেখেছে নিউজিল্যান্ড। বার্মিহামে বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে কিউইরা। আউটফিল্ড ভেজা থাকায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে শুরু হওয়ায় খেলা ৪৯ ওভারে নেমে আসে। টসে হেরে ব্যাটিং পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে মাত্র ২৪১ রান সংগ্রহ করে। জবাবে দলীয় ৮০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়লেও কেন উইলিয়ামসনের (১৩৮ বলে ১০৬*) দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩ বল বাকি থাকতে জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড! তুমুল উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে শেষ দিকে অধিনায়ককে কার্যকর সঙ্গ দেন জিমি নিশাম (২৩) ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম (৪৭ বলে ৬০)। পঞ্চম ম্যাচে চতুর্থ জয়ে ফের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এল ব্ল্যাক-ক্যাপসরা। দুই নেমে গেল ইংল্যান্ড, তিনে অস্ট্রেলিয়া, চারে ভারত। অন্যদিকে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে চতুর্থ হারে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য সেমির আশা প্রায় শেষ গেল! এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ট্রেন্ট বোল্টের ফুল লেংথ বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান ইনফর্ম কুইন্টন ডি কক (৫)। আরেক ওপেনার হাশিম আমলা ছিলেন সাবধানী। আস্থার সঙ্গে খেলছিলেন অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসিসও। গতিময় এক বাউন্সারের পর আরেকটি গতিময় ইয়র্কারে বোল্ড করে তাকে বিদায় করেন লোকি ফার্গুসন। আর বাঁ-হাতি স্পিনারের জন্য স্বপ্নের এক ডেলিভারিতে আমলার প্রতিরোধ ভাঙ্গেন মিচেল স্যান্টনার। অভিজ্ঞ ওপেনার চারটি চারে ৮৩ বলে করেন ৫৫ রান। শুরুতে নড়বড়ে ব্যাটিং করা এইডেন মারক্রাম ধীরে ধীরে শট খেলতে শুরু করেন। ডি গ্র্যান্ডহোমের বলে একবার ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান। পরের ওভারে আবার উড়িয়ে মারতে গিয়ে শেষ হয় তার ৩৮ রানের ইনিংস। ডেভিড মিলার ফার্গুসনকে ওড়ানোর চেষ্টায় সীমানায় বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান ক্যাচ দিলে ভাঙ্গে ৭২ রানের জুটি। বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি পাওয়া ফন ডার ডাসেন দলকে নিয়ে যান আড়াই শ’র কাছে। ৬৪ বলে তিন ছক্কা ও দুই চারে ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৫৯ রানে ৩ উইকেট নেন পেসার ফার্গুসন। দলের ব্যর্থতার দিনে বিরাট কোহলির পর ওয়ানডেতে দ্বিতীয় দ্রুততম ৮ হাজারি ক্লাবে নাম লেখান আমলা। ১৭৮ ম্যাচে ১৭৬ ইনিংসে ব্যাট করে ২৭ সেঞ্চুরি ও ৩৭ টি ফিফটি আছে তার। কিউইদের বিপক্ষে এদিন ব্যক্তিগত ২৪ রান করার পরই ৮ হাজার রান পূরণ করেন আমলা। ওয়ানডেতে দ্রুততম ৮ হাজারের তালিকায় শীর্ষে থাকা কোহলি খেলেছেন ১৭৫ ইনিংস। উল্লেখ্য, ২০১১ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল আর ২০১৫ বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে আসর থেকে বিদায় নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার লীগ পর্বেই সেই কিউই-ধাক্কায় ডুপ্লেসিসদের সেমির আশা প্রায় শেষই হয়ে গেল! সংক্ষিপ্ত স্কোর: দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৪১/৬ (৪৯ ওভার; ডি কক ৫, আমলা ৫৫, ডুপ্লেসিস ২৩, মারক্রাম ৩৮, ফন ডার ডুসেন ৬৭*, মিলার ৩৬, ফেলুকোয়ায়ো ০, মরিস ৬*; হেনরি ০/৩৪, বোল্ট ১/৬৩, ফার্গুসন ৩/৫৯, ডি গ্র্যান্ডহোম ১/৩৩, স্যান্টনার ১/৪৫) নিউজিল্যান্ড: ২৪৫/৬ (৪৮.৩ ওভার; গাপটিল ৩৫, মুনরো ৯, উইলিয়ামসন ১০৬*, টেইলর ১, লাথাম ১, নিশাম ২৩, গ্রান্ডহোম ৬০, স্যান্টনার ২*; রাবাদা ১/৪২, এনগিদি ১/৪৭, মরিস ৩/৪৯, ফেলুকোওয়ায়ো ১/৭৩ ) ফল : নিউজিল্যান্ড ৪ উইকেটে জয়ী ম্যাচসেরা : উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড)
×