ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিনেমার ইতিহাসের যত মাইলফলক

প্রকাশিত: ১১:৪০, ২০ জুন ২০১৯

 সিনেমার ইতিহাসের যত মাইলফলক

(২য় পর্ব) সারতাজ আলীম ॥ ঝিরঝিরে আবছা কিছু ছবি থেকে আজকের ঝলমলে সিনেমা... সিনেমার পথচলা শুরু হয়নি একদিনে। ফলে ইতিহাসের ঠিক কোথা থেকে সিনেমার জন্ম সেটা নির্দিষ্ট করে কেউই বলেন না। শুরু যেখান থেকেই হোক, প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে চলছে সিনেমাও। গত শতাব্দীর শুরুতে যেমন মানুষ থ্রিডি প্রযুক্তির মতো কিছু ভাবতেও পারত না হয়ত তেমনি ভবিষ্যতেও এমন কিছু আসবে যেটা আজ ভাবে না কেউই। একনজরে দেখে নেয়া যাক সিনেমার সবাক যুগ থেকে ৬০-এর দশকের সূচনা পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো। ১৯৩১ এক টিকেটে দুই ছবি দেখাতে শুরু করে মোশন পিকচারস। অর্থনৈতিক মন্দা চলায় দর্শক টানতে এই পদ্ধতি নেয় তারা। ‘ডাবল ফিচার’ বা ‘এক টিকেটে দুই ছবি’ কথার উৎপত্তি এভাবে। ১৯৩৩- থিয়েটারের বাইরে আউটডোরে প্রথম ড্রাইভইন থিয়েটারের উৎপত্তি। ১৯৩৪- ‘ইট হ্যাপেনড ওয়ান নাইট’ সিনেমাটি ৫ বিভাগে একাডেমি এ্যাওয়ার্ড জিতে নেয়। সেরা চলচ্চিত্র, সেরা পরিচালক সেরা অভিনেতা, সেরা অভিনেত্রী, সেরা রচনা বিভাগে পুরস্কার পেয়ে নতুন রেকর্ড গড়ে সিনেমাটি। ১৯৩৫- ‘বেকি শার্প’ সিনেমার মধ্যে দিয়ে শুরু“হয় সিনেমাতে টেকনিকালারের যাত্রা। এর আগে ১৯২২ সালে দুই রঙের সিনেমার জন্ম হলেও দর্শকের মাঝে তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি। কিন্তু টেকনিকালার দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। টেকনিকালারে ৩টি প্রাথমিক রং দিয়ে বিভিন্ন রং তৈরি করা হতো। ১৯৩৭- প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য এ্যানিমেটেড সিনেমা স্নো হোয়াইট এ্যান্ড দ্য সেভেন ডোয়ার্ফসের মুক্তি। ক্লাসিক রূপকথার উপর ভিত্তি করে তৈরি সিনেমাটি ব্যাপক সাড়া ফেলে। ১৯৩৯- বক্স অফিসে রেকর্ড গড়ে ২৩১ মিনিটের সিনেমা গন উইথ দ্য উইন্ড। সেসময়ই প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার আয় করা ছবিটি সিনেমা জগতের অন্যতম ব্যবসাসফল সিনেমা। মুদ্রাস্ফীতি হিসাব করলে এই সিনেমাটি আমেরিকার সর্বকালের ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র। এই বছরই ইতালির ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। নামে আন্তর্জাতিক হলেও হিটলার এবং তার বন্ধু মুসোলিনির ইচ্ছামতো আয়োজিত হয় এটি। এই উৎসবের উপর ক্ষোভ থেকেই প্রশস্ত হয় কানের রাস্তা। ১৯৪১-“In Citi“en Kane, Orson Welles subordinates all previous technological and cinematic accomplishments to his own essentially cinematic vision. Using newly developed film stocks and a wider, faster lens, Welles pushes the boundaries of montage and mise-en-scne, as well as sound, redefning the medium.” ১৯৪২- মুক্তি পায় ক্যাসাব্লাঙ্কা। ছবিটিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্র হিসাবে গণ্য করা হয়।
×