ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সুমন্ত গুপ্ত

‘ডার্ক ফোনিক্স’

প্রকাশিত: ১১:৪১, ২০ জুন ২০১৯

‘ডার্ক ফোনিক্স’

এক্স-মেন ভক্তদের জন্য সুখবর। ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘এক্স-মেন : এ্যাপোক্যালিপস’ ঝড়ের পর এবার এসেছে মার্ভেল কমিকসের ‘ডার্ক ফোনিক্স’। আগের ছবির ধুন্দুমার সাফল্যের পর থেকে দর্শকদের অপেক্ষা শুরু“হয় পরবর্তী সিক্যুয়ালের। সেই অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। তুমুল জনপ্রিয় এক্স-মেন সিরিজের ১২তম কিস্তি ‘ডার্ক ফোনিক্স’। ছবিটির প্রযোজনা ও পরিবেশক সংস্থা টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স ফিল্ম। পরিচালনা করেছেন সাইমন কিনবার্গ। ছবির বিভিন্ন চরিত্রে আছেন জেমস ম্যাকাভয়, মাইকেল ফ্যাসবেন্ডার, জেনিফার লরেন্স, নিকোলাস হল্ট, সোফি টার্নার, টাই সেরিডান, আলেক্সান্দ্রা শিপ, কোডি ম্যাকফি, ইভান পিটারস, জেসিকা চেস্টাইনসহ আরও অনেকে। এক্স-মেনের মহাজগতে এ্যাপোক্যালিপস ছিলেন প্রথম ও সবচেয়ে শক্তিধর আবির্ভাব। সভ্যতার শুরু থেকে তাঁকে দেবতা হিসেবে পূজা করা হতো। অন্যদের সমন্বিত শক্তি তাঁর মধ্যে সঞ্চিত ছিল। ফলে তিনি হয়ে ওঠেন অমর, অপরাজেয়। কয়েক হাজার বছরের নিদ্রা থেকে জেগে ওঠার পর জগতের পরিস্থিতি দেখে বিভ্রম কাটল তাঁর। গড়ে তুললেন মিউট্যান্ট নামে পরিচিত শক্তিধরদের নিয়ে এক বাহিনী। এই দলে ছিলেন হৃদয়হীন ম্যাগনেটো (মাইকেল ফ্যাসবেন্ডার), যাঁর কাজ মানবজাতিকে ধ্বংস করে পৃথিবীতে নিজের অধীন একজন নতুন নেতা তৈরি করা। বিনাশের শঙ্কায় মানবজাতির ভাগ্য যখন দোদুল্যমান, তখন রাভেন (জেনিফার লরেন্স) তরুণ এক্স-মেন বাহিনীর নেতৃত্বে এলেন। প্রফেসর এক্সের (জেমস ম্যাকএ্যাভয়) সহায়তায় তাঁরা নিজেদের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদটি রুখে দেবেন। আর মানবজাতিকে বাঁচাবেন সম্পূর্ণ বিনাশের হাত থেকে। এমন কাহিনী ছিল আগের পর্বে। এবারের পর্বে খল নায়িকা লিলান্ড্রার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জেসিকা চ্যাসটেইন। যিনি ডার্ক ফিনিক্স খুঁজে বন্দী করার ফন্দি আঁটেন। এবারের পর্বে কেভিয়ারের সবচেয়ে বিশ্বস্ত শিষ্য ফোনিক্স অত্যন্ত শক্তিধর। টেলিপ্যাথিক ক্ষমতাধর জিন গ্রে-কে ফিনিক্স নামের কসমিক শক্তি পান করানো হয়। যার ফলে অসীম শক্তিধর জিন গ্রে তার ব্যক্তিত্ব হারিয়ে বাধা হয়ে দাঁড়ান এক্স-মেনদের বিরুদ্ধেই। অন্তরীক্ষে একটি উদ্ধারকাজের মিশন চালানোর সময় জিন গ্রে একটি রহস্যজনক কসমিক এনার্জির সান্নিধ্যে চলে আসে। যার জেরে জিনের শক্তি আরও বেড়ে যায়। এই পরিবর্তনে সে আরও অস্থির ও ভয়ঙ্কর ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে। এবার সে এক্স-মেন পরিবারের জন্য একটি অভিশাপ হয়ে উঠবে কি-না তারই লড়াই শুরু“হয়। এক্স-মেন পরিবারকে যে কোন একটি বেছে নিতে হতো। হয় জিনকে বাঁচাতে হবে নয়ত গোটা মানবসমাজকে রক্ষা করতে হবে। যদিও এ্যাপোক্যালিপসে তেমন কোন চাওয়া তৈরি হয়নি দর্শকের। কারণ ডেইজ অফ ফিউচার পাস্টে দেখানো হয়েছিল জিন কতটা শক্তিশালী হতে পারে। ডার্ক ফিনিক্সে জিনের সেই শক্তিই দেখানো হয়েছে।
×