ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শেয়ারবাজারে ৬৩ ভাগ কোম্পানির দরপতন

প্রকাশিত: ০৬:১০, ২০ জুন ২০১৯

 শেয়ারবাজারে ৬৩ ভাগ  কোম্পানির দরপতন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বড় দরপতনের পর দুই কার্যদিবস দেশের শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের সামান্য উত্থান হলেও বৃহস্পতিবার আবারও দরপতন হয়েছে। এই দিনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জে ৬৩ ভাগ কোম্পানির দর কমেছে। সেখানে সবকটি মূল্যসূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের পতন হলেও লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। গত ১৩ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পর ১৬ জুন শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়। পরের কার্যদিবস ১৭ জুনও বড় দরপতন অব্যাহত থাকে। তবে ১৮ ও ১৯ জুন মূল্যসূচকে কিছুটা উত্থান প্রবণতা দেখা যায়। প্রস্তাবিত বাজেটে রিজার্ভের ওপর কর আরোপের প্রস্তাবের কারণে বাজেট ঘোষণার পর বাজারে একধরনের ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয় বলে স্টেকহোল্ডারদের এক পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। তবে রিজার্ভের ওপর কর আরোপ করা সঠিক হয়েছে এমনটাও দাবি করছেন স্টেকহোল্ডার ও বিনিয়োগকারীদের অপর অংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, কোনো কোম্পানির কোনো আয় বছরে রিটেইনড আর্নিংস, রিজার্ভ ইত্যাদির সমষ্টি যদি পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি হয় তাহলে যতটুকু বেশি হবে তার ওপর সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে এমন করের প্রস্তাব আসার পর গত ১৬ জুন ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪৪ পয়েন্ট পড়ে যায়। পরের কার্যদিবস ১৭ জুন সূচকটি কমে ৫৫ পয়েন্ট। তবে সূচকটি ১৮ জুন ২৫ পয়েন্ট এবং ১৯ জুন ১১ পয়েন্ট বাড়ে। বড় পতনের সামান্য উত্থানের দেখা মিললেও বৃহস্পতিবার আবার দরপতন হয়েছে। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৯৫ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১ ও ডিএসই-৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ২৩৩ ও ১ হাজার ৮৯৪ পয়েন্টে। মূল্যসূচকের পাশাপাশি বাজারে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারে ৪৪৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৫৪ কোটি ৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। সূচক ও লেনদেনের সঙ্গে এদিন ডিএসইতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। লেনদেন হওয়া ৮৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ২২২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টির। টাকার অংকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির শেয়ার। কোম্পানিটির ৩০ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১১ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এবং ১১ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে নূরানী ডাইং। এ ছাড়া বাজারে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- জেএমআই সিরিঞ্জ, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, সিঙ্গার বিডি, মুন্নু সিরামিক, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, জিনেক্স ইনফোসিস এবং ভিএফএস থ্রেড ডাইং। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৪২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫২২ পয়েন্টে। বাজারে হাতবদল হওয়া ২৬৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৯টির, কমেছে ১৫০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টির। লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
×