ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

১০ বছরের কর মওকুফ চায় ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এসোসিয়েশন

প্রকাশিত: ০৬:১০, ২০ জুন ২০১৯

 ১০ বছরের কর মওকুফ চায়  ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এসোসিয়েশন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ম্যানেজার্সের ক্ষেত্রে আগামি ১০ বছরের জন্য শতভাগ কর মওকুফ চায় ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিইএবি)। এছাড়া হাই নেট ওর্থ ইন্ডিভিজ্যুয়াল ইনভেস্টরদের কর মওকুফ ও প্রভিডেন্ট ফান্ড ইনভেস্টমেন্টের ক্ষেত্রে কর ছাড় চায় সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা (সিইও) এবং ভিসিপিইএবি’র পরিচালক ওয়ালি-উল মারুফ মতিন বলেন, এখন যদি অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ম্যানেজার্সকে কর মওকুফের সুবিধা দেওয়া হয়, তাহলে ১০ বছরে সরকার এখনকার থেকে ৪০-৫০ গুণ বেশি কর পাবে। তাই এই সেক্টরকে উন্নতি ও বড় কর আদায়ের জন্য কর মওকুফের সুবিধা দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, আগামি ২০ বছর পরে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ছাড়া বিনিয়োগের কথা চিন্তাই করা যাবে না। ওইসময় বড় বড় বিনিয়োগ হবে অল্টারনেটিভ ইনষ্টেমেন্ট ফান্ডের মাধ্যমে। ভিসিপিইএবি’র চেয়ারম্যান শামীম আহসান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে ভেঞ্চার ক্যাপিটালের সর্ম্পক্য উল্লেখজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেসব দেশে এই খাতটি পলিসি সহায়তা পায়। ওইসব দেশের মতো বাংলাদেশে ভেঞ্চার ক্যাপিটালকে এগিয়ে নিতে সরকারের পলিসি সহায়তা দরকার। এজন্য এই খাতটিতে কর মওকুফের সুবিধা দিতে হবে। তিনি বলেন, ভেঞ্চার ক্যাপিটালের বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ এবং রিটার্ন বেশি। এই খাত থেকে বিনিয়োগের পাশাপাশি ম্যানেজম্যান্টকে সহায়তা করা হয়। যা কোন ব্যাংক থেকে অর্থায়নের ক্ষেত্রে করা হয় না। এছাড়া ব্যাংক খাতে ম্যানেজম্যান্টকে সহায়তা করার মতো প্রফেশনাল লোকজন নেই। ফলে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল থেকে যেখানে বিনিয়োগ করা হয়, সেখানে ব্যাংক থেকে বিনিয়োগ করা হয় না। ভিসিপিইএবি’র ভাইস চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, পৃথিবীর কোন দেশে অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্টের ফান্ডে স্ট্যাম্প নেই। তাই বাংলাদেশেও স্ট্যাম্প ডিউটি প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে দেশে মিউচুয়াল ফান্ড ম্যানেজার্সের শুরুতে যেমন ১০ বছর কর মওকুফের সুবিধা দেওয়া হয়েছিল, একইভাবে অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ম্যানেজার্সের ক্ষেত্রে সেই সুবিধা দাবি করছি। ভিসিপিইএবি’র মহাসচিব শওকত হোসেন বলেন, বাংলাদেশে অল্টারনেটিভ ইনভেষ্টমেন্ট ফান্ডগুলো নতুন। এসব কোম্পানির বিনিয়োগ থেকে রিটার্ন আসতে গড়ে ১০ বছর লেগে যায়। যাতে দেশের অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্টগুলো এখনো বিনিয়োগ থেকে মুনাফায় যেতে পারেনি। অথচ ফান্ডগুলোকে এফডিআর থেকে অর্জিত সুদের উপরে ৩৫ শতাংশ হারে কর দিতে হচ্ছে। তাই এই খাতকে এগিয়ে নিতে কর মওকুফের সুবিধা দেওয়া উচিত। এছাড়া ২ শতাংশ স্টাম্প ডিউটি ছাড় দিতে হবে। তিনি বলেন, সাধারনভাবেই সঞ্চয়পত্রের থেকে অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট থেকে সংগৃহিত ফান্ডের জন্য রিটার্ন বেশি দিতে হয়। অন্যথায় কেউ অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্টে ফান্ড দেবে না। তাহলে দেখা যাবে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ১২ শতাংশ হলে, সংগৃহিত ফান্ডের জন্য ১৪-১৫ শতাংশ রিটার্ন দিতে হবে। আর শুরুতেই ২ শতাংশ স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হলে, সেটা ১৬-১৭ শতাংশে চলে যায়। ফলে এই খাতটিকে একটি অবস্থানে পৌঁছানোর জন্য কর সুবিধা দেওয়া দরকার।
×