ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ভালুকায় ধর্ষণ মামলার বাদিকে হুমকীর অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৮:৪৭, ২০ জুন ২০১৯

 ভালুকায় ধর্ষণ মামলার  বাদিকে হুমকীর অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভালুকা, ময়মনসিংহ ॥ ভালুকায় ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় এবং অপরাপর আসামীরা জামিনে এসে মামলা তুলে নিতে বাদি ও তার স্বামীসহ পরিবারের লোকদের হত্যসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকী দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মডেল থানায় সাধারণ ডায়রী করা হয়েছে। অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার বড় কাশর গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে ঔষধ ব্যবসায়ী মনির হোসাইনের স্ত্রী মিতু আক্তারকে (২৪) প্রতিবেশি আব্দুল হাইয়ের ছেলে মিল শ্রমিক হিমেল মিয়া (২২) বাড়িতে একা পেয়ে গত ৯ জুন রাতে কৌশলে ঘরে প্রবেশ করে মুখ চেপে ধরে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় তার ডাক চিৎকারে স্বামী ও প্রতিবেশিরা খোঁজ পেয়ে ধর্ষককে আটক করে। পরে ধর্ষক হিমেলের পরিবারের লোকজন ছুটে এসে ধর্ষিতা ও তার স্বামীকে মারধর করে ধর্ষককে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন ধর্ষিতা মিতু আক্তার বাদি হয়ে ভালুকা মডেল থানায় ধর্ষক হিমেল, তার পিতা আব্দুল হাই, আছমা খাতুন ও ময়না খাতুনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০১) এর ৯ (১১) তৎসহ ৪৪৭,৩২৩,৫০৬ ধারায় মামলা (নম্বর-১৪) দায়ের করেন। কিছুদিন পর মামলার প্রধান আসামী আদালতে হাজির না হয়ে অপরাপর আসামীরা জামিনে এসে বাদিকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকী দিচ্ছে এমনকি মামলা তুলে না নিলে বাদির স্বামীসহ পরিবারের লোকদের হত্যা করে লাশ গুমের হুমকী দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় ২০ জুন ধর্ষিতার স্বামী বাদি হয়ে মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী (নম্বর-৭৪৩) করেন। ধর্ষিতার স্বামী মনির হোসাইন জানান, মামলার প্রধান আসামী প্রকাশ্যে তাদেরকে হুমকী দিয়ে আসলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারছেন না। তিনি তার পরিবারের সদস্যরা আসামীদের ভয়ে এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। জামিনে থাকা মামলার আসামী ও ধর্ষকের বাবা আব্দুল হাই জানান, মিথ্যে মামলা দিয়ে তাদেরকে হয়রানী করা হচ্ছে। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ভালুকা মডেল থানার এসআই আবু তালেব জানান, মামলার প্রধান আসামী হিমেলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অপরাপর আসামীরা বর্তমানে জামিনে আছেন। তাছাড়া বাদি ও তার পরিবারের সদস্যদের হুমকীর বিষয়ে তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×