ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিচিত্র তথ্য ॥ শাহিদুল ইসলাম

প্রকাশিত: ০৮:৪৯, ২১ জুন ২০১৯

বিচিত্র তথ্য ॥ শাহিদুল ইসলাম

যে ঘড়িতে কখনও ১২টা বাজে না সোলোথার্ন। ছবির মতো সুন্দর সুইজারল্যান্ডের উত্তর পশ্চিমের এই শহরটি পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। তবে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা কিছু সময়ের জন্য থমকে যান শহরের কেন্দ্রস্থল টাউন স্কয়ারের সামনে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে। কারণ এই ঘড়িটি আর দশটা সাধারণ ঘড়ির মতো নয়। পৃথিবীর সব ঘড়িতে যেখানে এক থেকে বারোটি কাঁটা রয়েছে সেখানে এই ঘড়িতে আছে এগারোটি কাঁটা। অর্থাৎ কখনও বারোটা বাজে না এই ঘড়িতে। কারণ কি? উৎসুক হয়ে কাউকে জিজ্ঞেস করতেই মিলবে অবাক করা তথ্য। শুধু ঘড়ি নয়, এই শহরের অনেক কিছুতেই রয়েছে এগারো সংখ্যার আধিক্য। যেমন এই শহরে রয়েছে এগারোটি জাদুঘর, এগারোটি গির্জা, এগারোটি ঝরনাসহ আরও অনেক কিছু। কিন্তু এগারো কেন? কি বিশেষত্ব রয়েছে সংখ্যাটির। এই উত্তর খুঁজতে ফিরে যেতে হবে হাজার বছর আগে যখন এই নগরীর গোড়াপত্তন হয়েছিল। একাদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে এই নগরীতে ইলভ নামে এক জার্মানের আগমন ঘটেছিল, যিনি এই নগর প্রতিষ্ঠায় অনেক পরিশ্রম করেছিলেন। তবে ওই সময় ইলভ সফল না হলেও সোলোথার্নবাসী তাকে ভোলেনি। তারা ইলভ স্মরণে তার নামের সঙ্গে মিল রেখে শহরে ইলেভেন নামে কয়েকটি স্থাপনা তৈরি করে। সেই থেকে শুরু। এরপর যত দিন গেছে এই শহরের সঙ্গে এগারো সংখ্যাটি জড়িয়ে গেছে কাকতালীয়ভাবে। ১২১৫ সালে যখন এই শহরে কাউন্সিলর নির্বাচন হয় তখন এগারো জনকে নির্বাচন করা হয়েছিল। ১৪৮১ সালে সোলোথার্ন সুইস কনফেডারেশনের এগারোতম প্রদেশ হিসেবে যুক্ত হয়। ওই সময় এগারো জন শহর রক্ষাকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। এরপর পনেরো শতকের গোড়ার দিকে যখন শহরে সেইন্ট আরসু গির্জা নির্মাণ করা হয় তখন গির্জায় এগারোটি দরোজা, এগারোটি জানালা, এগারোটি রো, এগারোটি ঘণ্টা, এগারো রকমের পাথর ব্যবহার করা হয়েছিল। মোটকথা এই শহরবাসীর এগারো সংখ্যাটির প্রতি রয়েছে এক প্রাগৈতিহাসিক দুর্বলতা, যা তারা হাজার বছর ধরে ব্যবহার করে আসছে পরম মমতায়, পরম যত্নে। . নাস্তা করে বিশ্ব রেকর্ড সারি সারি বিছানায় বসে আছেন ৫৭৪ জন লোক। পেছনে দাঁড়িয়ে সমানসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক। সামনের থালায় সাজানো পানীয়সহ দুই পদের সকালের নাস্তা। বিছানায় বসা সকলেই একসঙ্গে নাস্তা খাওয়া শুরু করলেন। শেষও করলেন একসঙ্গে। তৈরি হলো একসঙ্গে সর্বোচ্চ সংখ্যক লোকের বিছানায় বসে নাস্তা খাওয়ার নতুন বিশ্ব রেকর্ড। ইভেন্টটি আয়োজন করা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার জোহান্সবার্গ শহরে। কোকাকোলা কোম্পানির ‘ক্যাপি’ জুস ব্র্যান্ডের অর্থায়নে এবং জোহান্সবার্গ শহর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় আয়োজিত ইভেন্টের তদারকি করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ। এর আগে চীনের চাবোই রিভার হোটেলে আয়োজিত ‘একসঙ্গে সর্বোচ্চ সংখ্যক লোকের বিছানায় বসে নাস্তা খাওয়ার’ রেকর্ড ভাঙতেই এই আয়োজন করা হয়। ইভেন্টটিতে নাস্তা খেতে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে পাঁচ মিনিট সময় দেওয়া হয়। গিনেস কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী সবাইকে একসঙ্গে নাস্তা খাওয়া শুরু এবং শেষ করার বাধ্যবাধকতা ছিল। যদি কেউ একজন আগে বা পরে নাস্তা খাওয়া শুরু বা শেষ করে তাহলে রেকর্ড হবে না। তবে অংশগ্রহণকারীরা ভালভাবেই তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন, যে কারণে তৈরি হয়েছে নতুন বিশ্ব রেকর্ড। ইভেন্টে অংশগ্রহণ করা সবাই বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন। কারণ তাদের কেউই এর আগে বিছানায় বসে নাস্তা করেননি।
×