নদীকে মৃত্যুর বালিশ এগিয়ে দেয় ক্ষমতাসীন রাজনীতির
দু’জন স্থানীয় নেতা
শোবে না শোবে না বলে হেঁটে যায় কিছু দূর
তিনটি প্রমত্তা ছৈয়ানাও পার হয়ে ধর্ষিতা রমনী এসে উত্তাল সমুদ্রে নামে
ঢেউয়েরা হাঙরের বুকে ভেসে ভেসে খেলা করে সারাদিন
গোস্বায় জমাট বাঁধা বৃষ্টি থেকে নেমে আসে ফোঁটা ফোঁটা কালো মেঘ
জলধারা মেঘোল্লাসে লেজ নাড়ে মাছেদের পেটের ভেতর
সমুদ্র-পাশে যে প্রবীণ অরণ্য, সেখানে ধীরপ্রবণ
জল-কাদাদের হাঁটাহাঁটি মৃতপ্রায় সরীসৃপ-দেহে।
বর্ষণে বর্ষণে আকাশ-অরণ্য নদী হয়
শাখানদী-উপনদী হয়ে ছুটে চলে শহরের গলিপথ, প্রধান সড়ক;
শুধু নদী আর থাকে না নদীর ভেতর, স্রোতেরা ডুবে মরে
স্থানীয় নেতার ভারে।
দল বেঁধে ক্যাডার চালাতে চালাতে টহল দেয় প্রতিপক্ষের মোটর-শোভা
লোভের বালুতে চড়ে আসে ট্রাক,
আসে ঝাঁক, নির্বাক নদীতে নামে বুভুক্ষু শূকর
ঘোৎ ঘোৎ চাটে যোনি, অশনিবেলায়।
নদীকে মৃত্যুর বালিশ এগিয়ে দেয়...
[প্রতিবাস্তব কবিতা]
হলিসউড, নিউইয়র্ক
৩১ মে ২০১৯।
শীর্ষ সংবাদ: