ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

১৭০ খাদ্যগুদাম ও ২শ’ সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৯:৪৩, ২১ জুন ২০১৯

১৭০ খাদ্যগুদাম ও  ২শ’ সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে

সংসদ রিপোর্টার ॥ খাদ্যশস্য সংরক্ষণের জন্য সারাদেশে আরও ১৭০ খাদ্য গুদাম ও দুই শ’টি সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। বিরোধী দল জাতীয় পার্টির বেগম সালমা ইসলামের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী জানান, আরও ১৭০ খাদ্য গুদাম নির্মাণ করা হবে। এসব গুদামের মধ্যে এক লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন গুদাম রয়েছে ১৬২ এবং ৫ দশমিক ১৮ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ৮ স্টিল সাইলো রয়েছে। তিনি আরও জানান, কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করে সংরক্ষণের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন দুই শ’টি ধানের সাইলো নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। সরকারী দলের মোহাম্মদ এবাদুল করিমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, চলতি বোরো মৌসুমে সরকার প্রথম প্রতি কেজি ২৬ টাকা বা প্রতি মণ এক হাজার ৪০ টাকা দরে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে এক লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে এ বছর ধানের বাম্পার ফলন বিবেচনায় নিয়ে একই দরে আরও ২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এর বাইরে এ মৌসুমে ৩৫ কেজি দরে এক লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপচাল ও প্রতি কেজি ৩৬ টাকা দরে ১০ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল মিলারদের কাছ থেকে সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জিএসপি সুবিধা ॥ সরকারী দলের সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী সংসদে জানিয়েছেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ৩৮ দেশে জিএসপি সুবিধা পাচ্ছে। এসব দেশের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৮টি এবং অন্য দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, জাপান, তুরস্ক, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা ও চিলি রয়েছে। তিনি আরও জানান, জিএসপি সুবিধার আওতায় রুলস অব অরজিন শিথিলসহ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ পরবর্তী সময়ে বিদ্যমান শুল্ক সুবিধা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ মিশনগুলো সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে সক্রিয় যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে। একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, জিএসপি সুবিধাপ্রাপ্ত দেশসমূহে রফতানি সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও রফতানি আশানুরূপ বৃদ্ধি না পাইলে বিদেশে অবস্থিত বাণিজ্য মিশনগুলো সভা, সেমিনার ও মেলাসহ বিভিন্ন কমসূচীর মাধ্যমে উক্ত দেশের ব্যবসায়ীদের অবহিত ও উদ্বুদ্ধ করে থাকে। এছাড়া বাংলাদেশে থেকে ইস্যুকৃত জিএসপি সনদ সম্পর্কিত কোন সমস্যা দেখা দিলে সেই সব বিষয়ে বাণিজ্য মিশনগুলো মন্ত্রণালয়, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে।
×