ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বৈষম্যমূলক শুল্কনীতির প্রতিবাদে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০৯:২২, ২৫ জুন ২০১৯

 বৈষম্যমূলক শুল্কনীতির প্রতিবাদে  বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রস্তাবিত বাজেটের বৈষম্যমূলক শুল্কনীতির প্রতিবাদ ও ভারতের ন্যায় প্রতি হাজার বিড়িতে ১৪ টাকা করারোপসহ ৬ দফা দাবিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন। রবিবার এনবিআরের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে এনবিআরের চেয়ারম্যান বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা। এতে কয়েক হাজার বিড়ি শ্রমিক অংশ নেন। বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচীতে বক্তব্য দেন ফেডারেশনের সভাপতি এম কে বাঙ্গালী, কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম প্রমুখ। সভাপতি এম কে বাঙ্গালী বলেন, ‘বিড়ি শিল্পের সঙ্গে সমাজের অবহেলিত, অসহায়, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর লক্ষ লক্ষ শ্রমিক জড়িত। অথচ এ শিল্পের ওপর সম্পূর্ণ বৈষম্যমূলকভাবে করারোপ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ির মোট রাজস্ব বৃদ্ধি করা হয়েছে ২৪ দশমিক ২০ শতাংশ অপরদিকে নিম্নস্তর সিগারেটের রাজস্ব বাড়ানো হয়েছে মাত্র ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। বিড়ির সম্পূরক শুল্ক যেখানে ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে অন্যদিকে সিগারেটের সকল স্তরে কোন সম্পূরক শুল্কই বৃদ্ধি হয়নি। অর্থাৎ দেশীয় শিল্পকে ধ্বংস করে বিদেশী সিগারেট কোম্পানিকে সম্পূর্ণ আনুকূল্য দেয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সাবেক অর্থমন্ত্রী বিড়ি শিল্প বন্ধের জন্য সময় নির্ধারণ করেছেন ২০৩০ সাল আর সিগারেট শিল্প বন্ধের সময় দিয়েছেন ২০৪০ সাল পর্যন্ত। দেশীয় শিল্প হিসেবে বিড়ি শিল্পের ওপর এ ধরনের বৈষম্য অযৌক্তিক ও অমানবিক।’ কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি বলেন, ‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ধূমপান বিরোধী। কিন্তু সিগারেট টিকিয়ে রেখে বিড়ি ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র কখনও হতে দেব না। প্রয়োজনে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের দাবি মানতে বাধ্য করব।’ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বিড়িকে কুটির শিল্প হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সুরক্ষা দিচ্ছে। দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের দিকে বিবেচনা করে প্রতিবেশী দেশ ভারতে বিড়ির ওপর শুল্ক সহনীয় মাত্রায় রাখা হয়েছে। ভারতে এক হাজার বিড়িতে যেখানে শুল্ক দিতে হয় ১৪ টাকা সেখানে বাংলাদেশে ৩১৩ টাকা ৬০ পয়সা করা হয়েছে। যা বিড়ি শিল্প ধ্বংসের পাঁয়তারা। আমাদের কর্ম রক্ষার স্বার্থে বিড়ির ওপর শুল্ক কমাতে প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।’ মানববন্ধন শেষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর চেয়ারম্যান বরাবর ৬ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ।
×