ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কুয়াকাটায় বিচ কার্নিভ্যাল ॥ বাস শ্রমিকদের পর্যটক হয়রানি বন্ধের দাবি

প্রকাশিত: ০৯:৫০, ২৫ জুন ২০১৯

 কুয়াকাটায় বিচ কার্নিভ্যাল ॥ বাস শ্রমিকদের পর্যটক হয়রানি বন্ধের দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৪ জুন ॥ একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের মতো মনোলোভা বিরল দৃশ্য উপভোগের সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় আগামী ২৭-২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে বিচ কার্নিভ্যাল। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উদ্যোগে বিচ কার্নিভ্যাল আয়োজন নিয়ে পটুয়াখালী জেলা ও কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। পর্যটন শহর কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ২২ কি.মি. মহাসড়কের তিনটি সেতুর দুই পাশে বর্ণিল সজ্জার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কুয়াকাটা সৈকতের সৌন্দর্যম-িত স্পর্টের দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন স্থাপনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। রবিবার রাতে কুয়াকাটায় পর্যটন হলিডে হোম্স মিলনায়তনে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ী, গণমাধ্যম ব্যক্তিবৃন্দ, বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ী, সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসান, কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, কুয়াকাটার মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লা, কলাপাড়ার ইউএনও মোঃ মুনিবুর রহমান, মহিপুর থানার ওসি সাইদুল ইসলাম, কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের এএসপি জহিরুল ইসলাম, কার্নিভ্যাল আয়োজন নিয়ে বিশদ কথা বলেন। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কুয়াকাটায় পর্যটন হলিডে হোম্স থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালির মধ্য দিয়ে বিচ কার্নিভ্যালের উদ্বোধন হবে। করা হবে বিচ পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম। শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছাড়াও থাকছে ঘুড়ি উৎসব, ফুটবল, ক্রিকেট, হা-ডু-ডু, কাবাডি খেলা প্রতিযোগিতা। থাকছে দেশ বরেণ্য শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। থাকছে প্রামাণ্য চিত্রভিত্তিক লেজার শো। রয়েছে ভোজন বিলাসীদের জন্য বারবিকিউ সন্ধ্যা। কুয়াকাটা সৈকতের অন্তত তিন কিলোমিটারজুড়ে দৃষ্টিনন্দন আলোক সজ্জার ব্যবস্থা থাকছে। থাকছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব থাকবে কুয়াকাটায় বিচ কার্নিভ্যালকে ঘিরে। আগত পর্যটক দর্শনার্থীদের জন্য সার্বক্ষণিক সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকছে। কুয়াকাটা থেকে গঙ্গামতি পর্যন্ত বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মিশ্রিপাড়ায় যেতে পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। তবে বরিশাল থেকে কুয়াকাটাগামী পর্যটকের বাস যোগে যাওয়া-আসার ভোগান্তি ও শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠেছে। অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া বন্ধের ব্যবস্থা করা। কুয়াকাটা-পটুয়াখালী ৭০ কিলোমিটার পথে তিন ঘণ্টা সময় পার করার ভোগান্তি বন্ধের ব্যবস্থা করা। কুয়াকাটায় যাওয়া-আসা করতে পরিবহনসহ যে কোন বাসে পর্যটকের চলাচলের সুযোগ করে দেয়া। এমনকি বরিশাল থেকে কুয়াকাটায় যাওয়া বাস ছাড়া অন্য কোন বাসে কুয়াকাটা লেখা না থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
×