ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সেমিনারে ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিক

সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

প্রকাশিত: ০৯:৫৮, ২৫ জুন ২০১৯

 সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গীবাদ নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। তাই সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনে ডিএনসিসির জনপ্রতিনিধিরা এবং বাংলাদেশ পুলিশ যৌথভাবে কাজ করবে। সোমবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম, গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) এসএম মোস্তাক আহমেদ খান, ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (স্পেশাল এ্যাকশন গ্রুপ) উপ-কমিশনার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র আলেয়া সারোয়ার ডেইজী, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন। উগ্রবাদ প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধিদের করণীয় শীর্ষক দিনব্যাপী এ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, হলি আর্টিজান হামলার পর বিদেশী বিনিয়োগকারীরা তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছিলেন। তারা বলেছেন, আমাদের দেশে ব্যবসার জন্য ক্যাপাবল নয়। আমরা বলেছি, আমরা ক্যাপাবল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ক্যাপাবিলিটি ও ক্যাপাসিটি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে দেশকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। মেয়র বলেন, যেহেতু জনপ্রতিনিধিরা সমাজের সকল স্তরের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-ের মাধ্যমে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনের ওপর মেয়র গুরুত্বারোপ করেন। শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ডিএমপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসায় সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান আয়োজনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকাকে সেফ সিটি করতে হবে, তাহলে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীরা এদেশে আসবে। এজন্য সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। স্কুল, কলেজ, মাদরাসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বস্তিতেও সচেতনতামূলক প্রচার করতে হবে। সবার মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, জঙ্গীরা দাওয়াতের মাধ্যমে ছেলেমেয়েদের ব্রেন ওয়াশ করত। তাদের জঙ্গীনামক ছোবল থেকে বাঁচানোর জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলার মাঠের বিকল্প নেই। আমরা ঢাকা উত্তরের ২৪টি সময় উপযোগী খেলার মাঠ করার জন্য কাজ শুরু করেছি। এসব খেলার মাঠকে লাইটিং করে রাতেও খেলার উপযোগী করে তোলা হবে।
×