ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জামিনে মুক্তিপ্রাপ্ত জঙ্গীরা নিবিড় নজরদারিতে ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:৫৩, ২৫ জুন ২০১৯

  জামিনে মুক্তিপ্রাপ্ত জঙ্গীরা নিবিড় নজরদারিতে ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ জঙ্গীবাদ নির্মূলে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির আলোকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জঙ্গী হামলা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি জামিনে মুক্তিপ্রাপ্ত, সাজাপ্রাপ্ত ও আটক জঙ্গীদের নিবিড় নজরদারির ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জঙ্গী দমনে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড পুলিশ গঠনের পাশাপাশি উপযুক্ত প্রশিক্ষণ, অপারেশনাল ও লজিস্টিকস সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া গোয়েন্দা নজরদারি ও আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে জঙ্গী আস্তানা, জঙ্গীদের অবস্থান শনাক্তপূর্বক গ্রেফতার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জঙ্গী সংশ্লিষ্ট কাজের সঙ্গে চিহ্নিত/শনাক্তকরণের সুবিধার্থে এলাকাভিত্তিক ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং বিডি পুলিশ হেল্পলাইন, হেলো সিটি ও রিপোর্ট টু র‌্যাব প্রভৃতি অনলাইন এ্যাপস চালু এবং গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, জঙ্গী দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এযাবৎ অনেক সফল অভিযান পরিচালিত হয়েছে এবং যে কোন ধরনের জঙ্গী সংক্রান্ত বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ সদা তৎপর, পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে প্রচলিত আইন অনুযায়ী জঙ্গীদের গ্রেফতারপূর্বক বিচারের জন্য আদালতে সোপর্দ করার কার্যক্রম অব্যাহত আছে। জঙ্গী হামলা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের জঙ্গীবাদ দমনের সাফল্য বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের অপর এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও মাদক সমস্যার কবলে পড়েছে মূলত ভৌগোলিক কারণে। আমাদের দেশে অবৈধ মাদক প্রবেশ করে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও মিয়ানমার থেকে। বর্তমান সময়ের আলোচিত মাদক ইয়াবা যা প্রবেশ করছে মিয়ানমার থেকে। ভারত থেকে আমাদের দেশে গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও ইনজেক্টিং ড্রাগ পাচার হয়। ইয়াবা মূলত মিয়ানমার থেকে নাফ নদী হয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের মাধ্যমে এদেশে পাচার হয়। ইয়াবা অনুপ্রবেশ বন্ধে ইতোমধ্যে টেকনাফ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ৯ জন জনবল সমন্বয়ে একটি অস্থায়ী সার্কেল স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি কক্সবাজার জেলায় ১০ ব্যাটালিয়ান আনসারসহ মোট ১৯ জনবলের একটি টিম মাদকবিরোধী কাজ করছে। মন্ত্রী জানান, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ’১৮ সালে ১ লাখ ৬১ হাজার ৩২৩ মাদক কারবারির বিরুদ্ধে ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৭৮ মামলা করেছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি-মে পর্যন্ত ৬ হাজার ৬৭১ মাদক কারবারির বিরুদ্ধে ৬ হাজার ১৫৬ মামলা হয়েছে। প্রতিদিন মাদকবিরোধী অভিযানে মাদক কারবারিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
×