ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

খামেনির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অর্থ কূটনীতির ইতি ॥ ইরান

প্রকাশিত: ০৩:০৬, ২৫ জুন ২০১৯

খামেনির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অর্থ কূটনীতির ইতি ॥ ইরান

অনলাইন ডেস্ক ॥ সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে কূটনীতির পথটি স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেল বলে মন্তব্য করেছে ইরান।1 মঙ্গলবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এক টুইটে এ মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। গত সপ্তাহে ইরান যুক্তরাষ্ট্রে একটি গোয়েন্দা ড্রোন ভূপাতিত করেছিল। ওই ঘটনার পর তেহরানের ওপর চাপ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সোমবার ওই নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। এর প্রতিক্রিয়ায় করা টুইটে ইরানি মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি বলেন, “ইরানের সর্বোচ্চ নেতা (আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি) ও ইরানের কূটনৈতিক কমান্ডারের (মোহাম্মদ জাভাদ জারিফ) ওপর অর্থহীন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কূটনীতির পথ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হলো। “ট্রাম্পের বেপরোয়া প্রশাসন বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ধ্বংস করছে।” খামেনি ইরানের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর কর্তৃপক্ষ, রাষ্ট্রীয় যেকোনো বিষয়ে তার কথাই শেষ কথা। ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন ভূপাতিত করার প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে নিষেধাজ্ঞাটি আরোপ করা হয়েছে, তবে যে কোনো কারণেই হোক এটি আরোপ করা হতোই। ইরান জানিয়েছে, মার্কিন ড্রোনটি তাদের দক্ষিণাঞ্চলীয় আকাশ সীমায় প্রবেশ করার পর সেটিকে ভূপাতিত করা হয়। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালীর ওপরে আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় থাকার সময় ড্রোনটিকে ভূপাতিত করা হয়েছে। খামেনির পাশাপাশি ইরানের নৌবাহিনী, এয়ারোস্পেস ও ইসলামিক রেভোলুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) আট জ্যেষ্ঠ কমান্ডারের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। নতুন এই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য ইরানের নেতৃবৃন্দকে তাদের আর্থিক উৎসগুলোতে প্রবেশ করতে না দেওয়া, তাদের যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ব্যবহার করা আটকানো অথবা তাদের যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পদ থেকে থাকলে সেখানে কার্যক্রম চালাতে না দেওয়া। গত বছর ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যাওয়ার পর তেহরানের ওপর পুরোনো সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করাসহ নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন। তারপর থেকেই ওয়াশিংটন-তেহরানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়।
×