স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ভারতকে চাপে ফেলে দেয়া আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সহজ জয় বাংলাদেশের। কি কি কারণ থাকতে পারে যা বাংলাদেশকে এগিয়ে দিল সেমিফাইনালের দিকে। দেখে নেয়া যাক সেইসব কারণগুলো।
শুরুতেই এবারের বিশ্বকাপের কনিষ্ঠতম স্পিনার মুজিবের হাতে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। কিন্তু সেই ধাক্কা সামলে দেন সাকিব ও তামিম। তাদের ব্যাটিং বুঝিয়ে দেয় অভিজ্ঞতার কোন বিকল্প হয় না।
৬৯ বলে ৫১ রানের ইনিংস সাকিব উল হাসানকে পৌঁছে দেয় এই বিশ্বকাপে রান সংগ্রহ তালিকার শীর্ষে। শুধু তাই নয়, এই ইনিংস বাংলাদেশকে সাহায্য করে বাংলাদেশের মিডলঅর্ডারের ওপর থেকে চাপ সরিয়ে দিতে। প্রথম বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি বিশ্বকাপে ১০০০ রানের মাইলফলক টপকে যান।
মুশফিকুর রহীমের মতো উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান যে কোন দলের সম্পদ। গুরুত্বপূর্ণ ৮৩ রানের (৮৭ বলে) ইনিংস খেলে তিনি বাংলাদেশের রানকে দাঁড় করিয়ে দেন শক্ত ভিতের ওপর। লোয়ার মিডলঅর্ডারে মাহমাদুল্লাহ ও মোসাদ্দেক হোসেনের ইনিংস বাংলাদেশকে পার করে দেয় ২৫০ রানের গ-ি। বিশেষত মোসাদ্দেকের ২৪ বলে ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংস বাংলাদেশের মনোবল বাড়াতে বড় ভূমিকা নেয়।
আফগান ওপেনারদের ঠা-া মাথার ব্যাটিং চিন্তার কারণ হচ্ছিল বাংলাদেশ শিবিরে। প্রথম ১০ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে তারা পৌঁছে যায় ৪৮ রানে। বাংলাদেশের পেস বোলাররা উইকেট নিতে ব্যর্থ হলে অধিনায়ক মাশরাফি বল তুলে দেন অভিজ্ঞ সাকিবের হাতে। অধিনায়কের বিশ্বাসের মর্যাদা রেখে প্রথম ওভারেই আফগান ওপেনার রহমত শাহকে প্যাভিলিয়ানে পাঠান সাকিব। সাকিব পাঁচ উইকেট নিয়ে শুধু যে আফগানিস্তানের ব্যাটিংঅর্ডারে ধস নামিয়ে দেন তাই নয়, একই ম্যাচে পাঁচ উইকেট ও অর্ধশত রান করে তিনি ছুঁয়ে ফেলেন যুবরাজ সিংকে। যা বাংলাদেশের জয়ের পথ মসৃণ করে দেয়।
আফগানদের অভিজ্ঞতার অভাব আবারও এই ম্যাচে প্রকাশ পায়। রানিং বিটুইন দ্য উইকেটস খারাপ হওয়ার কারণে তাদের আস্কিং রান রেট বাড়তে থাকে নিয়মিত। যা সামলাতে যখন তারা আক্রমণাত্মক হতে যায় তখন বেশ দেরি হয়ে গেছে। স্পিনার মেহেদী হাসানের কৃপণ বোলিং আটকে রাখে আফগানদের রানের গতি। যা চাপ সৃষ্টি করে আফগান ব্যাটিংয়ে।
রাশীদ ও নবির ওপর অতিনির্ভরতা ভুগছে আফগান বাহিনী। বাকি খেলোয়াড়রা যতদিন না নিজেদের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাচ্ছেন ততদিন বেশ বিপদে থাকবে আফগানিস্তান। এই জয়ের পর কি বাংলাদেশ নিজেদের নিয়ে যেতে পারবে সেমিফাইনালে? সেই অপেক্ষায় এখন বাংলাদেশের সমর্থকরা।
