ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিটিএমসি’র অধীনে থাকা সব মিলই অলাভজনক : পাটমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২৬ জুন ২০১৯

বিটিএমসি’র অধীনে থাকা সব মিলই অলাভজনক  : পাটমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশনের (বিটিএমসি) সব মিলই অলাভজনক। ফলে এখানে কর্মকরতদের বেতন-ভাতা প্রদানসহ অত্যাবশীয় ব্যয় মিটানো সম্ভব হচ্ছে না। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। মন্ত্রী জানান, সরকারি সিদ্ধান্তে বিভিন্ন সময়ে ও বিভিন্ন পদ্ধতিতে হস্তান্তরিত শর্ত লঙ্ঘনকারী পুনঃঅধিগ্রহণকৃত ৭টি মিলসহ বর্তমানে বিটিএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন সর্বমোট ২৫টি মিল রয়েছে। মিলগুলোর মধ্যে ৬টি মিল বর্তমানে ভাড়া পদ্ধতিতে চালু রয়েছে। অবশিষ্ট ১৯টি মিল বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। বিটিএমসি’র সব মিলই অলাভজনক। তবে এই ২৫টি মিলের ১৬টি মিল পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপি)’র আওতায় পরিচালনার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ইতোমধ্যে ২টি মিল পিপিপি কর্তৃপক্ষের অধীনে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে হস্তান্তর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বাকি ১৪টি মিল পিপিপি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিচালনার জন্য কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মন্ত্রী আরো জানান, বিটিএমসি’র সকল মিল বন্ধ থাকায় সংস্থাটির প্রধান আয়ের উৎস ভবন, স্থাপনা ভাড়া এবং ব্যাংকে রক্ষিত স্থায়ী আমানতের সুদ। এসব উৎস থেকে প্রাপ্ত আয় অত্যাবশীয় ব্যয়ের তুলনায় অনেক কম। ফলে এখানে কর্মরতদের বেতনভাতা প্রদানসহ অত্যাবশীয় ব্যয় মিটানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বকেয়ার পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ৩ হাজার ২৩২ লাখ টাকা চেয়ে পত্র দিলেও কোন অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি; ফলে জটিলতা প্রকট হচ্ছে। বর্তমানে বেতন ভাতা ও মঞ্জুরী খাতে বকেয়ার পরিমাণ ২৭ দশমিক ৫৪ কোটি টাকা। বিটিএমসির গ্রাচুইটি তহবিলে ঘাটতি থাকায় অবসরগ্রাপ্তদের গ্রাইচুইটি পরিশোধ করা যাচ্ছে না বলে জানান গোলাম দস্তগীর গাজী। সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম. আবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, তাঁত জরিপ-২০১৭ অনুযায়ী দেশে হস্তচালিত তাঁতের সংখ্যা ৩ লাখ ২০ হাজার ৭৮১টি এবং হস্তচালিত তাঁত বন্ধ রয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৭৩টি। বন্ধ থাকা হস্তচালিত তাঁতগুলো পুনঃ চালুর লক্ষ্যে সরকার ক্ষুদ্র কর্মসূচির আওতায় ৪৪ হাজার ২৪০ জন তাঁতীকে ৬৫ হাজার ৪৫১টি তাঁতের অনুকূলে মোট ৭ হাজার ৫০৬ লাখ টাকা ঋণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ১৫ হাজার ৮শ লাখ টাকা বিনিয়োগে ব্যয়ে তাঁতীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
×