ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়, দায়িত্ব চিরস্থায়ী ॥ গণপূর্তমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:১১, ২৭ জুন ২০১৯

  ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়, দায়িত্ব চিরস্থায়ী ॥ গণপূর্তমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে আমি বিশ্বাস করি। আমি এক পয়সা ঘুষ খাব না, কমিশন নেব না, কোন অনিয়মে সম্পৃক্ত হব না, কোন অনিয়মকে আমি সমর্থন করব না বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বুধবার সকালে রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ-এর সেমিনার কক্ষে পিরোজপুর জেলার সাংবাদিকদের জন্য সাংবাদিকতায় বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন দৈনিক যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি ও পিআইবির পরিচালনা বোর্ডের সদস্য শেখ মামুনুর রশীদ। মন্ত্রী বলেন অনিয়ম, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক, ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করুন। কে রক্তচক্ষু দেখাল, হুমকি দিল, সেটা বিষয় নয়। সরকারের কেবিনেট মন্ত্রী হিসেবে আমি আপনাদের পাশে আছি। আমার আত্মীয়-স্বজন বা আমার অন্যায়ের বিরুদ্ধে হলেও নিউজ করতে আমি আপনাদের উৎসাহিত করছি। তবে কারো দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়ে কাউকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য যেন সংবাদ পরিবেশন করা না হয়। সে সংবাদে সরকারী দল বা বিরোধী দলের নেতা, যেই হোক তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। গভীরে গিয়ে তথ্য অনুসন্ধান করে সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়, দায়িত্ব চিরস্থায়ী। সকলের জন্য কাজ করা হচ্ছে দায়িত্ববোধ। সততা, দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করা আমার কর্তব্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেনÑ সংবাদ পরিবেশন করা সাংবাদিকের অধিকার, কৃপা নয়। তথ্যের অবাধ প্রবাহে শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন। এ কারণে তিনি তথ্য অধিকার আইন করেছেন, যাতে যে কোন মানুষ তথ্য পেতে পারে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সংবাদমাধ্যমকে এত বেশি প্রসারিত করা, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে এত বেশি লাইসেন্স দেয়া, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়াকে এত বেশি কাজ করার সুযোগ দেয়া, শেখ হাসিনার বাইরে আর কেউ কোনদিন দেয়নি। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও ছিল পিআইবিকে কার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা, সাংবাদিকদের প্রশিক্ষিত করা। মন্ত্রী বলেন,আপনারা নাগরিক দায়িত্বের বাইরে গিয়ে একটা বড় দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছেন। সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। নানা রকম প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়ে আপনাদের কাজ করতে হয়। মফস্বলের সংবাদদাতাগণের কাছে সাংবাদিকতা পেশার চেয়ে নেশা হয়ে যায়। এটাকে আমি পবিত্রতার সঙ্গে দেখি। সমাজব্যবস্থায় সাংবাদিকদের উল্লেখযোগ্য দায়িত্ব আছে। আপনারা সেটা পালন করে চলেছেন। তবে শেখার শেষ নেই, অর্জনেরও শেষ নেই। সে জায়গা থেকে আপনারা বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। মন্ত্রী বলেন,সংবাদপত্র, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া একটি শিল্পে পরিণত হয়েছে। অনলাইন পোর্টাল এখন সবচেয়ে জনপ্রিয়। মোবাইলে বসে সকল নিউজ এখন পাওয়া যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়াও এখন সংবাদ মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। এ রকম একটি ব্যাপ্তির জায়গায় আজ সংবাদ মাধ্যম চলছে। প্রশিক্ষণার্থী সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী আরও বলেন, একটি সংবাদ একজনের জীবন বিপন্ন করে দিতে পারে, সামাজিকভাবে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে পারে। আবার আপনারা সমঝোতা করলে দুর্নীতিগ্রস্ত লোক বেঁচে যেতে পারে। এ সমঝোতা করার জায়গায় আমি একমত নই। এ জন্য দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার পরীক্ষা করে, অনুসন্ধান করে সংবাদ পরিবেশন করবেন।
×