ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সেই গহীনকে পেতে আবেদন ৭ দম্পতির

প্রকাশিত: ১০:১৯, ২৭ জুন ২০১৯

 সেই গহীনকে  পেতে  আবেদন ৭ দম্পতির

কোর্ট রিপোর্টার ॥ ঢাকার শিশু হাসপাতালের টয়লেটে ফেলে যাওয়া নবজাতক গহীনকে পেতে সাত দম্পতি আদালতে আবেদন করেছেন। ঢাকার একটি পারিবারিক আদালতে তারা সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক ও ছোট সোনামণি নিবাসের উপ-তত্ত্বাবধায়ক ও পরিচালককে বিবাদী করে গত ২০ জুন পৃথক পৃথক এ আবেদন জমা দেন। এরপর ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক সাফিয়া সারমিন বিবাদীদের প্রতি সমন জারি করে ২ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন। গত ১৪ মে দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার শিশু হাসপাতালের একটি টয়লেট থেকে ৩/৪ দিন বয়সী নবজাতক কন্যাশিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে দুদিন পর শিশুটিকে রাজধানীর আজিমপুরের সরকারী ছোটমণি নিবাসে হস্তান্তর করা হয়। নবজাতকটিকে উদ্ধার করার পর হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার রাসেল মাহমুদ ও তার স্ত্রী পলি বেগম দুদিন দেখভাল করেন। তারাই শিশুটির নাম রাখেন ‘গহীন’। ঘটনার বিবরণ মতে, হাপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ১৪ মে দুপুর ১২টার দিকে হন্তদন্ত হয়ে ওই হাসপাতালে ঢুকছেন দুই নারী। তারা টয়লেটের দিকে ঢুকে দ্রুত বেরিয়ে আসেন। ঢোকার সময় একজনের হাতে যে পুটুলি দেখা যাচ্ছিল, তা বের হওয়ার সময় ছিল না। মনে করা হয়, এই দুজনই শিশুটিকে ফেলে যায় । রাসেল মাহমুদ (৪১) ও পলি বেগম (৩৬) আট বছরের বিবাহিত জীবনে নিঃসন্তান। তারাই প্রথম শিশুটিকে দেখতে পান ও থানায় জিডি করেন। তারাও আবেদন করেছেন শিশুটিকে পেতে। আবেদনকারী অপর ছয় দম্পতি হলেন- সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার মোঃ শাহ আলম শাহীন ও তার স্ত্রী যুব মহিলা লীগের নির্বাহী সদস্য ও মানবাধিকার সংস্থা আশকের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হামিদা আক্তার মিতা। আইন অনুযায়ী সরাসরি হাসপাতাল বা আশ্রয়নিবাস থেকে শিশুকে দত্তক বা শরীরের অভিভাবক ও তত্ত্বাবধায়ক হওয়ার সুযোগ না থাকায় তারা আদালতে আবেদন করেছেন। ১৯৮৪ সালের পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশের ৫(২) ধারা ও ১৮৯০ সালের গার্ডিয়ান এ্যান্ড ওয়ার্ডস এ্যাক্ট এবং বিধান অনুযায়ী নবজাতক শিশু গহীনের শরীরের অভিভাবক ও তত্ত্বাবধায়ক হওয়ার দাবিতে আবেদনগুলো করা হয়েছে।
×