ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পাঞ্জাবকে হারিয়ে দ্বিতীয় পর্র্বে আবাহনী

প্রকাশিত: ১১:৪০, ২৭ জুন ২০১৯

 পাঞ্জাবকে হারিয়ে দ্বিতীয় পর্র্বে আবাহনী

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগের দু’বারের চেষ্টায় যেটা হয়নি এবার তৃতীয়বারের চেষ্টায় সেটা হলো ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের। ‘দ্য স্কাই ব্লু ব্রিগেড’ খ্যাত আবাহনী এর আগে দু’বার ‘এএফসি কাপ’-এ খেলেছে। কিন্তু এই দুটি আসরেই তাদের ব্যর্থতা ছিল বিস্ময়কর। কখনই প্রথম রাউন্ডের গন্ডি পেরিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উন্নীত হতে পারেনি। তবে বুধবার পেরেছে। ভারতের গুয়াহাটির ইন্ধিরা গান্ধী এ্যাথলেটিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘ই’ গ্রুপে তারা ১-০ গোলে হারিয়েছে ভারতের মিনেরভা পাঞ্জাবকে। ইনজুরি সময়ে (৯০+৩ মিনিটে) হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড কারভেন্স বেলফোর্টের উড়ন্ত কর্নারে মাথা ছুঁয়ে প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়ে আবাহনীকে জয় ও আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন আফগান ডিফেন্ডার মাসিহ্ সাইঘানি। বল নিয়ন্ত্রণে পিছিয়ে থাকলেও (৪৭ শতাংশ) গোল করে ঠিকই জয় কুড়িয়ে নেয় আবাহনী। গত ১৭ এপ্রিল ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দু’দলের প্রথম মোকাবেলায় কেউই জেতেনি। দু’বার পিছিয়ে পড়েও আবাহনী ড্র করেছিল ২-২ গোলে। আবাহনীর জন্য দুঃসংবাদ ছিল বুধবারের ম্যাচে ভিসা জটিলতায় ভারতে যেতে না পারায় দলের হয়ে খেলতে পারেননি অন্যতম নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা। তারপরও সানডেকে ছাড়াই ম্যাচ জিতে নিল আবাহনী। আবাহনীকে অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। একইদিনে অনুষ্ঠিত এই গ্রুপের অপর ম্যাচে স্বাগতিক মানাং মার্শিয়াংদিকে ৩-২ গোলে হারায় ভারতের চেন্নাইন ফুটবল ক্লাব। কিন্তু জিতেও কোন লাভ হয়নি তাদের। কেননা আবাহনী জিতে বেশি পয়েন্টে এগিয়ে থাকায় (আবাহনী ৬ ম্যাচে ১৩, চেন্নাইন সমান ম্যাচে ১১) কপাল পোড়ে তাদের। আবাহনী উত্তীর্ণ হয় পরবর্তী পর্বে (ইন্টার জোন প্লে-অফ পর্বে)। বুধবারের ম্যাচে আবাহনী হারলে বা ড্র করলেই তাদের জন্য বিপদ হতে পারতো। কেননা একইদিন আবাহনী হারলে আর চেন্নাইন জিতলে তখন চেন্নাইনের পয়েন্ট হয়ে যেত আবাহনীর চেয়ে ১ বেশি। সেক্ষেত্রে আবাহনীকে টপকে তারাই চলে যেত পরবর্তী রাউন্ডে, আর কপাল পুড়তো আবাহনীর। আবার আবাহনী যদি ড্র করতো, আর চেন্নাইন অনেক বেশি গোলের ব্যবধানে জিততো, তখন দু’দলেরই সমান ১১ পয়েন্ট হয়ে যেত। সেক্ষেত্রে তখন গ্রুপসেরা দল নির্ধারণে গোল পার্থক্যের তুলনা আসতো। এখানেও যদি সমতা থাকতো, তখন বেছে নেয়া হতো এ্যাওয়ে ম্যাচে কোন দল বেশি গোল করেছে। তখন সেক্ষেত্রে এগিয়ে থাকতো চেন্নাইন, কারণ তারা ঢাকায় আবাহনীর মাঠে ২ গোল করেছিল (ম্যাচটা হেরেছিল অবশ্য ৩-২ গোলে, আর আবাহনী চেন্নাইনের মাঠে কোন গোলই করতে পারেনি, হেরেছিল ০-১ গোলে)। কাজেই ড্র বা হার নয়, কোন সমীকরণের ফাঁদে পড়া নয়, বুধবার জিতেই আবাহনী নিশ্চিত করলো পরবর্তী রাউন্ডে নাম লেখানো।
×